ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১০ আগস্ট ২০১৫

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারককে ‘মানসিক অসুস্থ’ বলায় আদালত অবমাননার অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এ বিষয়ে আজ সোমবার আবারও শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা একদিনের সময় চাইলে এই তারিখ ধার্য করা হয়। এ ছাড়া রবিবার ট্রাইব্যুনালে জাফরুল্লাহর দেয়া বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ প্রদান করেছেন। রবিবার জাফরুল্লাহর পক্ষে এ মামলায় আইনজীবী হিসেবে এ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। তার ‘জুনিয়র’ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আদালতকে জানান, জবাব দাখিলের জন্য একদিন সময় প্রয়োজন। পরে আদালত জাফরুল্লাহর বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শন করেন। আজ আবারও এই মামলার কার্যক্রম চলবে বলে জানান। ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘অবমাননাকর’ বিবৃতি দেয়ায় গত ১০ জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সাজা দেয় আদালত। শাস্তি হিসেবে তাকে এক ঘণ্টা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সেইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদ- দেয়া হয়। তবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ তাকে সতর্ক করে দিয়ে ওই দ- মওকুফ করে দেয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর ও নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের সংগঠক কামাল পাশা চৌধুরী ও এফএম শাহীন গত ৬ জুলাই আদালত অবমাননার এই অভিযোগটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি আমলে নেন। শুনানিতে মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেছিলেন, তিনজন বিচারক ও বিচারালয় সম্পর্কে তিনি যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে আদালতকে অবমাননা করা হয়। এটি আদালতের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে। জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল সাজা ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, আজকের আদালত অবমাননার রায়টা তিনজন বিচারকের মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ। যেখানে বিচারপতিরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না সেখানে ন্যায়বিচার হয় না। যখন তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না তখন যুক্তি থাকে না বলেই তারা আইনের আড়ালে আত্মগোপন করেন। এখানে এই মামলাটা বোঝার বিষয় আছে। আদালত অবমাননার মামলায় তিনটির একটি বিষয় প্রমাণ করতে হয়।
×