ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গানে গানে কবিগুরু স্মরণ

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১০ আগস্ট ২০১৫

গানে গানে কবিগুরু স্মরণ

গৌতম পাণ্ডে ॥ শ্রাবণের নির্মল আকাশ। দিনভর নেই কোন বৃষ্টি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে দর্শকের উপস্থিতি নিতান্ত কম নয়। মঞ্চকে সাজানো হয়েছে রাবিন্দ্রিক আবহে। দুই পাশে গাছের টব আর রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্মের ছবি এক ভিন্ন রূপ এনে দিয়েছে। শনিবার এমনই এক মোহময় পরিবেশে গানে গানে কবিগুরুকে স্মরণ করে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংসদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতে দাঁড়িয়ে প্রয়াত প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা ইয়াসমিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি’। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতশিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এই তৃতীয়বারের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির বিশাল ভা-ারে গানই সবচেয়ে বেশি প্রধান্য পেয়েছে। আজ আমরা অনুষ্ঠানে তাঁর গান দিয়েই তাঁকে স্মরণ করতে চাই। পরে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহযোগী সভাপতি শিল্পী দোদুল আহমেদ। শিল্পী আরিফুর রহমানের কণ্ঠে ‘শ্রাবণের ধারার মতো’ গানটি দিয়ে শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। পরে শিল্পী হাসি বিশ্বাস পরিবেশন করেন ‘নিলাঞ্জন ছায়া’। গানের সুরের এক মাধুর্য ফুটিয়ে তোলেন তিনি। মিলনায়তন ভর্তি দর্শক করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানায় শিল্পীকে। মঞ্চে আসেন শিল্পী সাদেক ইকবাল। তাঁর পরিবেশনায় ছিল ‘আমার মাথা নত করে দাওহে তোমার চরণধুলার তলে’। শিল্পী ফারহাত হোসেন পরিবেশন করেন ‘এখনও তারে চোখে দেখিনি’। অনুষ্ঠানে অন্য যারা সঙ্গীত পরিবেশন করেন তারা হলেন- শিল্পী শরফুল আলম, নাহার জামিল (তুমি এপার ওপার কর), মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না ( দিনে শেষে ঘুমের’), ফাহিম হোসেন চৌধুরী, মজিবুল কাইয়ূম, মেজবাহুল আযম মনজু, এসএম মুসা, মিলন দেব, মহবুবুর রহমান মঞ্জু, নাঈমা আলী, ইফফাত আরা দেওয়ান, বদরুন্নেসা ডালিয়া, বুলবুল মহলানবিশ, আদৃতা আনোয়ার, নাসরীন আকবর রোজী, বায়তুন নাহার, ঝর্ণা রহমান, বর্ণালী বিশ্বাস ও নুসরাত বিনতে নূর।
×