ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইতালিয়ান সুপার কাপ

মৌসুমের প্রথম শিরোপা জুভেন্টাসের

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১০ আগস্ট ২০১৫

মৌসুমের প্রথম শিরোপা জুভেন্টাসের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইতালিয়ান পরাশক্তি জুভেন্টাসের হয়ে অভিষেক হয়েছে দুই ফরোয়ার্ড মারিও মানদুকিচ ও পাওলো ব্রুনো ডিবালার। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ইতালিয়ান সিরি এ রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের দলে নাম লেখান এই দুই ফুটবলার। শনিবার নতুন ক্লাবের হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন ক্রোয়েশিয়ান ও আর্জেন্টাইন ফুটবলার। দু’জনই গোল করে অভিষেকটা স্মরণীয় করেন। তাদের গোলের সুবাদেই ল্যাজিওকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা জয় করেছে জুভেন্টাস। নিরপেক্ষ ভেন্যু চীনের সাংহাই স্টেডিয়ামে দাপটের সঙ্গে খেলে নতুন মৌসুমে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছে গত মৌসুমে ‘ডাবল’ জয়ী দলটি। আগের মৌসুমের ইতালির শীর্ষ লীগ সিরি এ চ্যাম্পিয়ন ও লীগ কাপের জয়ী দলের মধ্যে প্রতি মৌসুমের শুরুতে এই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হয়ে থাকে। তবে গতবার এই দুই আসরেই জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় লীগ কাপের রানার্সআপ ল্যাজিও সুযোগ পায় জুভেন্টাসের বিপক্ষে লড়াইয়ের। এবার নিয়ে সুপার কাপে টানা চারবার ও রেকর্ড সপ্তম শিরোপা জয় করল গত মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের রানার্সআপরা। নতুন দুই ফরোয়ার্ডেও নৈপুণ্যে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জয়ের পর গোটা মৌসুমেই ভাল করার প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো এ্যালেগ্রি। তুরিনের ক্লাবটির হয়ে শুরুতেই মানদুকিচ ও ব্রুনোর নৈপুণ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। চলতি গ্রীষ্মে ১৯ মিলিয়ন ইউরোতে মানদুকিচ স্প্যানিশ ক্লাব এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে পাওলো ব্রুনো ৩২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পালের্মো থেকে জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছেন। ৬০ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সাংহাইয়ের স্টেডিয়ামে দু’দলই শুরুটা করে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে। তবে ম্যাচটি খুব একটা উপভোগ্য হয়নি। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথমবারের মতো ল্যাজিওর গোলপোস্টে আক্রমণ শাণায় জুভেন্টাস। কিন্তু স্টিফেন লিস্টেইনারের দূরপাল্লার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে জুভেন্টাস তারকা পল পোগবা মধ্যমাঠে কয়েকবার বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিলেও ভাল কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি। ৩২ ডিগ্রী তাপমাত্রার প্রচ- গরমের মধ্যে বিরতির পর দু’দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও পোগবাই গোলের প্রথম সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু তার ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া দুর্দান্ত শট ল্যাজিও গোলরক্ষক ফেডেরিকো মারচেট্টির ডানদিক দিয়ে অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। অবশেষে ৬৯ মিনিটে গোল পায় জুভেন্টাস। লক্ষ্যভেদ করেন মানদুকিচ। পরের মিনিটেই ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকার ফিলিপ এ্যান্ডারসনের দারুণ ভলি বুফন দারুণভাবে রক্ষা করলে ল্যাজিও সমতায় ফেরার সুযোগ হারায়। ৭৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে শিরোপা নিশ্চিত করে জুভেন্টাস।
×