ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাহজালালে সাড়ে সাত কেজি সোনাসহ দুই নারী আটক

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১১ আগস্ট ২০১৫

শাহজালালে সাড়ে সাত কেজি  সোনাসহ দুই নারী আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরনে সাধারণ শাড়ি। চেহারাও খুব একটা দেখার মতো নয়। একেবারেই গ্রামবাংলা সখিনা মর্জিনার মতো বেশভূষা। দু’জনের সঙ্গেই দুটো বাচ্চা। যাদের বয়স ৩/৪ বছর। এমন নারী ও শিশুকে কি কেউ অপরাধী বলে সন্দেহ করতে পারে? চট্টগ্রাম থেকে বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে নেমে যখন সোজা হেঁটে যাচ্ছিলেন বাইরের দিকে, তখনই বাদ সাধে কাস্টমস কর্মকর্তারা। তখনও অন্যান্য যাত্রী সাধারণের কৌতূহলী প্রশ্ন- এদের কেন আটক করা হচ্ছে। কিন্তু কৌতূহলী এ প্রশ্ন মুহূর্তেই বিস্ময়কর হয়ে দেখা দেয়, যখন তাদের শরীর তল্লাশি করে বের করা হয় সাড়ে সাত কেজি সোনা। এমনই কা- ঘটেছে সোমবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ধৃত দুজন হলেন জেরিন বেগম ও জেসমিন বেগম। তাদের সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থানায় পাঠানো হয়। থানায় নিয়মিত মামলাও হয়েছে। জানা যায়, বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ওই দুই নারী দুই শিশুসহ চট্টগ্রাম থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে নেমে সোজা হেঁটে বাইরে চলে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তাতে সোর্সের দেয়া আগাম তথ্যের আলামত ফুটে ওঠে। এ সম্পর্কে ঢাকা কাস্টমস হাউসের যুগ্মকমিশনার এস এম সোহেল রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, আগে থেকেই তথ্য ছিল ওই দুই নারী সম্পর্কে। তাদের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আন্তর্জাতিক টার্মিনালের কাস্টমস হলে। এখানে নারী সদস্য দিয়ে তাদের শরীর চেক করা হয়। তখন তাদের কোমরে পেটিকোটের নিচে বেল্টের সঙ্গে স্কচ টেপ দিয়ে লুকিয়ে রাখা সোনার বারগুলো পাওয়া যায়। এগুলো এত স্ক্ষূèভাবে লুকানো ছিল যে, হাঁটার সময় তা দেখে কারোর পক্ষে সন্দেহ করাও খুব কঠিন। তাদের কোমরে থাকা বিশেষভাবে তৈরি বেল্টে স্বর্ণের বারগুলো আটকানো ছিল। উদ্ধার হওয়া সাত কেজি ৪শ’গ্রাম স্বর্ণের মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। এস এম সোহেল রহমান বলেন, এই দুই নারীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় একবার বলেছে বাড়ি চট্টগ্রামে, আরেকবার বলে নোয়াখালী। সঙ্গের দুটো বাচ্চাও তাদের কিনা সেটাও সন্দেহজনক। আসলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা ক্যারিয়ার। চট্টগ্রাম থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সোনার ক্যারিয়ার হিসেবেই তারা কাজ করতেন। এ জন্য হয়তো একটা পারিশ্রমিক পেতেন। তারা এ সোনার মাালিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে কারা তাদের ব্যবহার করেছে। বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানায়, এই দুই নারীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
×