ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওষুধ সঙ্কটে রোগী

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১১ আগস্ট ২০১৫

 যশোর ২৫০ শয্যা  হাসপাতাল

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ দু’মাস যাবত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে ওষুধের বরাদ্দ কম থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সরকারী ইডিসিএল থেকে সরবরাহকৃত ওষুধের কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে বরাদ্দ থাকা ওষুধ রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যবর্তী জেলা হাসপাতাল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। তাই নড়াইল, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলার অধিকাংশ গরিব মানুষের কাছে উন্নত সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই হাসপাতাল ব্যাপক পরিচিত। অল্প খরচে উন্নত সেবা পাওয়ার আশা নিয়ে এসব জেলা থেকে রোগীরা আসেন এ সরকারী হাসপাতালে। সরকারও এ বিষয়টি বিবেচনা করে চিকিৎসক, সেবিকাসহ উন্নত মেশিন এবং ৮৪ প্রকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ সরবরাহ করে। এর মধ্যে ইডিসিএল প্রতিষ্ঠানের ৪৪ প্রকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্থানীয় অর্থে টেন্ডারের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৪০ প্রকার ওষুধ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্রয় করে। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ প্রকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নেই। ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা নিরুপায় হয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনছেন। এদিকে, গত সপ্তাহে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন, পুরুষ ও মহিলা সার্জারি, গাইনি এবং হাসপাতালের ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, এসব স্থানে অতিগুরুত্বপূর্ণ এন্টিবায়োটিক সেফটিএক্সিম ট্যাবলেট (৫০০ গ্রাম), সিরাপ এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট, গ্যাসের ওষুধ ওমিপ্রাজল ২০/৪০ গ্রাম ক্যাপসুল ও ইনজেকশন, হৃদরোগীদের এ্যাটোভাস্ট ১০ গ্রাম, প্যানটোনিক্সসহ (২০ গ্রাম) ৫/৭ প্রকারের ওষুধ পাওয়া যায়নি। ওয়ার্ডের কর্তব্যরত সেবিকারা জানান, এ সকল ওষুধ গত দু’মাস যাবত সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে। হাসপাতালের স্টোরে চাহিদা দেয়া হলেও স্টোরকিপার নেই বলে জানিয়েছেন। এদিকে, হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, এসব এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্যাকেটে সরকারী স্টিকার না থাকায় তা বাইরে পাচার হচ্ছে। ফলে ওয়ার্ডে ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের স্টোরকিপার আফজাল হোসেন জানান, হাসপাতালে বর্তমানে অধিকাংশ ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। আর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় ওষুধ খাতে এ বছর অর্থবরাদ্দ কম হয়েছে। ফলে ওষুধ সঙ্কট রয়েছে। তবে ইডিসিএলের সকল প্রকার ওষুধ হাসপাতালে সরবরাহ আছে।
×