নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ১০ আগস্ট ॥ রবিবার রাতে জেলা সদরের মালনী এলাকায় সৎ ছেলের হাতে এনজিও কর্মী এ্যাসিডদগ্ধ হয়েছেন। তার নাম নাসিমা আক্তার (৪৫)। তিনি জেলা শহরের নাগড়া আনন্দবাজার এলাকার এসএম সুরুজ মিয়ার স্ত্রী। এ নিয়ে তিনি দু’বার এ্যাসিড হামলার শিকার হন। রাতেই তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় এ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নাসিমার স্বামী এসএম সুরুজ মিয়া (৬০) ও সৎ ছেলে জাহাঙ্গীর ফিরোজকে (৩০) গ্রেফতার করেছে। এসএম সুরুজ মিয়া অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য। তার ছেলে মূল হামলাকারী জাহাঙ্গীর ফিরোজও বর্তমানে যশোরে বিজিবি সদস্য হিসেবে কর্মরত।
জানা গেছে, নাসিমা আক্তার মালনী এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির আশ্রয়কেন্দ্রের কাউন্সিলর হিসেবে এ্যাসিড দগ্ধ, স্বামী পরিত্যক্ত, নির্যাতিতা ও অসহায় নারীদের পুনর্বাসনের কাজ করেন। এ্যাসিড হামলার পর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ও পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি নিয়ে তার সঙ্গে সুরুজ মিয়ার সম্পর্কের অবনতি। সুরুজ মিয়া তাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন। এ জন্য তিনি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরই জের ধরে তার সৎ ছেলে বিজিবি সদস্য জাহাঙ্গীর ফিরোজ রবিবার রাতে তাকে তার কর্মস্থল স্বাবলম্বীর আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে এ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে তার পিঠ, গলা, বুক ও পেটের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়।
এ ঘটনায় নাসিমার ছেলে এসএম শাহাদাত করিম লিটন বাদী হয়ে রবিবার রাতে নেত্রকোনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে তার বাবা এসএম সুরুজ মিয়া ও সৎ ভাই জাহাঙ্গীর ফিরোজকে আসামি করা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। সদর থানার ওসি মাসুদুল আলম জানান, সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।