ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১২ আগস্ট ২০১৫

টাঙ্গাইলে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১১ আগস্ট ॥ স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তব্যে চরম অবহেলায় টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলায় অবস্থিত কুঠিবয়ড়া-জগৎপুরা বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। এতে উপজেলার অর্জুনা, চর অর্জুনা ও চুকাইনগর এই তিন গ্রামের দুইশতাধিক বসতবাড়ি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া ভূঞাপুর-তারাকান্দি সিএ্যান্ডবি পাকা সড়কটি ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। জানা গেছে, কুঠিবয়ড়া-জগৎপুরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি ভাঙার ফলে যমুনা সার কারখানার সঙ্গে ভূঞাপুর-টাঙ্গাইলের হুমকির মধ্যে পড়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। ইতোপূর্বে স্থানান্তরিত দ্বিতল ভবন অর্জুনা মহসিন উচ্চবিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা ও কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা, ঘরবাড়ি, গাছপালা যমুনা নদীগর্ভে বিলীনের মুখে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হলেও টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ইতোমধ্যেই বাঁধটির সিংহভাগ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পাশাপাশি অর্জুনা, চর অর্জুনা ও চুকাইনগরের শতাধিক পরিবারকে ঘরবাড়ি হারাতে হয়েছে। গত বন্যার শেষ দিকে এই বাঁধটি ভাঙ্গনকবলিত হলে বার বার আবেদন করার পরও শুকনো মৌসুমে বাঁধটি রক্ষায় কোন প্রকার সরকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বরং মাটি ফেলার জন্য ইউএনও’র পক্ষ থেকে পাঁচ শ‘ প্লাস্টিক ব্যাগ প্রদান করা হলেও অজ্ঞাত কারণে পরে তা ফেরত নেয়া হয় বলে এলাকাবাসী জানান। ঘরবাড়ি হারানোর আশঙ্কায় দিশেহারা অর্জুনা, চর অর্জুনা ও চুকাইনগর গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে নিজেদের পয়সায় বাঁশ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙ্গনকবলিত বাঁধের উজানে পানির গতিপথ পরিবর্তনে আপ্রাণ চেষ্টায় ৬টি বাঁশের বাঁধ নির্মাণ করেও বাঁধ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ বলেন, ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শন করে এবং এর প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে বোর্ড ম্যানেজমেন্টের কাছে দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকার একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
×