ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড্রেজার ক্রয়সহ সাত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১২ আগস্ট ২০১৫

ড্রেজার ক্রয়সহ সাত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ড্রেজার ক্রয়সহ ৭ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিলের ২ হাজার ৩৭২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১২ কোটি টাকা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আরাস্তু খান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম প্রমুখ। ব্রিফিং-এ পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এখন দেশে মোট ২০টি স্থলবন্দর হলো। আগে ১২টি ছিল, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন ৮টি স্থলবন্দর করেছি। সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৫০টির মতো ট্রাক চলাচল করে। ফলে এটির উন্নয়ন জরুরী হয়ে পড়েছিল। তিনি জানান, বিজিবির সদস্যদের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে যারা বাইরে থাকেন তারা সবাই পিলখানার ভেতরেই থাকতে পারেন সেজন্য দ্রুত আরও একটি আবাসিক প্রকল্প নিতে হবে। বিজিবির সদস্যদের জন্য দুটি ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ অনুশাসন দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, গোদাগাড়ী-আমনুরা-নাচোল-পার্বতীপুর-আড্ডা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা উন্নয়ন এবং ড্রেন কাম-ফুটপাথ নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৬০ কোটি টাকা। সোনাহাট স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিজিবির সদর দফতরে জেসিও এবং অন্য পদধারীদের জন্য ২টি ১৫তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৫৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকোপার্ক স্থাপন রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম প্রকল্প, এর ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ টাকা। নওগাঁ জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং ২০টি ড্রেজারসহ সহায়তা যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি সংগ্রহ প্রকল্প, এর ব্যয় ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের বিস্তারিত হচ্ছে, ২০টি নতুন ড্রেজারসহ সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম সংগ্রহ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নৌÑপরিবহর মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো সংগ্রহের কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌÑপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির আওতায় ২০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হলে বিআইডব্লিউটিএ-এর ২৩২ দশমিক ৫০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং সক্ষমতা অর্জিত হবে। ফলে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথসমূহের উন্নয়ন এবং জলযানের নিবিঘœ চলাচল সম্ভব হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, ২৬ ইঞ্চি কাটার সাকশন ড্রেজার ৬টি, ২০ ইঞ্চি কাটার সাকশন ড্রেজার ৯টি, ১৮ ইঞ্চি কাটার সাকশন ড্রেজার ৫টি, ক্রেন বোর্ট ২০টি, টাগ বোট ৮টি, ক্রু হাউজ বোট ২০টিসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য বাণিজ্য বাড়াতে উন্নয়ন করা হচ্ছে সোনাহাট স্থল বন্দর। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানিকৃত পণ্যসামগ্রীর গুদামজাতকরণ ও আনা-নেয়ার সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
×