ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিক বনাম সুপ্রীমকোর্ট কনটেম্পট কেস কনটেস্ট এই প্রথম ॥ সুরঞ্জিত

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১২ আগস্ট ২০১৫

সাংবাদিক বনাম সুপ্রীমকোর্ট কনটেম্পট কেস কনটেস্ট এই  প্রথম ॥ সুরঞ্জিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় একটি নিবন্ধকে কেন্দ্র করে সুপ্রীমকোর্টের আনীত আদালত অবমাননার রুলের শুনানির রায় যেন গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করে এমনই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি শীর্ষক আলোচনাসভায় এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, বিচার, আইন ও নির্বাহী বিভাগ হলো রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ঠিক তেমনই গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এগুলোর সকলকেই কিন্তু দায়বদ্ধতার মধ্যে থাকতে হবে। সকলকেই কোড অব কনডাক্টের মধ্যে চলতে হবে। কেননা কেউ জবাবদিহিতার উর্ধে নয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, মামলাটির রায় একটি মাইলফলক হবে। আমরা এখন রায়ের অপেক্ষা করছি। আশা করছি, এ রায় যেন গণতন্ত্রকে আরও সমৃদ্ধ করে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে দায়িত্বশীলতা বাড়ে। তিনি বলেন, সুপ্রীমকোর্ট পাড়া এখন গরম। সাংবাদিক বনাম সুপ্রীমকোর্ট কনটেম্পট কেস এই প্রথম কেস এই প্রথম কনটেস্ট হচ্ছে। এর আগে কনটেম্পট হলেই অভিযুক্তকারীরা কোর্টে ওঠে দুহাত তুলে বলতেন- হুজুর ভুল হয়েছে, মাফ করে দেন। সুপ্রীমকোর্টের ইতিহাসে এই প্রথম মানহানি মোকদ্দমা মামলায় অতীতে এত কনটেস্ট হয়নি। এটা একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। এজন্য সোমবার আদালত কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। ব্লগার হত্যা নিয়ে সম্প্রতি আইজিপির মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, একের পর এক ব্লগার হত্যা হচ্ছে। আপনি (আইজিপি) ব্লগারদের কোন লেখা ধর্মকে কটাক্ষ করে তা সম্পর্কে সাবধান হতে পরামর্শ দিয়েছেন। আপনার বক্তব্যের সঙ্গে আমিও একমত। কিন্তু একের পর এক ব্লগার হত্যা হচ্ছে তা নিয়ে আমরাও তো একেবারে ব্যর্থতার শেষ সীমা অতিক্রম করছি। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও সরকার চাইলে অপরাধীদের ধরতে পারে না এমন দুর্দশা তো পুলিশ বাহিনীর থাকার কথা নয়। আমাদের পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা, সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা অনেক দেশের পুলিশ বাহিনীর চেয়ে বেশি বলেও দাবি করেন তিনি। বিএনপির সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সৌদি আরবে আর কুলাচ্ছে না। অবশেষে চক্রান্ত করতে লন্ডন যাচ্ছেন তিনি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তাঁর মোটেও সহ্য হচ্ছে না। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে অশান্তিতে থাকেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবেন আর বঙ্গবন্ধুকে মানবেন না, এটা হয় না। সঠিক রাজনৈতিক পথে আসতে হলে মুক্তিযুদ্ধের পথে আসুন। বঙ্গবন্ধু একাডেমির উপদেষ্টা খন্দকার ডাঃ ইমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আসাদুজ্জামান দুর্জয় প্রমুখ। ষড়যন্ত্র করতে লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া-খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ॥ এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ক্রমান্বয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাই নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে দলটির নেত্রী খালেদা জিয়া লন্ডনে তার ছেলে তারেক রহমানের কাছে যাচ্ছেন। যার সঙ্গে আইএস, আল-কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গীর যোগাযোগ, সেই পুত্রের সঙ্গে আবার তিনি দেন-দরবার করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে তারেক রহমান এবং ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি যুক্ত ছিলেন। বিএনপি ভুল বুঝতে পেরে সাময়িকভাবে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরলেও তাদের বিশ্বাস করা যায় না। তারা এখনও দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই তাদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও যারা বেঁচে আছেন তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নতুন করে ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে দেশের অগ্রযাত্রা রুখতে না পারে সে জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।
×