ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্মৃতিতে ১৫ আগস্ট

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৩ আগস্ট ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

১৯৭৫ সাল। আমি ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণের আগের কিছু সময়ের কথা না বললে অসম্পূর্ণ থাকবে। ঐ সময় আমি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রের খবর শুনতাম এবং পত্রিকা পড়তাম। ঐ সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করত। বেতারের মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম শুনতাম তাঁদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, তথ্য ও বেতারমন্ত্রী এম কোরবান আলী, রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদের নাম মনে পড়ে। এমনকি বাকশালের জেলা গবর্নর, তাদের দুই মাসের ট্রেনিংপর্ব আমার স্মৃতিতে এখনও ভাস্বর। এরপর আসে ১৪ আগস্ট। ঐ দিনের বিকেল-সন্ধ্যার কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতিও আমার এখন মনে পড়ে। এরপর কালরাত শেষে আসে ১৫ আগস্টের সোনালি সকাল। সেদিন ছিল শুক্রবার। মর্নিং স্কুল। স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। এমন সময় রেডিওর মাধ্যমে যে কথাটি প্রথম শুনতে পাই তা হলোÑ ‘কঠোর শাস্তি দেয়া হবেÑ ভাবলাম, রক্ষীবাহিনী নকশাল ধরেছে, তাই শাস্তির কথা বলছে। সকাল ৭টা নাগাদ জানতে পারি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। দেশব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্কুলে যাওয়া হলো না। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ বেতারে ভেসে আসছে। আমি মেজর ডালিম বলছিÑ ঘোষণায় বলা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজ সরকারকে হত্যা করা হয়েছে, স্বজনপ্রীতি সরকারকে হত্যা করা হয়েছে, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। নতুন সরকারের আইন যে অমান্য করবে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে, ইত্যাদি...। আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঐ ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছিলাম, আমিই এই নতুন সরকারের আইন অমান্য করব। আমার বুকে রাইফেল ধরলেও আমি এই সরকারের আইন মানব না। এই প্রতিবাদের জন্য আজ আমি নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। এরপর বিকেল শেষে আসে সন্ধ্যা রাত। খবর পাঠক সরকার কবিরউদ্দিন বলছেন, শেখ মুজিব সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে। আজ ভোরে তিনি নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন। পাকিস্তান নতুন সরকারকে প্রথম স্বীকৃতি দিল। এরপর রেডিওতে প্রচার হচ্ছিলÑ খন্দকার মোশতাক আহমদ তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ অন্যদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন। ১৫ আগস্ট সম্পর্কে এটাই আমার স্মৃতিতে চিরভাস্বর হয়ে আছে। আমিনুল ইসলাম (বকুল) বিজেএম ডিগ্রী কলেজ জুনিয়াদহ, কুষ্টিয়া বাড়ি মালিকদের অত্যাচার ঢাকাসহ দেশের সব শহরে ভাড়া নিয়ে বাড়ি মালিকদের ক্রমবর্ধমান অত্যাচার ও হয়রানির বিষয়টি সুবিদিত। এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় এত লেখালেখি সত্ত্বেও সরকারের তরফ থেকে কোন বাস্তব পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ঢাকা শহরে বাড়ি ভাড়ার এলাকাভিত্তিক একটি হার নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু সরকার কর্তৃক সুস্পষ্টরূপে ঘোষিত না হওয়ায় এর কোন কার্যকারিতা নেই। যার সুযোগ বাড়ির মালিকগণ পুরোপুরি নিচ্ছেন এবং ইচ্ছামাফিক বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে চলেছেন। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরের জন্য এলাকাভিত্তিক একটি সুনির্দিষ্ট হার সরকারিভাবে ঘোষিত হলে ভাড়াটেগণ তাদের অত্যাচার হতে অনেকটা অব্যাহতি পেতে পারেন। বর্তমানে দেশে ১৯৬৪ সালের বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ বিধিমালাই বিদ্যমান। এই বিধিমালার কোনরূপ সংস্কার সাধন করা হয়নি। বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের প্রায় ৬০ শতাংশ বাসিন্দাই ভাড়াটিয়া। ঐক্যবদ্ধ হলে তারা যে কোন সরকারের ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। অপরদিকে সরকার তাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিলে স্থায়ীভাবে জনপ্রিয়তার আসন পেতে পারেন। লুৎফুল কবীর ঝিগাতলা, ঢাকা হজে যা যা সঙ্গে নেবেন পবিত্র হজ সমাগত। ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজের সময় সঙ্গে করে কী কী নিতে হবে তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যান। আসুন জেনে নেই হজের সময় কী কী দ্রব্যসামগ্রী সঙ্গে নিতে হবে। এহরামের কাপড় আড়াই হাত বহরের সাড়ে পাঁচ হাত করে ২টি ও পাঁচ হাত করে ২টি। হজের আরকাম আহকাম সংবলিত কিতাব ও অযিফা। পায়জামা, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, টুপি, জুতা ও মোজা ২ জোড়া, গামছা ১টা। স্পঞ্জের স্যান্ডেল ১ জোড়া (পায়ের উপরিভাগ না ঢোকে এমন), টয়লেট পেপার, সুগন্ধিবিহীন সাবান ২টা করে। মেছওয়াক/ব্রাশ, পেস্ট, আয়না, চিরুনি, কাঁচি, রেজার ও ব্লেড। মেলামাইনের প্লেট, গ্লাস ১টা করে। বিছানার চাদর, হাওয়ার বালিশ, চাদর অথবা শাল ১টা করে। কোমরে বাঁধার বেল্ট ১টা করে। ডলার, রিয়াল, পাসপোর্ট, টিকেট ও জরুরী কাগজপত্র রাখার কাপড়ের ব্যাগ ও সেন্ডেল রাখার কাপড়ের ব্যাগ ১টা। শুকনো খাবার, সরিষা/নারিকেল তৈল অথবা বডিলোশন পরিমাণ মতো। জরুরী ওষুধপত্র এবং ১০ প্যাকেট খাবার স্যালাইন সঙ্গে নিতে ভুল করবেন না। মোঃ রুহুল আমিন (দুলাল) কাউখালী, পিরোজপুর।
×