ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উপর্যুপরি হুমকির মুখে পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীন

কুমিল্লায় প্রাক্তন স্বামী ও সহযোগীর হামলায় আইনজীবী আহত

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৩ আগস্ট ২০১৫

কুমিল্লায় প্রাক্তন স্বামী ও সহযোগীর হামলায় আইনজীবী আহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১২ আগস্ট ॥ প্রাক্তন স্বামীর হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন ফারহানা ফেরদৌস নামের এক মহিলা আইনজীবী। কুমিল্লা মহানগরীর পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ওই আইনজীবী ও তার মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশ ও অপহরণের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও বুধবার পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার জড়িরপাড় গ্রামের ওবায়দুর রহমানের পুত্র মোঃ মাসুদুল হাসান রানার সঙ্গে কুমিল্লা মহানগরীর পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার ফরহাদ উল্লাহ ভূঁইয়ার মেয়ে কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী ফারহানা ফেরদৌসের বিয়ে হয়। রুহানা ফেরদৌসি অথৈ নামে তাদের ১১ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফারহানার স্বামী মাসুদুল হাসান রানা একজন নেশাখোর। এতে কারণে-অকারণে ফারহানাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করায় ২০১৩ সালে ফারহানা তার স্বামীকে তালাক দিয়ে কুমিল্লা মহানগরীর পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার ভাড়া বাসায় অবস্থান করে আসছেন। এদিকে রানাকে তালাক দেয়ার পর থেকে সে বিভিন্ন সময় ফারহানার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার, টাকা-পয়সা দাবিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। একপর্যায়ে গত ২৭ জুলাই রাতে রানা তার সহযোগীদের নিয়ে নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ফারহানার বাসাসংলগ্ন গলির রাস্তায় পূর্বপরিকল্পিভাবে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রানা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হাতে-পিঠে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় ফারহানা বাদী হয়ে ৩০ জুলাই কুমিল্লার আদালতে মাসুদুল হাসান রানাসহ ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ২ আগস্ট মামলাটি কোতোয়ালি মডেল থানায় রেকর্ড করা হয়। আহত ফারহানা অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে রানা ও তার সহযোগীদের হুমকির মুখে আমি ও আমার মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলার আসামি রানা বর্তমানে এবং সিমেন্ট কোম্পানির কুমিল্লা বিভাগের ইনচার্জ। এদিকে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর এ পর্যন্ত আসামিদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মফিজ উদ্দিন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
×