ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৪ আগস্ট ২০১৫

বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিলেটে চলমান ‘সাফ অনুর্ধ ১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের পঞ্চম খেলায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলে টানা দ্বিতীয় জয় কুড়িয়ে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে তারা ২-১ গোলে হারায় গত আসরের চাম্পিয়ন ভারতকে। যদিও উভয় দলই ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে নাম লেখানো। তারপরও এই ম্যাচটি ছিল উভয় দলের কাছেই মর্যাদার। তাছাড়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণী ম্যাচও ছিল এটি। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে নাম লেখালো ‘বেঙ্গল টাইগার্স’ খ্যাত বাংলাদেশ। সমান খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে ভারত হয়েছে গ্রুপ রানার্সআপ। আগামী ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ খেলবে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে। প্রতিপক্ষ হবে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ একটি দল (নেপাল বা আফগানিস্তান)। বাংলাদেশ এর আগে ৪-০ গোলে এবং ভারত ৫-০ গোলে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ভারতের সঙ্গে পুরনো একটি হিসেব চুকিয়েছে। বদলা নিয়েছে তারা। কেননা ২০১৩ সালের এই আসরে বাংলাদেশকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারত হারিয়েছিল ২-০ গোলে। সিলেটে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শককে আনন্দে ভাসিয়ে সেই প্রতিশোধটা কড়ায়-গ-ায় নিল বাংলাদেশ কিশোর ফুটবল দল। অবশ্য এ ম্যাচের আগে সমীকরণে সুবিধাজনকভাবে এগিয়ে ছিল ভারতই। কেননা গোল গড়ে স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়ে ছিল তারা। এ ম্যাচে তারা যদি ড্র করতে পারত, তাহলে তারাই হতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। সেক্ষেত্রে গ্রুপসেরা হওয়ার জন্য জয়ের কোন বিকল্প ছিল না ‘বেঙ্গল টাইগার্স’ দলের কিশোর ফুটবলারের। খেলায় বাংলাদেশ দলের খেলা কিছুটা ছন্নছাড়া ছিল। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণ করতে থাকে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে একটি সুযোগ চমৎকারভাবে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের তিন ডিফেন্ডারের ভিড়ে ডি-বক্সে পাওয়া বল দারুণ দক্ষতার সঙ্গে জালে পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক-মিডফিল্ডার মোহাম্মদ শাওন (১-০)। ৪৯ মিনিটে সমতা ফেরায় ভারত। গোল করে রহিম আলী (১-১)। যখনই মনে হচ্ছিল ড্র হতে যাচ্ছে খেলাটি, তখনই আবারও গোল করে এগিযে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তখন ৮৫ মিনিট। ভারত নিজেদের বক্সের বাংলাদেশের এক খেলোয়াড়কে ফাউল করে। এতে পেনাল্টি দেয় রেফারি। পেনাল্টি থেকে আতিকুজ্জামান থেকে গোল করতে কোন ভুল করেননি (২-১)। বাকি সময়টা প্রাণান্ত চেষ্টা করেও ভারত পারেনি গোল শোধ দিতে। ফলে ২-১ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে তৃপ্তি সহকারে মাঠ ছাড়ে সৈয়দ গোলাম জিলানীর কিশোর শিষ্যরা। শুক্রবার টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে নেপাল। প্রথম রাউন্ড শেষে সরাসরি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ আগস্ট দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ আগস্ট। ২০১১ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ টুর্নামেন্টের প্রথম আসর। সে আসরে ৬ দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। পরের আসরেও স্বাগতিক ছিল নেপাল। সেবার সাত দলের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোররা। এখন দেখার বিষয়, এবারের আসরে কেমন ফল করে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল।
×