ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে মেসি-রোনাল্ডো-সুয়ারেজ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৪ আগস্ট ২০১৫

ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে মেসি-রোনাল্ডো-সুয়ারেজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো তালিকায় থাকবেন, বিষয়টি অনুমিতই ছিল। তবে লুইস সুয়ারেজের থাকাটা কিছুটা হলেও চমকের। ইউরোপের সেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে এই তিন সুপারস্টারকে রেখে বুধবার রাতে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনের জন্য উয়েফা এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ১০ জনের আগের তালিকা থেকে ইউরোপের ৫৪ সাংবাদিকের ভোটে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষিত হয়েছে। সাংবাদিকদের এই প্যানেলই আগামী ২৭ আগস্ট মোনাকোতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে সেরা খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করবে। সেখানে বিজয়ীর হাতে তুলে দেয়া হবে এ্যাওয়ার্ড। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কারের প্রবর্তন ২০১০-১১ মৌসুমে। প্রথমবার গৌরবময় পুরস্কার জয় করেন মেসি। পরের দুই মৌসুম আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ফ্রাঙ্ক রিবেরি ইউরোপ সেরার মুকুট বাজিমাত করেন। আর গতবার জিতেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ৫৪ ম্যাচে ৬১ গোল করে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার জেতেন সি আর সেভেন। তবে এবার সি আর সেভেনের মুকুট ধরে রাখা কঠিন। ধারণা করা হচ্ছে, মুকুট পুনরুদ্ধার করে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরা হতে যাচ্ছেন মেসি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া তিনজনই স্প্যানিশ লা লিগায় খেলেন। ইউরোপের অন্য লীগের কোন খেলোয়াড়ই চূড়ান্ত তালিকায় সুযোগ পাননি। গত মৌসুমে বার্সিলোনার ঐতিহাসিক ‘ট্রেবল’ জয়ে আর্জেন্টাইন তারকার অবদান সবচেয়ে বেশি। ৫৭ ম্যাচে ৫৮ গোল করেন চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। কোপা আমেরিকায়ও মেসির নেতৃত্বেই রানার্সআপ হয়েছে আর্জেন্টিনা। রোনাল্ডোর ২০১৪-১৫ মৌসুম কেটেছে অম্লমধুর অভিজ্ঞতায়। পর্তুগীজ তারকার দল রিয়াল মাদ্রিদ একটি শিরোপাও জিততে পারেনি। তবে গত দুবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার ব্যক্তিগতভাবে সফলই ছিলেন। সবমিলিয়ে ৫৪ ম্যাচে ৬১ গোল করা রোনাল্ডো লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতাও হন। বার্সিলোনা সতীর্থ মেসির মতো গোল করতে পারেননি সুয়ারেজ। গত মৌসুমে ৪৩ ম্যাচ খেলে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার ২৫ গোল করেন। তবে সংখ্যায় কম হলেও সুয়ারেজের কিছু গোল ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মার্চে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লা লিগায় এবং জুনে জুভেন্টাসের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে তার গোলেই শিরোপার পথ সুগম হয়েছিল বার্সিলোনার। ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্লাবের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে খেলার সুযোগ পান সুয়ারেজ। একদিকে দেরিতে মৌসুম শুরু তার ওপর ছিল প্রথম দিকের ফর্মহীনতা, সব মিলে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাওয়াটা অনেকের কাছে কিছুটা চমক হতে পারে। তবে মৌসুমের মাঝপথ থেকে কাতলানদের হয়ে অসাধারণ ধারাবাহিক পারফর্মেন্সই তাকে সেরা তিনে জায়গা করে দিয়েছে। গত মৌসুমের প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই রোনাল্ডো ও মেসির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেরা গোলদাতা হওয়ার লড়াই ছিল। শেষ পর্যন্ত দুই জনের কেউই কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। দুই জনেরই এখন চ্যাম্পিয়ন্স লীগে গোল ৭৭টি করে। তবে সার্বিকভাবে দলগত সাফল্যে এগিয়ে থাকা মেসিই ইউরোপ সেরা হতে যাচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। সেরা তিনের পেছনে থেকে জুভেন্টাসের গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন চতুর্থ, বার্সার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার পঞ্চম ও চেলসির বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড ইডেন হ্যাজার্ড ষষ্ঠ স্থানে আছেন। এর আগের চার মৌসুমের তিনবারই সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি-রোনাল্ডো দু’জনই ছিলেন। শুধু গত মৌসুমে তিনজনের তালিকায় ছিলেন না আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ডিফেন্ডার হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ তারকা সার্জিও রামোসকে সবার সেরা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নেইমার।
×