ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডোপ-নিষিদ্ধ ২৮ এ্যাথলেট

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৪ আগস্ট ২০১৫

ডোপ-নিষিদ্ধ ২৮ এ্যাথলেট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ডোপিং কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ২৮ এ্যাথলেটকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব এ্যাথলেটিকস গবর্নিংবডি। ২০০৫ সালে হেলসিঙ্কি এবং ২০০৭ সালে ওসাকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ডোপ নেয়ার কারণে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়। আর এই বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চত করেছে বিশ্ব এ্যাথলেটিকস গবর্নিং বডি। দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় ৩২ এ্যাথলেটকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই তালিকা থেকে ২৮ জনকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এদের বেশিরভাগ এ্যাথলেটই অবসরপ্রাপ্ত। তবে কিছুসংখ্যক রয়েছেন যারা এখনও ক্রীড়াজগতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। আর তাদের কেউ বেজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এটাও জানিয়েছে যে তারা ডোপিং নেয়া এ্যাথলেটদের বিষয়ে সবসময়ই সক্রিয় ছিল এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। গত সপ্তাহেই ডোপিং কেলেঙ্কারি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠে বিশ্ব এ্যাথলেটিক্সে! মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে এ্যাথলিটদের সম্পর্কে। ২০০১ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ৮০০ এর বেশি এ্যাথলিট ডোপিংয়ে সন্দেহের তালিকায় ঢুকে পড়েছেন। এবং চমকে দেয়া যে তথ্য উঠে এসেছে, তা হলো, ওই তালিকায় রয়েছেন অলিম্পিক এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ৫৫ সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ। যা কাঁপিয়ে দিয়েছে এ্যাথলেটিক্স জগতকে। গত লন্ডন অলিম্পিকের ১০ পদকজয়ীও আছেন তালিকায়। স্বাভাবিকভাবেই নড়েচড়ে বসেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা (আইওসি)। সেখানে বলা হয়, অলিম্পিকে অংশ নেয়া কোন এ্যাথলিটের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইওসি জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব এ্যান্টিডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা)। আইওসির সভাপতি টমাস বাখ বলেন, ‘অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত কোন এ্যাথলিটের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি হলে সংস্থার নীতি অনুযায়ীই তাকে শাস্তি দেয়া হবে।’ উল্লেখ্য, ৫ হাজার এ্যাথলিটের ১২ হাজার রক্তের নমুনা পরীক্ষার তথ্য রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন অফ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কাছে। আইওসি সূত্র অনুযায়ী, গত ১০ বছরের অলিম্পিক ডোপিং স্যাম্পল রাখা আছে তাদের কাছে, প্রয়োজন পরলে তা যাতে আবার পরীক্ষা করা যায়। বাখ জানিয়েছেন, ওয়াডার তদন্তের ওপর তাদের পূর্ণ আস্থা আছে এবং প্রয়োজনে তাদের যে কোন সাহায্যে প্রস্তুত আইওসি। তাই বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের আগে ডোপিংয়ের এই খবর এ্যাথলেটদের জন্য কঠোর সতর্কবার্তা হিসেবেও মনে করছেন অনেকে।
×