ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা অবশেষে ভারতের সুপ্রীমকোর্টে মামলা করলেন ফেলানীর বাবা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৫ আগস্ট ২০১৫

ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা অবশেষে ভারতের সুপ্রীমকোর্টে মামলা করলেন ফেলানীর বাবা

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ ফেলানী হত্যাকা-ের ন্যায়বিচার পাবার লক্ষ্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মাধ্যমে এবং ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) এর সহযোগিতায় ভারতের সুপ্রীমকোর্টে শুক্রবার মামলা দায়ের করেছেন ফেলানীর বাবা। ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম পুনরায় সঠিক বিচার পাবার আশায় ৮ জুলাই বুধবার দুপুরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) নির্বাহী পরিচালক কিরীট রায়ের কাছে ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচারের কার্যকরী উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে একটি আবেদন জানিয়েছিল। জানা গেছে গত ৩০ জুন ৩ মাস ৫ দিন পর বিচার কাজ শুরু হয়। বিএসএফের বিশেষ আদালতের সোনারী ছাউনিতে বিএসএফের আধিকারীক সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেল বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই বিচারকাজ পরিচালিত হয়। আদালত ৩ কার্যদিবস চলার পর ২ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়ে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে আদালত। ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম নুরু জানান, দুই দফা সাক্ষ্য দেয়ার পরও তার মেয়ের হত্যার ন্যায্য বিচার পাননি তিনি। তিনি এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার মতে অমিয় ঘোষের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। তা না করে ভারতের বিএসএফ বিচারের নামে তামাশা করেছে। তাই ভারত সরকারের কাছে সঠিক বিচার পাবার আশায় উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আবেদনপত্রে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম জানান, গত ৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে আমার কন্যা ফেলানী খাতুনকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নং ৯৪৭ এর কাছে বিএসএফ সদস্যদের কাছে গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিল। এ ঘটনার পর বিএসএফ তার আদালতে বিএসএফ সদস্য অমিও ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করে।
×