ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন ত্রাণকর্মীকে ধর্ষণ করেছিলেন বাগদাদী

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৬ আগস্ট ২০১৫

মার্কিন ত্রাণকর্মীকে ধর্ষণ করেছিলেন বাগদাদী

সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গীদের হাতে জিম্মি থাকাকালে আমেরিকান ত্রাণকর্মী বেইল মালারকে বারবার ধর্ষণ করেছিলেন গ্রুপের শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদী, মার্কিন কর্মকর্তারা এবিসি নিউজকে এ কথা বলেছেন। খবর বিবিসি ও টেলিগ্রাফ অনলাইনের। কর্মকর্তারা বলেন, মালার (২৬) আবু বকর আল বাগদাদীর ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বারবার। মালারকে ২০১৩ সালে সিরিয়ার আলেপ্পোতে অপহরণ করে আইএস জঙ্গীরা। তিনি তখন সেখানে ত্রাণকাজে জড়িত ছিলেন। সন্ত্রাস দমন কর্মকর্তারা জুনে মালারের মা বাবাকে অবহিত করেন যে, আল বাগদাদীর ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তাদের মেয়ে। মালারের মা-বাবা মার্শা ও কার্ল মালার মার্কিন কর্মকর্তাদের বলেছেন, স্বঘোতি খলিফা আল-বাগদাদী তাদের মেয়েকে তার স্ত্রী হিসেবে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধরে নিয়ে বার বার তাকের ধর্ষণ করেছিল। তারা এবিসি নিউজকে বলেছেন, আমাদের জানানো হয়েছে যে, মালারকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল এবং সে বাগদাদীর সম্পতিই মার্শা ও কার্লকে জানানো হয়, ত্রাণকর্মী মালার কিছু সময় আইএসের অর্থদাতা আবু সায়াফ ও তার স্ত্রী উমসায়াফের হাতে আটক ছিল। আল বাগদাদী মায়াফের বাড়িতে তার সঙ্গে যৌন আচরণে লিপ্ত হতে মালারকে বাধ্য করেছিল মালারের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা। এক মার্কিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আইএসের শীর্ষ কর্মকর্তা আবু সায়াফের বাড়িতে আটক বেশ কয়েকজন যৌনদাসীর অন্যতম ছিলেন মালার। আটকাবস্থায় মালারের মৃত্যু হয়েছে। এ কথা ঘোষণা করা হয় ফেব্রুয়ারিতে। আইএস বলেছে, মালার জর্দানের বিমানহামলায় নিহত হয়েছেন। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা ও অন্যান্য আইএসের ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, তিনি কোথায় বা কখন মারা গেছেন এ রকম কোন আভাস নেই। তার পরিবার বলেছে, তারা মনে করেন, আইএসই তাকে হত্যা করেছিল। মালার অভাবনীয় অবস্থায় দেড় বছর আটক ছিলেন। তার পরিবার বলেছে, এফবিআই তাদের অবহিত করেছে যে, তাদের মেয়ের ওপর বন্ধী অবস্থায় বার বার যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সিরিয়ায় আইএস জঙ্গীদের হাতে আটক রয়েছে কয়েক শ নারী ও মেয়ে। এদের মধ্যে অনেকে ইয়াজিদী বংশোদ্ভূত। জঙ্গীরা তাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মনে করা হয়।
×