বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক কারণে জীবনের বিভিন্ন পর্বে জেল খেটেছেন। জেল থেকেও তিনি নেতাকর্মীদের চিঠি লিখে নানা নির্দেশনা এবং প্রণোদনা দিতেন। কারাগারের বাইরে থাকলে নিয়মিত পত্রমাধ্যমে জেলা ও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তাদের ভাল-মন্দ, হাসি-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ‘শেয়ার’ করতেন। ষাটের দশকে জেল ও জেলখানার বাইরে থেকে বঙ্গবন্ধু প্রচুর পত্র লিখেছেন জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের। সেসব পত্রে তিনি রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা দিতেন। মফস্বল থেকে নেতাকর্মীরাও তাঁকে চিঠি লিখতেন। সেসব পত্রে তারা নিজেদের সুখ-দুঃখ, কষ্টের বর্ণনা দিতেন। রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয়ে তারা পরামর্শ চাইতেন। বঙ্গবন্ধু তাদের পরামর্শ দিতেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিজ নাম লেখা পত্রে উত্তর দিতেন। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাকাকালে, স্বাধীনতার পর প্রচুর চিঠি আসত। সেসব পত্রের জবাবদানের কাজটি করতেন প্রেস বিভাগের কর্মকর্তারা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেসব চিঠিপত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিয়ে গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠিপত্রের খুব একটা হদিস মেলে না। একই অবস্থা বঙ্গবন্ধুর জবাবসহ পত্রগুলোরও।
নব্বই দশকে বিভিন্ন জেলা সফরকালে জেলা নেতাদের লেখা বঙ্গবন্ধুর অনেক চিঠিপত্র দেখেছি। ফটোকপি মেশিন সুলভ না হওয়ায় সেসবের ফটোকপি করা যায়নি। কয়েকটি পত্র সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম কুমিল্লা হতে। লাকসামে বসবাসকারী একদা গণপরিষদ সদস্য আবদুল আওয়ালের কাছে বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদের লেখা চিঠি দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর চিঠিপত্র সংগ্রহ করার কাজটি হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্ট বা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনও বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে, এমনটা নয়। দেশ, জাতি ও ইতিহাসের স্বার্থে তাই বঙ্গবন্ধুর চিঠিপত্র সংগ্রহ করা জরুরী।
জাফর ওয়াজেদ
বাবর রোড, ঢাকা
দেশের প্রথম নারী প্রক্টর
দেশের প্রথম নারী প্রক্টর কে? প্রফেসর ড. কাজী শাহানারা আহমেদ নাকি ড. মোসা. হালিমা খাতুন? এ নিয়ে সম্প্রতি ঝড় উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
প্রফেসর ড. কাজী শাহানারা আহমেদ দেশের প্রথম নারী প্রক্টর, এ কথা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মিডিয়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিইসিই বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মোসা. হালিমা খাতুনকে দেশের প্রথম নারী প্রক্টর হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভুল। দেশের প্রথম নারী প্রক্টর প্রফেসর ড. কাজী শাহানারা আহমেদ। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মো. আব্দুর রহমান
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
চিকিৎসাসেবা
চিকিৎসা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। ধনী-গরিব সকলেই চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখে। আমাদের দেশের প্রায় সব মানুষই কোন না কোন রোগে ভুগছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ভেজাল খাবার’ যা সব রোগের জনক। যে হারে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে সে হারে তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না কোথাও। চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দরিদ্র মানুষ। চিকিৎসা নিতে গেলে মনে হয় চিকিৎসা পাওয়ার কোন অধিকারই তাদের নেই। সরকারী-বেসরকারী কোন মেডিক্যালেই প্রাপ্য সেবাটুকু পাওয়া যাচ্ছে না বর্তমানে। আর প্রাইভেট ক্লিনিক ও চেম্বারগুলোতে গেলে গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু সেখানেও পাওয়া যায় না সঠিক মানের সেবা। কারণ সেখানেও রয়েছে অসাধু ডাক্তারদের ছড়াছড়ি। অধিকাংশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও চেম্বার পরিচালিত হচ্ছে ভুয়া ডিগ্রীধারী ডাক্তার দ্বারা, বেশিরভাগ এমবিবিএস ডাক্তার তাদের ব্যবসার খাতিরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নামের পেছনে (ঋজঝঐ,গঅঈচ,ঝঅঈচ,ঋঈচঝ (রহপড়ঁৎংব), ও পার্ট ওয়ান অথবা পার্ট টু কেউ বা চূড়ান্ত পার্টসহ বিভিন্ন ডিগ্রী উল্লেখ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, এসব ডিগ্রীর সঙ্গে সঙ্গে লন্ডন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষালাভের কথা উল্লেখ করে থাকেন। সামান্য টাকা খরচ করলেই এসব সার্টিফিকেট পাওয়া যায় হাতের কাছে। সব মিলিয়ে চিকিৎসা এখন সেবার মধ্যে নেই। এটি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সরকার বার বার পদক্ষেপ নিয়েও এসব বন্ধ করতে পারেনি শুধুমাত্র কিছু প্রভাবশালী অসাধু নেতা ও কর্মকর্তার কারণে। চিকিৎসার এই ভয়াবহ অবস্থার কারণে প্রতিদিন শত মানুষকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।
নিলুফার ইয়াছমিন মারিয়াম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
দায়ী কে?
দেশের বুকে যে শিশু থেকে বৃদ্ধ, ধনী-গরিব, অসহায়-প্রতিবন্ধী আমরা কেউই নিরাপদ নই, তা জেনেছি অনেক আগেই এবং মানতেও বাধ্য হয়েছি। কিন্তু এটা ভাবতে অবাক লাগে যে, পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় মায়ের গর্ভে থাকা শিশুরও নিরাপত্তা নেই! এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মাগুরায় সংঘটিত ন্যক্কারজনক এ সংবাদটি দেখে আঁতকে উঠেছি। পুরো ঘটনায় বেকুব বনে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। ঘটনাটা যতই ভুলে থাকতে চাই ততই মনে হয় আমরা অন্ধকার যুগকেও হার মানিয়েছি। তথ্যপ্রযুক্তির এ সময়ে আমরা কোথায় চলেছি, এর উত্তর দেয়া খুব কঠিন। নরপিশাচরা মায়ের পেটে নিরাপদে থাকা শিশুকে গুলিবিদ্ধ করে নির্বিঘেœ গা-ঢাকা দিয়েছে। এসবের জন্য দায়ী কে?
ইয়াসমিন নূর
মিটফোর্ড, ঢাকা