ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালন

রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার শপথ

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৬ আগস্ট ২০১৫

রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনীদের অবিলম্বে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি এবং জঙ্গীবাদ ও রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শনিবার সারাদেশে জাতির জনকের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, শোক র‌্যালি ও আলোচনাসভা। স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : চট্টগ্রাম দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলো বিস্তারিত কর্মসূচী পালন করে। নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেট কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। উত্তোলন করা হয় কালোপতাকা। ধারণ করা হয় কালোব্যাজ। এছাড়া জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, খতমে কোরান, দোয়া মাহফিল, গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া মহানগরের আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড ও দলীয় কাউন্সিলরদের উদ্যোগে মেজবানের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন পৃথক কর্মসূচীর আয়োজন করে। প্রেসক্লাবের সামনে স্থাপিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা স্মৃতিচারণ করে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের বেশকিছু তরুণ রাজপথে নেমেছিল। চেষ্টা চালানো হয় জয়বাংলা সেøাগান দিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে। এ প্রক্রিয়ায় তরুণদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজে। তিনি জানান, বড় পরিসরে তখন তরুণরা প্রতিবাদ করতে পারেনি। তবে সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। শোক দিবসের প্রাক্কালে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। সামরিক আইনে প্রায় ছয় মাস কারাভোগ করে রাজশাহী কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পর তিনি ভারত চলে যান। ভারতে অবস্থানকালে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা করার পর চট্টগ্রামে বড় কোন অপারেশন করতে না পারলেও তিনি ও তার সহযোগীরা প্রতিদিন গ্রেনেড চার্জ করতেন। রংপুর সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং শোক শোভাযাত্রা নগর প্রদক্ষিণ করে। পরে রংপুর টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় জাতীয় এই শোক দিবস। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া কলেজ, কারমাইকেল ও সরকারী রংপুর কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যথাযথভাবে দিবসটি পালিত হয়। মুন্সীগঞ্জ আলোচনায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি। জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ শহিদুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ কাদের মোল্লা, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি এটিএম দেলোয়ার হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুফতি সারোয়ার হোসাইন, গোলাম মাওলা তপন, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ পাভেল। র‌্যালিতে এসব আলোচক ছাড়াও অংশ নেন বঙ্গবন্ধুর চীফ সিকিউরিটি অফিসার জেলা পরিষদ প্রশাসক মহিউদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস-উজ-জামান, অধ্যাপক সুখেন চন্দ্র ব্যানার্জী ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আক্তার-উজ-জামান রাজিব প্রমুখ। নওগাঁ দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, প্রজন্ম লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাগণ বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করে। বরগুনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শোকর‌্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শেষ হয়। র‌্যালিতে আওয়ামী লীগ, সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। যশোর দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার, ড. হুমায়ুন কবির, রাজেক আহমেদ, আনিসুর রহমান, প্রফেসর নমিতা রানী বিশ্বাস, শাহিন চাকলাদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। নেত্রকোনা সকাল নয়টায় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, ড. তরুণ কান্তি শিকদার, জয়দেব চৌধুরী, এসএম কামরুল হাসান, প্রশান্ত কুমার রায়, মতিয়র রহমান খান, আশরাফ আলী খান খসরু, নূরুল আমিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিৃকতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সুনামগঞ্জ জেলা কালেক্টরেক্ট চত্বরে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন, শেখ রফিকুল ইসলাম, হারুন অর রশীদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোকর‌্যালি, আলোচনা সভা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিল, মন্দির-গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শোকর‌্যালির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি। শোকর‌্যালিটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। খুলনা খুলনায় প্রশাসন, মহানগর, জেলা ও থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে সাংসদ তালুকদার মোঃ ইউনুস, সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজসহ জেলা ও মহানগর আ’লীগের নেতাকর্মীরা সকাল আটটায় শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। একই সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের অবাক্ষ ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পালন করে পৃথক পৃথক কর্মসূচী। আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, শহরের কেন্দ্রস্থল মজমপুর গেটে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন, শোক র‌্যালি ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাঙালী ভোজ। কুড়িগ্রাম দিনের প্রথম প্রহরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় শোক পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে শোকাবহ দিনের সূচনা করা হয়। পরে কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু ম-লের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাফর আলী, সিরাজুল ইসলাম টুকু প্রমুখ। গাজীপুর জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কালো পতাকা উত্তোলন, শোক র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও খাদ্য বিতরণ প্রভৃতি। রাজশাহী প্রদীপ প্রজ্বলন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র‌্যালি, চিত্র প্রদর্শনী ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতীয় শোক দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে নগরীর লক্ষ্মীপুরস্থ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। পরে এক মিনিটি নীরবতা ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী, আক্তার জাহান, আয়েন উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী জিনাতুন নেছা তালুকদার, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। সকালে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযীমসহ দলের নেতাকর্মীরা। বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যান থেকে বিশাল শোক র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ র‌্যালিতে ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এবং এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা, সিভিল সার্জন অরুন কুমার ম-ল, প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট শাহ আলম টুকুসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ঠাকুরগাঁও র‌্যালি, আলোচনাসভা, চিত্রাঙ্কন, রচনা লিখন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বলা প্রতিযোগিতা ও মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পটুয়াখালী সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সরকারী-বেসরকারী অফিস আদালতসহ বাসা বাড়িতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল ৯টায় সার্কিট হাউসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন। পরে জেলা আওয়ামী লীগ, ও তার অঙ্গ সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ভোলা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র‌্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দোয়া-মিলাদ, আলোচনা সভা এবং কাঙালি ভোজসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য এক শোক র‌্যালি বের হয়। হবিগঞ্জ শহরের কালেক্টরেট ভবন, নিমতলাসহ জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে তিন দিনব্যাপী নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচীর প্রথম দিনে সরকারী-বেসরকারী নানা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, দোকানপাটে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি শহরের রূপালী ম্যানশন সম্মুখে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা সকালে নগরীর টাউনহল মাঠ থেকে একটি বিশাল শোক র‌্যালি বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পৌরপার্কের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও স্থানীয় জেলা-পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে রামঘাটলাস্থ দলীয় কার্যালয়ে এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর টাউন হলে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শোক শোভাযাত্রা বের করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের লোকনাথ দীঘির পাড় থেকে শোকর‌্যালি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে শহর প্রদক্ষিণ করে। টাঙ্গাইল শহীদদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নেন মনোয়ারা বেগম এমপি, জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক ডিপটি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের প্রমুখ। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালিত হয়। এদিন সকালে সার্কিট হাউসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালি বের করা হয়। নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে মোনাজাত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের কানাইখালি স্টেডিয়াম মাঠ থেকে শোকর‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারে গিয়ে শেষ হয়। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালোপতাকা উত্তোলন, জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোকর‌্যালি ও বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোকর‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য ইয়াং বাংলার আহবায়ক নাহিম রাজ্জাক। মানিকগঞ্জ সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও কালোপতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বেলা ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোকর‌্যালি বের করা হয়। নীলফামারী জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও জেলার প্রতিটি স্কুল-কলেজে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। বাদ জোহর প্রতিটি মসজিদে মিলাদ মহফিল ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। শনিবার সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালোব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পু®পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। এরপর শোকর‌্যালি, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বের করা হয় শোকর‌্যালি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোঃ সামশুল আরেফিন নেতৃত্ব দেন এই শোকর‌্যালিতে। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা, স্কাউট, গার্লস গাইড, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সর্বস্তরের লোক অংশ নেয় শোকর‌্যালিতে। পরে শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি শোক র‌্যালি পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়া পাঠে মিলিত হয়। র‌্যালিতে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য দিলারা বেগম আছমা, জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ, জেলা পরিষদের প্রশাসক জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খানসহ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। পাবনা সকাল সাড়ে ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পাবনা কালেক্টরেট মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সকাল সাড়ে ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির আলোচনা সভা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামদ, নাদ প্রতিযোগিতা, দোয়া মাহফিল, বেকার যুব ঋণ বিতরণ, আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, হিফজুল কোরান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, দুস্থ এতিম শিশুদের উন্নতমানের খাবার বিতরণ ও চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদশর্নীর আয়োজন করা হয়। সিলেট সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। শনিবার ভোরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। সিলেট আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়সহ জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করার পাশাপাশি কালোপতাকা উত্তোলন করা হয়। এ উপলক্ষে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী-বেসরকারী অফিস বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে । জোহরের নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এছাড়া মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে শোকর‌্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহীদ আব্দুল রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংসদ রিফাত আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনছুর আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ প্রমুখ। সিরাজগঞ্জ দিবসের শুরুতে জেলা শহরের এসএস রোডে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালোপতাকা উত্তোলনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। গরিব-দুখীদের মধ্যে খাবার বণ্টন শেষে সকালে দলীয় কার্যালয় থেকে শোকর‌্যালি বের হয়ে বাজার স্টেশনসহ শহর প্রদক্ষিণ করে। নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। অপরদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরে র‌্যালি বের হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন। র‌্যালি শেষে শহীদ মনসুর আলী অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ স্থানীয় ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালোপতাকা উত্তোলন, ডিসি অফিস চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, পবিত্র কোরানখানি, দোয়া মাহফিল ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ৯টায় দিনাজপুর একাডেমি প্রাঙ্গণ হতে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম ও পুলিশ সুপার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে শোকর‌্যালি শহরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে। কক্সবাজার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন। পরে মৌন র‌্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে হলিডে মোড় ও শহর প্রদক্ষিণ করে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। মাদারীপুর সকালে নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে স্থানীয় স্বাধীনতা অঙ্গন থেকে শোকর‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জাতির পিতার প্রতিকৃতি মঞ্চে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, মসজিদে কোরানখানি, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়। লালমনিরহাট লালমনিরহাট সদরে শোক র‌্যালিতে অংশ নেন এমপি ইঞ্জিনিয়ার আবু সালে মোহাম্মদ সাইদ, লালমনিরহাট মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি এ্যাডভোকেট সপুরা বেগম রুমি, মতিয়ার রহমান। হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ কালীগঞ্জে হেলিকপ্টরে চড়ে রাজকীয় কায়দায় বিয়ে করতে আসেন ঢাকার হাইকোর্টের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম। কালীগঞ্জ উপজেলা হিজলা চ-ীপুর গ্রামে তার বাড়ি। শুক্রবার দুপুরের পরে সাদা রঙের একটি হেলিকপ্টর চড়ে কালীগঞ্জের সামাদ স্মৃতি ফুটবল মাঠে নামলে অসংখ্যক দর্শনার্থী বর ও হেলিকপ্টার দেখার জন্য ভিড় জমায়। উপজেলার নলতা ইউনিয়নের হিজলা চ-ীপুর গ্রামের ফজর আলীর পুত্র এ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম ঢাকার হাইকোর্টে প্রাকটিস করেন। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার সমাবেশ স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ জাতীয় শোক দিবসে লৌহজংয়ে উপজেলার খেদেরপাড়া বাসস্ট্যান্ড মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক হুইপ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফকির আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট ঢালী মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া, আব্দুর রশিদ শিকদার প্রমুখ।
×