ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২৫ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১৬ আগস্ট ২০১৫

গত সপ্তাহে লেনদেন  কমেছে ২৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সব ধরনের মূল্য সূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। সপ্তাহটিতে বড় মূলধনী কোম্পানির দর কমলেও বেড়েছে স্বল্প মূলধনী বা জাঙ্ক শেয়ারের দর। মূলধনী জাঙ্ক শেয়ারগুলোর দর বাড়ার কারণেই বাজারে লেনদেনে কিছুটা মন্দাবস্থা ছিল। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৯ কোটি ৮৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ১৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৬৫ শতাংশ। এদিকে, ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ বা ৫৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ২৭ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৫১ শতাংশ বা ৬ দশমিক ০৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৪টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে এই পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও ১৫ এর ঘরে অবস্থান করলে বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ থাকে। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬ দশমিক ৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৮ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ৩৯ দশমিক ৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ৩১ দশমিক ২ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩১ দশমিক ৬ পয়েন্ট, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ১৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট, সাধারণ বীমা খাতে ১১ দশমিক ১ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ১৮ দশমিক ২ পয়েন্টে, পাট খাতের মাইনাস ২৫ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ৩২ দশমিক ৮ পয়েন্ট, এনবিএফআই খাতের ১৮ দশমিক ৪ পয়েন্টে, কাগজ খাতের ১৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২২ দশমিক ৯ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ৩০ দশমিক ৬ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ২৮ দশমিক ৪ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতে ২২ দশমিক ৬ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১৩ দশমিক ৬ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ফার কেমিক্যাল, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, আরএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, বিএসআরএম, এ্যাপোলো ইস্পাত ও স্কয়ার ফার্মা। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : নদার্ন জুটস, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, এ্যাপেক্স ট্যানারি, কোহিনূর কেমিক্যাল, সায়হাম কটন, আর্গন ডেনিমস, ইসলামী ব্যাংক, জেমিনি সী ফুড, এমারেল্ড অয়েল ও এইচআর টেক্সটাইল। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সন্ধানী লাইফ, ৪র্থ আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, বিচ হ্যাচারী, ২য় আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, ৬ ষষ্ঠ আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, বিডি ওয়েল্ডিং, আইএসএন, নদার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ১ম বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে, সিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০২ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২৩ কোটি ৮১ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, দর কমেছে ১৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।
×