ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর ঘাতক খন্দকার মোশতাকের বাড়ি ঘেরাও

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৭ আগস্ট ২০১৫

 বঙ্গবন্ধুর ঘাতক খন্দকার  মোশতাকের বাড়ি ঘেরাও

নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, ১৬ আগস্ট ॥ রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও খুনী বলে পরিচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাকের দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের দশপাড়া গ্রামের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচী পালন করতে পারেনি পুলিশী বাধায়। দুপুর ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর ট্রমা সেন্টার মাঠে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে এসে মিলিত হয় এবং একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেল ৪টায় দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব) মোহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে শহীদনগর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমেদের বাড়ি ঘেরাও উদ্দেশে রওনা হয়। মিছিলটি শহীদনগর-জুরানপুর সড়কের বাগুলপুর এলাকায় পৌঁছলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বালু বোঝাই ট্র্যাক্টর দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মী দশপাড়া মোশতাকের বাড়ি যেতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ঘিরে রাখে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ব্যারিকেড ভাঙ্গতে না পারায় সড়কে বসে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে নেতাকর্মীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা রাস্তায় অবস্থান করে দলীয় নেতাকর্মীরা একে একে বক্তব্য দেন। বিকাল সাড়ে ৫টায় দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব) মোহাম্মদ আলী সুমন বক্তব্য রেখে কর্মসূচী সমাপ্ত ঘোষণা করেন। এদিকে সকাল থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম খন্দকার মোস্তাক আহমদের বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নজরদারিতে রাখে পুরো এলাকা। আশপাশের সড়ক ও এলাকায় জোরদার করা হয় পুলিশী টহল। নজরদারি করা হয় মানুষের গতিবিধির ওপর। সড়কের আশপাশ, ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন দোকানে সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শহীদনগর ট্রমা সেন্টার এলাকাটিও পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যে কোন অপ্রীতিকর বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিয়োগ করা হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী আফরোজকে। সকাল থেকেই প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাকের বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে উৎসক জনতা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে পুরো বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্তক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে খন্দকার মোস্তাক আহমেদের বাড়ি নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। সমাবেশে বক্তরা বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও খুনী খন্দকার মোস্তাকের সকল সম্পত্তি সরকারের কোষাগারে নেয়ার জোর দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব) মোহাম্মদ আলী সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব চৌধুরী লিল মিয়া, সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়র আঃ ছালাম চেয়ারম্যান, উপজেলা শ্রমীক লীগ সভাপতি মোঃ রকিব উদ্দিন রকিব, ছাত্রলীগ নেতা হেলাল মাহমুদ, দেওয়ান জানে আলম রাসেল প্রমুখ।
×