ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুগল হাশমী

মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ও আমরা

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৭ আগস্ট ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ও আমরা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানব ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকা-ের শিকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, আমার প্রিয় মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা শাহাদাতবরণ করেন। বিদেশে থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। খুব মনে পড়ে বন্ধু, বড় ভাই ’৭১-এর প্রথম ওয়ার ফোর্সে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালকে। আমি ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর আমার বন্ধু শেখ কামালের সহপাঠী সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয় কর্মী নাজমুল হক কোহিনুর (১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল মুহসীন হলে আলোচিত সেভেন মার্ডারে নিহত) বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের সঙ্গে আমার পরিচয় করে দেয় এভাবে, ‘যুগল হাশমী, মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকা কলেজের ছাত্র, ছাত্রলীগ কর্মী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছে।’ শেখ কামাল আমার পরিচয় পর্বে আরও জানতে পারে আমি তার সহযোদ্ধা ফাস্ট ওয়ার গ্রুপের কমিশনপ্রাপ্ত হাশমী কামালের ছোট ভাই (মেজর অবসরপাপ্ত হাশমী কামাল জিয়া হত্যার আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়ে বন্দী হয়ে এবং সেনাবাহিনীর চাকরি হতে সরে যায়)। পরিচয় পর্বের শুরুতেই আমাকে বলে, ‘তুমি আমার সহযোদ্ধা মিতা কামালের ছোট ভাই, আজ থেকে তুই আমার ছোট ভাই। সব সময় আমার পাশে থাকবি। কোন প্রয়োজন হলে জানাবি।’ পরিচয়ের প্রথম দিন থেকে মৃত্যুদিন পর্যন্ত আমি শেখ কামালের পাশে থেকেছি এবং রাজনৈতিক কর্মকা-ে তার নির্দেশেই চলেছি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও আমার বিচরণ ছিল শেখ কামালের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। আমার বন্ধু-বান্ধব বেশিরভাগ ছিল সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রী। শিক্ষক ও ছাত্ররা আমাকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মনে করত। ১৫ আগস্ট ভয়ঙ্কর রাতের কথা বলার আগে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের সঙ্গে আমাদের কিছু ঘটনার কথা বলা প্রয়োজন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বহু আগেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তার আলামত আমরা বিভিন্নভাবে কিছু ঘটনার মধ্যে প্রত্যক্ষ করি। সেজন্য ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল রাতের কথা বলার আগে কিছু পূর্বকথা বলতে চাই। ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের আলোচিত সেভেন মার্ডারের মূল টার্গেট ছিলাম আমি ও আমার বন্ধু কোহিনুর। এই আলোচিত হত্যাকা-ে আমাদের চারজন রুমমেটসহ আমাদের রুমে ঐদিন অবস্থানকারী অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রসহ মোট সাতজন নিহত হয় এবং ভাগ্যচক্রে আমাদের রুম থেকে মুহসীন হলে হত্যার জন্য নিয়ে যাওয়া ৮ম ছাত্র আমার বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাসান বেঁচে যায়। ছাত্রলীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী বর্ণচোরা সর্বহারা পার্টির সক্রিয় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুসলিম লীগ নেতা গমিরউদ্দিন প্রধানের ছেলে তদানীন্তন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানই ছিল এই হত্যাকা-ের মূল নায়ক। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মুহসীন হলে সেভেন মার্ডার করা হয়। খুনীদের এই হত্যাকা-ের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্র হত্যা করে ভীতিময় পরিবেশ তৈরি করা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির দোহাই দিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নামে আর্মিকে মাঠে নামানো এবং মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, তারুণ্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালকে সেভেন মার্ডারের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুর সরকারকে দুর্বল করা। খুনী শফিউল আলম প্রধান সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে গোপনে যুক্ত আছে এই কথা যখন আমরা প্রমাণসহ শেখ কামালকে জানাই তখন থেকেই প্রধান আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। মুহসীন হলের আলোচিত ৭ ছাত্র হত্যাকা-ের সময় শেখ কামাল দেশের বাইরে রাশিয়ায় ছিল এবং ৪ এপ্রিল ১৯৭৪ সালে ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে মুহসীন হলে নিহতদের দেখতে এসে আমাকে জীবিত দেখে ভাইয়ের মতো আন্তরিকভাবে জড়িয়ে বলে, ‘তুই বেঁচে আছিস, আমি প্লেনে শুনেছিলাম কোহিনুরদের সঙ্গে তুইও মারা গেছিস।’ সেভেন মার্ডারের পর পরই আমি নাসিম ওসমানসহ নিহতদের বন্ধু-সহপাঠীরা সেভেন মার্ডারের প্রতিশোধের জন্য যখন খুব ক্ষিপ্ত ছিলাম, সেই সময় ৬ এপ্রিল শেখ কামালকে সেভেন মার্ডারের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বর্ণনা করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি লিফলেট প্রচার করা হয় এবং আমাকে বিশেষ একটি মহল থেকে প্ররোচিত করা হয় যাতে আমি সেভেন মার্ডারে যারা নিহত হয়েছে তাদের আত্মীয়স্বজনদের দিয়ে শেখ কামালসহ ছাত্রলীগের নেতাদের নামে অভিযোগ দায়ের করি। আমরা প্রথম দিকে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও নিজের ওপর বিশ্বাস নিয়ে শেখ কামালকে উপরোক্ত ঘটনাবলী জানালে শেখ কামাল আমাকে বলে, ‘তোরা হত্যাকারীদের ব্যাপারে কোন রকম খবর রাখিস না, এই হত্যাকা- একটা ষড়যন্ত্র, যার অংশ হিসেবে আমাকে জড়াতে চাচ্ছে। তোরা এখন বন্ধুদের হত্যার প্রতিশোধের জন্য উগ্র। তোদের চিন্তা শক্তি ঠিকভাবে কাজ করছে না।’ তখন পর্যন্ত আমরা ৪ এপ্রিল বেঁচে যাওয়া ৮ম ছাত্র হাসানের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। কামাল ভাই প্রথমে আমাদের বেঁচে যাওয়া বন্ধু হাসানের কথা বলে এবং প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাসান শেখ কামালকে সব জানিয়েছে বলে জানায়। কামাল ভাইয়ের কথা শুনে এখন আমাদের কি করা উচিত জানতে চাইলে সে বলে, মাথা ঠা-া রাখ, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। পরবর্তী সময়ে শেখ কামাল আমাকে ও নাসিম ওসমানকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের একটি নির্দেশ জানায়। শেখ কামাল বলে, ‘খুনীদের সরকার আইনের মাধ্যমে বিচার করবে।’ সেজন্য আমাদের ঢাকার এসপি মাহাবুব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে খুনীদের গ্রেফতার করতে সাহায্য করতে বলে এবং আইন কোনভাবেই হাতে নিতে নিষেধ করে। শেখ কামাল ও আবদুল কুদ্দুস মাখন ভাইয়ের সহযোগিতায় আমরা ঢাকার এসপি মাহাবুব সাহেবের সঙ্গে দেখা করলে মাহাবুব সাহেবের পল্টনের বাড়িতে আমরা আমাদের বেঁচে যাওয়া বন্ধু হাসানের সাক্ষাত পাই এবং তার কাছ থেকে সেভেন মার্ডারের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রকৃত ঘটনা এবং শফিউল আলম প্রধানসহ জড়িতদের সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারি। এর পর আমরা পুলিশ এবং এসপি মাহাবুবের স্পেশাল টিমের সদস্যদের সাহায্য করলে সেভেন মার্ডারে অংশগ্রহণকারী অনেক আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে সেভেন মার্ডার কেসের ট্রায়াল শুরু হয় এবং আমি একজন সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেই। বিচারে সেভেন মার্ডারের আসামিদের ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয়। কিন্তু ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের প্রকৃত নায়ক প্রেসিডেন্ট জিয়া সেভেন মার্ডারের ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত আসামি শফিউল আলম প্রধানকে ফাঁসি থেকে রেহাই দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীর অংশীদার হিসেবে পুরস্কৃত করেন এবং খালেদা জিয়া তাকে আশ্রয় দিয়ে জোটে রেখে পূর্ব ধারা রক্ষা করে চলেছেন। সাত ছাত্রকে হত্যা করে এবং প্রকাশ্যে সোনার দোকান লুট করেও শফিউল আলম প্রধান এখনও বহাল আছে, তার কিছুই হয়নি। আর নিহত ছাত্রদের অভিভাবকরা এখনও কোন বিচার পেল না। ১৯৭৪ সালের মুহসীন হলের সেভেন মার্ডারের আসামি বানানোর প্রচেষ্টার মতো শেখ কামালকে ব্যাংক ডাকাত বানানোসহ বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জড়িত করার ষড়যন্ত্রও চলে। দেশবাসীকে প্রকৃত ঘটনা জানানো আমাদের একান্ত প্রয়োজন। কারণ আজও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য শেখ কামালকে নিয়ে নানা রকম গালগল্প বলে বেড়ায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বহু পূর্ব থেকেই উগ্রপন্থী এবং পাকিস্তানী পরাজিত শক্তি, বঙ্গবন্ধুর দেশী-বিদেশী শত্রুরা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে শেখ কামালকে নিয়ে বিভ্রান্ত মূলক অপপ্রচার করত। শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতি, মেজর হুদাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা, মেজর ডালিমের স্ত্রী অবমাননা বিকৃতভাবে প্রচার করা হতো। প্রকৃত ঘটনা হলো নিম্নরূপÑ ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে সর্বহারা পার্টি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানকে নস্যাৎ করার জন্য হরতালের ডাক দেয়। বিভিন্ন জায়গায় হামলা, গ্রেনেড নিক্ষেপ, হত্যার মতো পরিকল্পনার খবর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও শেখ কামালের কাছে এলে ছাত্র নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেয়, ১৫ ডিসেম্বর রাতে এবং ১৬ ডিসেম্বর দিনে ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হরতাল আহ্বানকারীদের যে কোন অপতৎপরতা এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অবস্থান নিয়ে সজাগ থাকবে এবং গাড়ি নিয়ে মোবাইল টহল দেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দেয়া গাড়ির নম্বরগুলো জানিয়ে রাখা হয়। যাতে কোন প্রকার বিভ্রান্তি না হয়। শেখ কামাল কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে এরকম টহলের দায়িত্বে ছিল। অন্য নেতৃবৃন্দও এরকম মোবাইল টহলের দায়িত্বে ছিল। সে সময় দৈনিক বাংলা মোড়ে এবং মতিঝিলে সর্বহারা দলের সদস্যরা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটালে কামাল ভাইকে বহনকারী মাইক্রোবাস গ্রেনেড নিক্ষেপকারী ট্যাক্সিকে চেজ করতে করতে আরামবাগ এলাকার আল-হেলাল হোটেলের সামনে গিয়ে চেজকৃত গাড়ি না পেলেও সামনে অন্য আরেকটি গাড়িকে দ্রুত ধাবমান অবস্থায় দেখে সন্দেহ করে সেই গাড়িটিকে থামাতে চাইলে (সম্ভব পুলিশের গাড়ি ছিল) তারা শেখ কামালের গাড়িকে না চিনে হরতালকারীদের গাড়ি মনে করে আরও দ্রুত মতিঝিল পুলিশ ফাঁড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। শেখ কামাল যখন পুলিশ ফাঁড়ির কাছে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে নিজের পরিচয় দিয়ে চিৎকার করে বলে, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল’Ñ বলে এগিয়ে যায় তখন পুলিশ ফাঁড়ির সম্মুখ থেকে শেখ কামালকে লক্ষ্য করে গুলি করা হলে শেখ কামাল, বরকত, তারেক, মনি গুলিবিদ্ধ হয়। মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এই ঘটনা ঘটাতে ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ কামালের গুলি খাওয়ার ঘটনা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রচার করে শেখ কামাল বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে গুলি খেয়েছে। শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত। সত্যি ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে এটা একটা মিথ্যা অপবাদ ছাড়া কিছুই না। শেখ কামাল চিৎকার করে নিজের পরিচয় দেয়ার পরও কেন পুলিশ ফাঁড়ির মধ্য থেকে গুলি করল, তা আজও রহস্যময়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শেখ কামালকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নেয়া হয় এবং পরবর্তীতে পিজি হাসপাতালে নেয়ার পর আমরা যখন শেখ কামালকে দেখতে পিজি হাসপাতালে যাই, তখন বেগম মুজিব শেখ কামালের পাশে ছিলেন। শেখ কামাল আমাদের দেখে বলে, ‘ওরা আমাকে চিনেই গুলি করেছে হত্যার জন্য, ওদের আমি ছাড়ুম না, ওরা ষড়যন্ত্রকারী।’ ঘটনা বেদনাদায়ক হলেও ১৫ আগস্ট ’৭৫ শেখ কামাল ঘাতকদের ১৬ ডিসেম্বর ’৭৪-এর মতো বলেছিল, ‘আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল।’ তখনই ঘাতক মেজর হুদা শেখ কামালকে গুলি করে হত্যা করে। ১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর শেখ কামাল গুলি খেয়ে বেঁচে গেলেও ১৯৭৫, ১৫ আগস্ট ঘাতকের গুলিতে শহীদ হয়েছে। এখানে ১৫ আগস্টের ঘাতক মেজর হুদা ও মেজর ডালিম সম্বন্ধে একটু কথা না বললেই নয়। (চলবে)
×