ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানো কঠিন’

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৭ আগস্ট ২০১৫

‘ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানো কঠিন’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বছরটি এতই ভাল কেটেছে, যারা সমালোচনা করতেন; তারাই এখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ! বৃটেনের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাটি যেমন। ইংল্যান্ড খারাপ করলে চাছাছোলা মন্তব্য করতে ছাড়ে না। এক বাক্যে, ধুয়ে দেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ড হারার পর এ পত্রিকার শিরোনামটি ছিল এমন, ‘বাংলাদেশে নাকাল হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ল ইংল্যান্ড’। ঠিক তেমনি অন্য দলগুলো খারাপ করলেও ছাড় দেয় না। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দলগুলো বাজে খেললে। সেই পত্রিকাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রশংসা করছে! বলেছে, ‘ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানো কঠিন।’ শুধু তাই নয়, সম্প্রতি এক রিপোর্টে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমকে বছরের সেরা চার অধিনায়কের তালিকায় রেখেছে। পাকিস্তানের মিসবাহ উল হক, নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জলো ম্যাথুসের পরই মুশফিককে রেখেছে। এমনকি মুশফিকের আগে সদ্য এ্যাশেজ জেতা ইংল্যান্ড অধিনায়ক এ্যালিস্টার কুককেও রাখেনি পত্রিকাটি! আর সেখানে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের স্থান হওয়ার কোন সম্ভাবনা যে নেই, তা বোঝাই যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মুশফিকেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ। দিন যে বদলেছে। তার প্রমাণ মিলছে। এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ইতিবাচকভাবেই তুলে ধরা হয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমেও। যে সংবাদ মাধ্যমগুলো সবসময় ‘চাবুক’ নিয়ে যেন বসে থাকত। কখন বাংলাদেশ দল খারাপ করবে, আর চাবুক চালাবে। সেই সংবাদ মাধ্যমগুলোতেই এখন প্রশংসার বাণী শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি টেস্ট অধিনায়কদের একটি র?্যাঙ্কিং করেছে টেলিগ্রাফ। আমলা-ক্লার্ক-কুক-কোহলিদের ছাড়িয়ে সেখানে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের জয়জয়কার হয়েছে। অবস্থান চারে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। দুইয়ে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম, তিনে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, চারে রয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিক। এরপর পাঁচে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এ্যালিস্টার কুক, ছয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলা, সাতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, আটে ওয়ানডে-টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়া অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক, নয়ে ক্যারিবীয় টেস্ট অধিনায়ক দিনেশ রামদিন আছেন। দশ নম্বরটি করা হলে স্বাভাবিকভাবেই জিম্বাবুইয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর থাকতেন। মুশফিকের অধিনায়কত্ব নিয়ে নানা সমালোচনা আছে। এরপরও পরিসংখ্যানে, টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনিই। ২০১১ এর অক্টোবর-এ অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ৪ ম্যাচে, হার ১১ আর ড্র ৯টিতে। সাফল্যের হার ১৬.৬৬ শতাংশ। তার পরে থাকা হাবিবুল বাশারের সেখানে ৫.৫৫ শতাংশ। মুশফিকের ভূয়সী প্রশংসা করে টেলিগ্রাফ লিখেছে, ‘আগে মাঠে নামার আগেই হেরে বসত বাংলাদেশ। তবে লড়াকু উইকেটরক্ষক মুশফিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন নামে জিততে। নয়ত অন্তত লড়াই করতে নামে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুত সময়ে নিজেদের সেরা করে তুলেছে। ঘরের মাঠে তাদের হারানো কঠিন। নিজেদের মাটিতে সর্বশেষ ১২ ম্যাচের মাত্র দুটিতে হেরেছে। এবার তাদের ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ কে?
×