ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ

শেখ রাসেল রানার্সআপ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৭ আগস্ট ২০১৫

শেখ রাসেল রানার্সআপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আসর সমাপ্তির আগেই চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ পেয়ে গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ আসর। আগেই মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে এক ম্যাচ বাকি থাকতে (১৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট) সবার চেয়ে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। এবার রানার্সআপ হওয়া নিশ্চিত করল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। রবিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে। ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিলি হ্যাটট্রিক করেন। এটি তার প্রথম এবং চলতি আসরের নবম হ্যাটট্রিক। লীগ শেষ করে ফেললেও রাসেল ২০ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত করে ফেলেছে রানার্সআপ ট্রফি। কারণ লীগ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আর কোন দলের পক্ষে তাদের ছোঁয়া অসম্ভব। রহমতগঞ্জও এবারের মতো লীগ শেষ করেছে। ২০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ১১ দলের মধ্যে দশম। দুর্বল রহমতগঞ্জ শুরু থেকেই কোণঠাসা ছিল শক্তিশালী শেখ রাসেলের কাছে। তবে গোলের দেখা পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। সব আক্রমণই ঠেকিয়ে দিয়েছে রহমতগঞ্জ। তবে ৪২ মিনিটের সময় আর শেখ রাসেলকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি তারা। সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে বল পেয়ে রাসেলের অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরী কোনাকুনি লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর রহমতগঞ্জের প্রতিরোধ ধোপে টেকেনি। তাদের চেপে ধরেছে শেখ রাসেল। আর রহমতগঞ্জের জন্য ত্রাস হয়ে ওঠেন ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার এমিলি। পুরো দ্বিতীয়ার্ধেই তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৫৭ মিনিটের সময়ই তিনি ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। জাহিদ হাসানের বাঁকানো কর্ণার শট থেকে এমিলি হেড করে গোল করেন (২-০)। এর মাত্র ৫ মিনিট পরেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এ ফরোয়ার্ড। এবার মিঠুনের ক্রস থেকে আবারও হেড করে ব্যবধান আরও বাড়ান তিনি (৩-০)। দ্রুত দুই গোল করার পর যেন রাসেল গোলক্ষুধায় আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় আরও। মিঠুন আর এমিলির জোড়া আক্রমণে রহমতগঞ্জ রক্ষণভাগ ধসে পড়ে। কোণঠাসা রহমতগঞ্জ শুধু আক্রমণ ঠেকিয়ে যায়। অবশেষে ৭০ মিনিটেই আরেকটি সাফল্য ধরা দেয় তাদের। মিঠুনের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে যান এমিলি। এরপর দর্শনীয় প্লেসিং শটে তিনি বল জালে জড়িয়ে দেন (৪-০)। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ম্যাচের বাকিটা সময় আর গোল পায়নি অবশ্য শেখ রাসেল। তাছাড়া গোল করার প্রতি আগ্রহও কিছুটা কমে যায় তাদের। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল। নিশ্চিত হয়ে যায় লীগ রানার্সআপ ট্রফিটাও।
×