ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রীক সরকার ভাসমান শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় পাবে কেবল সিরীয় অভিবাসী

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৭ আগস্ট ২০১৫

 গ্রীক সরকার ভাসমান শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় পাবে কেবল সিরীয় অভিবাসী

গ্রীক দ্বীপ কোসয়ে এখনও শত শত অভিবাসী পৌঁছছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, একটি প্রমোদতরী আশ্রয় দেবে এবং খাদ্য সরবরাহ করবে কেবল সিরীয় অভিবাসীদের জন্য, পাকিস্তানী অভিবাসীদের জন্য নয়। তরীটি একটি ভাসমান শরণার্থী শিবির হিসেবে কাজ করবে। খবর ওয়েবসাইটের। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এমনকি এশিয়া থেকে হাজার হাজার শরণার্র্থীর আগমেন গ্রীসে যে অভিবাসী সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে গ্রীক সরকার। পার্লামেন্ট শুক্রবার বিদেশী ঋণদাতাদের কাছ থেকে ৮ হাজার ৫শ’ কোটি ইউরো (৯ হাজার ৫শ’ কোটি ডলার) ছাড় করানোর (বেলআউট) জন্য অনুমোদন দিয়েছে। গ্রীস কিছুসংখ্যক অভিবাসীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য শুক্রবার একটি প্রমোদতরী ভাড়া নিয়েছে। এ অভিবাসীরা রাস্তার পাশে, পার্ক বেঞ্চে এবং এমনকি সাগরের তটরেখায় আশ্রয় নিয়েছে। জাহাজটি ২ হাজার ৫শ’ থেকে ৩ হাজার অভিবাসীকে ধারণ এবং তাদের কাগজপত্র প্রক্রিয়া করার জন্য শুক্রবার দ্বীপে এসে পৌঁছায়। কিন্তু শনিবারের আগে কোন অভিবাসীকে তরীতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু গ্রীক সরকারের ভাড়া করা সাদা রঙের এ জাহাজটি কেবল সিরীয় শরণার্থীদেরই সহযোগিতা দেবে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, সিরীয় গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা মানুষই কেবল শরণার্থী বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু পাকিস্তানী, আফগান, আফ্রিকান, ইরাকী ও আরও অনেক দেশের নাগরিকসহ অন্যদের প্রতি এ সহায়তা প্রদান করা হবে না। যাত্রীবাহী প্রমোদতরীটি গ্রীক দ্বীপে পৌঁছলে কোসয়ের মেয়র শুক্রবার আবেগতাড়িত হয়ে কযেক শ’ সিরীয় অভিবাসীর পানীয় জল, দুধ ও খাদ্য সাহায্য দিয়েছেন। মেয়র জিওরগোস কাইরিতসিস বলেন, আমাদের সীমিত ক্ষমতা সত্ত্বেও আমরা অর্থ সংগ্রহ করছি। কোসয়ের নাম না জানা অনেক নাগরিক রয়েছেন, যারা শরণার্থীদের সাহায্য করছেন। সাহায্যকারীদের মধ্যে দরিদ্র জনগণও রয়েছেন।
×