১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন, যা আজও বাঙালীরা ভোলেনি। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো, জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতা, শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী ও তেজস্বী ভাষণ, তৃতীয় বিশ্বে প্রেরণার উৎসÑ ইন্দিরা গান্ধী ২৫ আগস্ট ১৯৭৫। শেখ মুজিবের মতো সাহসী ও তেজস্বী নেতার আগামী এক শ’ বছরেও এশিয়াতে জন্ম হবে নাÑ ইয়াসির আরাফাত, ২৫ আগস্ট ১৯৭৫ (ফিলিস্তিন)। ওআইসি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেখ মুজিবের ভূমিকাতে প্রমাণিত হয়েছে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা তার ছিলÑ ইদি আমিন, ২০ আগস্ট ১৯৭৫ (উগান্ডা)। আমি ট্যাংক দিলাম প্রতিরক্ষার জন্য, অথচ সেই ট্যাংক ব্যবহার করা হয়েছে আমার বন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার কাজেÑ আনোয়ার সাদত, ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ (মিসর)। বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত, শোষক ও শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষেÑ জাতিসংঘে বাংলাদেশের শেখ মুজিবের এই সাহসী ও তেজস্বী বক্তব্যে সাম্রাজ্যবাদীরা কেঁপে ওঠেÑ ফিদেল ক্যাস্ট্রো, ২৭ আগস্ট ১৯৭৫ (কিউবা)। শেখ মুজিব পাকিস্তানকে দিখ-িত করল, পাকিস্তানীরা তাকে মারতে সাহস পায়নি অথচ বাঙালীরা তাকে হত্যা করলÑ এ্যান্থনি মাসকারেনহাস (বিবিসি)। শেখ মুজিবের হত্যাকা-ে বাঙালীদের বিশ্বাস করা যায় নাÑ শ্রীমাভো বন্দর নায়েক (সিংহল), ২৮ আগস্ট ১৯৭৫। শেখ মুজিবের অপর নাম বাংলাদেশ। তাই অনন্তকাল বাংলাদেশের সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি।
মুর্শেদ উদ্দিন বাদশা মিয়া
চকবাজার, ঢাকা
দেশের প্রথম নারী প্রক্টর
দেশের প্রথম নারী প্রক্টর কে? প্রফেসর ড. কাজী শাহানারা আহমেদ নাকি ড. মোসা. হালিমা খাতুন? এ নিয়ে সম্প্রতি ঝড় উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
প্রফেসর ড. কাজী শাহানারা আহমেদ দেশের প্রথম নারী প্রক্টর, এ কথা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মিডিয়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিইসিই বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মোসা. হালিমা খাতুনকে দেশের প্রথম নারী প্রক্টর হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভুল। দেশের প্রথম নারী প্রক্টর প্রফেসর ড. কাজী শাহানারা আহমেদ। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আব্দুর রহমান
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
শীর্ষ সংবাদ: