ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ইরান চুক্তি পরমাণু হত্যাযজ্ঞ ঘটাবে ॥ ট্রাম্প

আইএসবিরোধী লড়াই ॥ স্থলসৈন্য মোতায়েন করা হবে

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১৮ আগস্ট ২০১৫

আইএসবিরোধী লড়াই ॥ স্থলসৈন্য মোতায়েন করা হবে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির অগ্রগামী মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান চুক্তি পরমাণু হত্যাযজ্ঞ ঘটাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি যেসব নীতি অনুসরণ করবেন, তিনি রবিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে সেগুলোর বিস্তারিত দিক তুলে ধরছিলেন। ধনাঢ্য রিয়াল এস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প ২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় ঐ নির্বাচনে ১৭ জন রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপক চাক টুডের প্রশ্নাদির উত্তর দিতে গিয়ে ঐ প্রার্থী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই, ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি, নারীদের স্বাস্থ্য সংস্থা প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ও গর্ভপাত নিয়ে কথা বলেন। পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে সাবেক রিয়ালিটি টিভি স্টার ট্রাম্প বলেন, আইএস জঙ্গীদের বিরুদ্ধে স্থল সৈন্যদের ব্যবহার করা হবে এবং সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচীয় মিত্রদের মার্কিন সমর্থন পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে মূল্য শোধ করতে হবে। সর্ববিক্রিত বই দ্য আর্ট অব দি ডিলের লেখক ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে ওবামা প্রশাসনের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত চুক্তিটি এক ‘খারাপ চুক্তি’ যা ‘পরমাণু হত্যাযজ্ঞ’ ঘটাবে। কারণ এটি নিয়ে ‘অযোগ্য’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আলোচনা করেছিলেন। তবে তিনি চুক্তিটি বাতিল করবেন এমন কথা বলা থেকে বিরত থাকেন এবং এর বদলে তিনি চুক্তিটি পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। অন্য অনেক রিপাবলিকান প্রার্থী চুক্তিটি বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আইএস প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন যে, ইরাকে এখন জঙ্গীদের দখলে রয়েছে এমন তেলকূপগুলো পুনর্দখল করে দলটির সম্পদের উৎস ছিনিয়ে নেয়াই মূল উপায়। এরূপ কোন পদক্ষেপ নিতে হলে স্থল সৈন্যের প্রয়োজন হবে টডের একথার জবাবে ট্রাম্প বলেন, এটি ঠিক কথা। তিনি বলেন, ইরাকিদের তাদের তেল ক্ষেত্র থেকে ‘কিছু’ দেয়া উচিত, কিন্তু তিনি দৃশ্যত ইরাক যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সৈন্যদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের অবশ্যই সৈন্যদের জন্য অর্থ ফিরিয়ে নেয়া উচিত। তিনি বলেন, আমাদের সৈন্যরা খুবই গুরুতরভাবে আহত ও নিহত হয়েছিল। আমরা চাই, তাদের পরিবারগুলো কিছু পাক। আহত সৈন্যরা সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে। তারা কিছুই পায়নি। আর তারা এমনকি একথাও বলতে পারে না, আমরা জয়ী হয়েছিলাম। ট্রাম্প অতীতে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় অর্থ মদদদাতা হওয়ার দায়ে সৌদি আরবকে অভিযুক্ত করেন। রবিবার তিনি বলেন যে, ঐ উপসাগরীয় দেশটির উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ পরিশোধ করা, কারণ আমেরিকার সমর্থন ছাড়া দেশটি টিকতে পারত না। তিনি এও বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যে সৌদি আরবকে সহায়তা করছে, তার একমাত্র কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সৌদি তেল প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের এখন ঐ তেলের তেমন প্রয়োজন নেই। তিনি দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রের তেল ও গ্যাস উৎপাদনের প্রতি ইঙ্গিত করছিলেন। ট্রাম্প বলেন, প্রতিবেশী ইয়েমেনে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এমন বিভিন্ন ধরনের জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি আরবের জন্য সাহায্যের দরকার হচ্ছে। তিনি জানান যে, তিনি সৌদিদের সেক্ষেত্রে সহায়তা করবেন, যদিও সেটি হবে মূল্যের বিনিময়ে। তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবকে রক্ষা করছি। আমরা আমাদের জাহাজ পাঠাচ্ছি। আমরা আমাদের বিমান পাঠাচ্ছি। আমরা যতবারই জাহাজ ও বিমান পাঠাই, ততবারই কিছু না কিছু হৈচৈ হয়। আমরা কিছুই পাই না। কেন? তারা প্রতিদিন একশ’ কোটি ডলার আয় করছে। আমাদের জন্য কিছুই নেই।
×