ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভেজাল প্যারাসিটামল

বিসিআই ফার্মার ৬ কর্মকর্তার ১০ বছর করে জেল

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৮ আগস্ট ২০১৫

বিসিআই ফার্মার ৬ কর্মকর্তার ১০ বছর করে জেল

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ভেজাল প্যারাসিটন (প্যারাসিটামল) উৎপাদনের ঘটনায় দুই মামলায় বিসিআই ফার্মার ৬ কর্মকর্তার ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদ-ের রায় দিয়েছে ঢাকার ড্রাগ আদালত। সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ ও ড্রাগ আদালতের বিচারক এম আতোয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দ-িতরা হলেন বিসিআই বাংলাদেশ কোম্পানির পরিচালক শাজাহান সরকার, নির্বাহী পরিচালক এসএম বদরদ্দোজা, পরিচালক নূরুন্নাহার বেগম, মাননিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপক আয়েশা খাতুন, পরিচালক শামসুল হক ও ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) এমতাজুল হক। এদের মধ্যে আসামি শাহজাহান সরকার রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামিরা পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে রায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে দুই মামলায় প্রত্যেক আসামির ৪ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছর করে কারাদ- ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়। আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, খন্দকার বশীর আহমেদ ও আমিনুর রহমান চৌধুরী মিন্টু মামলা পরিচালনা করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কিডনি অকেজো হয়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিশুর মৃত্যু ঘটে। ওই সময় বিভিন্ন কোম্পানির প্যারাসিটামল সিরাপ পরীক্ষা করে ওষুধ প্রশাসন পরিদফতর বিসিআই, এ্যাডফ্লেমসহ ৫টি কোম্পানির প্যারাসিটামল সিরাপে ক্ষতিকারক ডাই-ইথিলিন গ্লাইকল পায়। এ সিরাপ সেবনেই শিশুর কিডনি অকেজো হয়ে শিশুমৃত্যুর কারণ বলে উল্লেখ করা হয়। বিসিআই কোম্পানির দুই ব্যাচের প্যারাসিটন (প্যারাসিটামল) সিরাপ পরীক্ষা করে তাতে ক্ষতিকারক ডাই-ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গিয়েছিল। এরপর ১৯৯২ সালের ১৯ ডিসেম্বর পৃথক ২টি মামলা করেন ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের চৌধুরী। ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ১৬(সি)/১৭ ধারায় মামলাটি হয়। মামলায় ১৯৯৪ সালের ২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় একই আদালত ২০১৪ সালের ২২ জুলাই এ্যাডফ্লেম ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক চিকিৎসক হেলেন পাশা, ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নগেন্দ্র নাথ বালাকে ১০ বছরের কারাদ-াদেশ ও দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়?
×