ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গোপালগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ নিহত এক

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৮ আগস্ট ২০১৫

গোপালগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ নিহত এক

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৭ আগস্ট ॥ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর নওহাটা এআরএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের খেলোয়াড় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের নওহাট এআরএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আটটি বিদ্যালয়ের মধ্যে জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা মৌসুমী ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরুর প্রাক্কালে সকাল সোয়া ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই প্রতিযোগিতা বন্ধ রাখা হয়। সংঘর্ষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত রাজা মিয়া শেখ (৩৫) মুকসুদপুরের ধোপাদী গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পংকজ কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, খেলা শুরু হওয়ার আগেই আমাদের স্কুলের দলের খেলোয়াড় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নওহাটা ও ধোপাদী গ্রামের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে মুকসুদপুর ডিগ্রী কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপ ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ ছাত্র আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ১৫ রাউন্ড রাবারবুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মুকসুদপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবুল হোসেন জানিয়েছেন, কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাসে বসা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলার কমলাপুর ও প্রভাকরদি গ্রামের ছাত্ররা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। সিরাজগঞ্জে আহত ১৫ স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, সিরাজগঞ্জ শহরের একডালা মহল্লায় সোমবার সকালে জুয়া খেলা ও গাজা সেবনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০-১২টি বাড়ি, পাঁচটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ২২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে আহতদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
×