ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৯ আগস্ট ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বেসরকারী শিক্ষকদের পে-স্কেল চাই আসন্ন ৮ম জাতীয় পে-স্কেলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে প্রায় দ্বিগুণ, কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই নতুন পে-স্কেলে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যার কারণে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা ভীষণ হতাশ হয়েছেন। শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। আশ্চর্যের বিষয়, এই মানুষ গড়ার কারিগররা আজ রাষ্ট্রে সবচেয়ে অবহেলিত ও বেতনবৈষম্যের শিকার। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারী তথা এমপিওভুক্ত। উন্নত দেশগুলোতে যেখানে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি সবচেয়ে বেশি, সেখানে আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সরকারী অফিসের একজন পিয়নের চেয়েও কম, যা দিয়ে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে চলা খুবই কঠিন ও কষ্টকর। শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা, যা দিয়ে বাড়িভাড়া তো দূরে থাক বর্তমানে বাড়ির একটি বারান্দাও ভাড়া পাওয়া যায় না। চিকিৎসাভাতা দেয়া হয় মাত্র ৩০০ টাকা অথচ বর্তমানে একজন ভাল ডাক্তার দেখানো ফি জনপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা, এর সঙ্গে আছে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট, তারপর আছে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কেনার সমাহার। উৎসবভাতা কর্মচারীরা পান বেসিকের ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা পান মাত্র ২৫ শতাংশ। একই দেশে দুই ধরনের নিয়ম। শিক্ষকরা অভাব-অনটনের কারণে শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পাঠদান করতে পারেন না। সব সময় যদি সংসার চালানোর কথা চিন্তা করা লাগে তাহলে কিভাবে শ্রেণীকক্ষে মন বসবে। আবার নতুন করে বেতন বাড়লে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে তখন সংসার চালানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আবেদন, আসন্ন পে-স্কেল বাস্তবায়ন করার আগে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন স্কেল চালু করে অবহেলিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করে জাতি গঠনে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিন। মোশতাক মেহেদী হাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া
×