ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দাউদ ইব্রাহিমসহ সন্ত্রাসীদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান মোদির

ভারত-আমিরাত সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা জোরদার করবে

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১৯ আগস্ট ২০১৫

ভারত-আমিরাত সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা জোরদার করবে

ভারত তার পশ্চিম এশিয়া নীতি-কৌশল বাস্তবায়নে সোমবার বড় ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একবিংশ শতাব্দীকে ‘এশিয়ার শতাব্দী’ হিসেবে চিহ্নিত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ভারতের পাশে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে আমিরাতও তার ঐতিহ্যগত ঘনিষ্ঠ মিত্র পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও জিনিউজের। ৩৪ বছর পর রবিবার আমিরাতের মাটিতে পা রাখা প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সম্মান জানাতে প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে পাঁচ ভাইকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ভারত ও আমিরাত প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং সন্ত্রাসীদের তহবিল সরবরাহ বন্ধে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে। এদিকে দুবাইয়ের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করেই মোদি বলেন, সন্ত্রাসের মোকাবেলা করবে নাকি সন্ত্রাসকে উসকে দেবে তা ঠিক করতে হবে সবার আগে। প্রায় ৫০হাজার শ্রোতার সামনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার সমাধানের বিষয় তুলে ধরে আলোচনাই যে প্রধান উপায় সে কথাও এদিন জোর দিয়ে বলেন মোদি। আমিরাতের সঙ্গে ভারতের যৌথ বিবৃতিতেও কড়া সুরেই সন্ত্রাসের বিরোধিতা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদের এর গুরুত্ব বোঝা উচিত বুঝবে। যারা সন্ত্রাসে মদত দেবে তারা শাস্তি পাবে। সন্ত্রাসের কোন সীমা নেই। ব্যাংককে বিস্ফোরণ হয়েছে। নিহত হয়েছে সাধারণ মানুষ। সারা বিশ্বের একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। ভাল তালেবান, খারাপ তালেবান, ভাল সন্ত্রাস, খারাপ সন্ত্রাস এই বিচার চলবে না। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা সন্ত্রাসের পক্ষে না মানুষের পক্ষে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মুম্বাই বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিমকে সন্ত্রাসের হোতা হিসেবে তুলে ধরে তার ওপরে চাপ বাড়ানোর কাজটা দু’দিনের আমিরাত সফরে সেরে ফেলেছেন মোদি। একটা সময় দুবাই ছিল দাউদের ঘাঁটি। কিন্তু ইন্টারপোল তার নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করার পর দাউদ আর দুবাই যাননি বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে। তবে আমিরাতে এখনও তার নিজের, ভাই আনিস এবং এক শ্যালকের বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। এই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যই আমিরাত সরকারকে অনুরোধ করেছেন মোদি। জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কার্যকলাপ নিয়েও যুবরাজের সঙ্গে মোদির কথা হয়েছে। এছাড়া এদিন তিনি সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সমঝোতার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
×