ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হুমকিতে সরকারী বেসরকারী স্থাপনা

টাঙ্গাইলে নদীতে বিলীন দশ গ্রাম

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১৯ আগস্ট ২০১৫

টাঙ্গাইলে নদীতে বিলীন  দশ গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৮ আগস্ট ॥ টাঙ্গাইলে ভাঙনের কবলে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদী। নদী পাড়ের বাসিন্দাদের ছাড়তে হচ্ছে তাদের বসতভিটা। সদর উপজেলার মাহমুদনগর ইউনিয়নের সরাতৈল, কুকুরীয়া, নয়াপাড়া, কালাবাঙ্গরা, কেশ্বমাইঞ্জাইল, বারবাড়িয়া, তিতুলীয়া, বাইলাপাড়া, হরিপুর, চালপাকলা গ্রাম ছাড়াও নাগরপুর উপজেলার খকেন ঘাট, মারমা, আটাপাড়া, চৌহালী এলাকার শত শত বাড়িঘর ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রমত্তা যমুনা নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে মানুষের ঘরবাড়ি ছাড়াও তাদের ফসলি জমি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা, মসজিদ, মৎস্য খামার নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। যমুনা নদী ভাঙনের ফলে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক, একাধিক স্কুল, কলেজ, নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি, মসজিদ, মন্দির, মৎস্য ও পোল্ট্রি খামারসহ সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। সদর উপজেলার মাহমুদনগর ইউনিয়নের যমুনায় নদী ভাঙন এলাকার আব্দুস সালাম বলেন, বেহানে জাল পাতচিলাম এহন থিকা ৪শ’ আত দূরে। তহন ওনেই নদীর পাড় আছিল। রাত পোহাইলে দেহি ঘরের ঢুয়া ভাঙতাছে। জান বাঁচানের নিগা দৌড় দিলাম। শুধু সালাম নয়, এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই নদী ভাঙনের ফলে চরম বিপাকে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজ আবু রায়হান বলেন, এই এলাকায় গত দু-বছর পূর্বে নদীর প্রশস্ত ছিল ৩ মাইলের মতো। যমুনা পাড়ের বাসিন্দারা জানান, এ বছরে প্রায় ৪শ’ বসতবাড়িসহ গত ৩ বছরে প্রায় সাড়ে ৬শ’ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে নদীর প্রশস্ততা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ থেকে ৬ মাইলে। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীভাঙন। পূর্বদিকে সরে পরিবর্তন হচ্ছে নদীর গতিপথ। গত বছর ভাঙনরোধে ১৫শ’ বস্তা জিও ব্যাগ বরাদ্দ হলেও সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, যমুনা নদীর বাম তীরে মাহমুদনগর এলাকায় ৩ কিলোমিটার অংশ কাজ করার জন্য প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। নদী ভাঙনের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সপ্তম বারের মতো পেছাল কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠন স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে আদালতে হাজির না করায় সপ্তম বারের মতো পিছিয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠন। মঙ্গলবার এ মামলায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চার্জ গঠনের নির্ধারিত তারিখে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জিকে গৌছসহ জেলহাজতে থাকা ১৪ জনের ১৩ জন আদালতে হাজির করা হয়। তবে অসুস্থতার কারণে হাজির করা হয়নি বিএনপি নেতা আরিফুল হককে। ফলে আদালতের বিচারক মকবুল আহসান আগামী ২৫ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে ২১ জুন, ৬, ১৪ ও ২৩ জুলাই এবং ৩ ও ১০ আগস্ট আলোচিত এ মামলার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সব আসামি আদালতে হাজির করতে না পারায় চার্জ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়। মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ ৫ জন। গজারিয়ায় বাল্কহেড মালিককে কুপিয়ে টাকা লুট স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে আশ্রাফুল মোল্লা (৩৪) নামের বাল্কহেড মালিককে কুপিয়ে জখম করে ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। সোমবার রাতে এমভি আব্দুল লতিফ প্রধান বাল্কহেডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম আশ্রাফুলকে প্রথমে ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত আশ্রফুল জানান, বাল্কহেডটির কতিপয় স্টাফ ও সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে ফেলে রাখে সর্বস্ব নিয়ে যায়। খবর পয়ে বড় ভাই শাফিক মোল্লা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গজারিয়া থানার ওসি মোঃ হেদায়েত-উল-ইসলাম ভুঁইয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলা প্রক্রিয়া চলছে।
×