নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১৯ আগস্ট ॥ মাথা থেকে দুধের কার্টন পড়ে যাওয়ায় মালিকের ‘নির্যাতনে’ লক্ষ্মীপুরে আহত শিশু শ্রমিক মোঃ রমজানের (১২) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। মঙ্গলবার রাতে (১৮ আগস্ট) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তার মৃতদেহ আনা হয়। রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। এর আগে গত ১০ আগস্ট সোমবার সকালে শিশুটি নির্যানের শিকার হয় বলে অভিযোগ উঠে। নিহত শিশু রমজান লক্ষ্মীপুর পৌর বাঞ্চানগর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
অভিযুক্ত আলী হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা নোয়াব আলীর ছেলে। তিনি প্রাণ কোম্পানির দুধের ডিলার ও মেসার্স সৌদিয়া ট্রেডার্সের মালিক। শহরের বাগবাড়ি এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রমজানের বড় ভাই মোঃ সুজন বলেন, প্রাণ কোম্পানির দুধের ডিলার আলী হোসেন আমার ভাইকে দিয়ে গাড়ি থেকে (কাভার্ড ভ্যান) দুধের কার্টন নামায়।
এ সময় তার মাথায় দুটি কার্টন দেয়া হয়। অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পারায় রমজান পা ফসকে পড়ে যায়। দুধের প্যাকেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে মালিক আলী হোসেন তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় ও কোমরে আঘাত করে। এতে রমজান মারাত্মক আহত হয়। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিক্যালে তার মৃত্যু হয়।
তবে, স্থানীয়রা বলছেন, মাথা থেকে দু’টি দুধভর্তি কার্টনসহ পড়ে রমজান ঘাড়ে ব্যথা পায়। পরে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
মেসার্স সৌদিয়া ট্রেডার্সের মালিক অভিযুক্ত আলী হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কার্টন নিতে গিয়ে সে পড়েও যায়নি। তার ওপর কোন নির্যাতনও করা হয়নি। অন্য কোন কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।
লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি/সার্কেল) নাসিম মিয়া বলেন, তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।