ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বেনচিচের আবেগময় অনুভূতি

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২০ আগস্ট ২০১৫

বেনচিচের আবেগময় অনুভূতি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাত্র দুই দিন আগেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডব্লিউটিএ শিরোপা জিতেছেন বেলিন্ডা বেনচিচ। টুর্নামেন্টের ফাইনালে রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপকে পরাজিত করে রজার্স কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন সুইজারল্যান্ডের এই টেনিস তারকা। কিন্তু দ্বিতীয় শিরোপা জিতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন ১৮ বছর বয়সী বেনচিচ। এর পেছনের গল্পটাও তো অনেকের জানা। রজার্স কাপের সেমিফাইনালে যে আমেরিকান টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে চমকে দেন টেনিস বিশ্বকে! শুধুই কী সেরেনা? আরও সুস্পষ্ট করে বললে, কানাডার টরেন্টোর এই টুর্নামেন্টে বিশ্ব টেনিসের সেরা ছয়জন খেলোয়াড়কে হারান তিনি। যে ছয়জনের প্রত্যেকেরই গ্র্যান্ডসøামের ফাইনালে খেলেছেন। আর এসব সেরা সেরা খেলোয়াড়দের টপকিয়ে শিরোপা জিততে পেরে রোমাঞ্চিত সুইস তারকা। অনুভূতিটাকে বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ বিষয়ে বেলিন্ডা বেনচিচ বলেন, ‘আমি যে জিততে পারি তাতে খুবই আনন্দিত। বিশেষ করে জনাকীর্ণ সমর্থকদের সামনে এই জয়ের আনন্দটা আসলেই অন্যরকম। কোর্টের পরিবেশটাও অসাধারণ। আমি শুধু প্রতিটি পয়েন্ট পাওয়ার জন্যই চেষ্টা করেছি। আমি অনেক খেলোয়াড়দেরই হারাতে পারি যারা র‌্যাঙ্কিংয়ের অনেক উপরে, তাও আবার একই সপ্তাহে। প্রকৃতপক্ষে এই জয়ের অনুভূতিটা বিস্ময়কর।’ সিনসিনাতি মাস্টার্সের প্রথম পর্বের বাধা পেরুনোর পর এসব কথা বলেন বেনচিচ। রজার্র্স কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি বর্ণনা করলেন সিনসিনাতি মাস্টার্সের প্রথম পর্বের শেষে। প্রকৃতপক্ষে সেই শিরোপা জয়ের আনন্দ-উল্লাসের রেশ বেনচিচের যে এখনও কাটেনি, তা খুব সহজেই অনুমিত। তবে উচ্ছ্বাসের মাঝেও নিজের পারফরম্যান্স কিন্তু ঠিকই ধরে রেখেছেন সুইজারল্যান্ডের এই টেনিস তারকা। সিনসিনাতি মাস্টার্সেও জয় দিয়ে শুরু করেছেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই টুর্নামেন্ট। আর টুর্নামেন্টের প্রথম দিনেই কোর্টে নামেন বেলিন্ডা বেনচিচ। তার প্রতিপক্ষ ছিলেন জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবার। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি বেনচিচের সামনে। সুইজারল্যান্ডের বিস্ময় বালিকা এদিন ৭-৫ এবং ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন সিনসিনাতি মাস্টার্সের ১১তম বাছাই এ্যাঞ্জেলিক কারবারকে। রজার্স কাপের শিরোপা জয়ের দুই দিন পার হতে না হতেই আবারও নিজেকে মেলে ধরলেন তিনি। এটাও যেন তার প্রতিভারই বিস্ফোরণ। অদূর ভবিষতে তরুণ এই প্রতিভাবান টেনিস তারকা যে অনেক দূর এগোবেন, সেটা অনেকেই উপলব্ধি করতে পারছেন। তবে সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কেননা গত মৌসুমে কানাডার ইউজেনি বাউচার্ডও কোর্টে ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু সেই কানাডিয়ান তারকা আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। যে কারণে এক মৌসুমের পরই এখন আর তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কোর্টে মেলে ধরতে হলে পরিশ্রম আর চেষ্টার বিকল্প নেই। সেটা মানছেন বেনচিচও। তাই রজার্স কাপের শিরোপাজয়ী এই সুইস তারকা প্রত্যাশা করছেন সিনসিনাতি মাস্টার্সেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এ বিষয়ে তার অভিমত, ‘আমি মনে করি, অবশ্যই টেনিসে আমাকে আরও উন্নতি করা দরকার। আশা করছি রজার্স কাপের পারফর্মেন্স সিনসিনাতি মাস্টার্সেও করে দেখাতে পারব।’ রজার্স কাপের পরই বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে বেনচিচের। আট ধাপ উপরে উঠে আসেন তিনি। ফলে বর্তমানে র‌্যাঙ্কিংয়ের ১২তম স্থানে অবস্থান তার। তবে এখনই যে এ অবস্থান দখল করবেন বেনচিচ, তা ভাবতেই পারেননি তিনি। এ বিষয়ে সুইস তারকা বলেন, ‘আমি চাচ্ছি ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে নিজের সেরাটা ঢেলে দেয়া। তবে আমি যে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ১২তম স্থানে অবস্থান করছি তা আসলে এ মুহূর্তে প্রত্যাশা করিনি।’ এ মাসের শেষ দিনেই শুরু হবে মৌসুমের শেষ গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেন। তার আগে সেরেনা-শারাপোভা কিংবা হ্যালেপ-ভিক্টোরিয়াদের জন্য এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ছুটছেন প্রতিভাবান সব টেনিস খেলোয়াড়রাই।
×