ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চিক টেক্সটাইলের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২১ আগস্ট ২০১৫

চিক টেক্সটাইলের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানি চিক টেক্সটাইলের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার বিষয়ক বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনি সাক্ষ্য দেন। এর আগে ৬ জুলাই একই মামলার বাদী হিসেবে প্রথম সাক্ষ্য দেন বিএসইসির অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক এম এ রশীদ খান। চিক টেক্সটাইলের শেয়ার প্রতারণা মামলায় কোম্পানিটিসহ অভিযুক্তরা হলেনÑ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাকসুদুর রসূল ও পরিচালক ইফতেখার মোহাম্মদ। ১৯৯৭ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারকার্য শুরু হওয়ার পর থেকে তারা অনুপস্থিত রয়েছেন। এ জন্য গত ২৮ জুন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। আসামিপক্ষের কেউ না থাকায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৩৯-এর বি(২) ধারা অনুযায়ী এ মামলার চার্জ গঠন করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিরা চিক টেক্সটাইলের শেয়ারের দর বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণামূলক কর্মকা- করেছেন। ওই সময় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ভাল মুনাফা করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাকসুদুর রসূল ৮ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৪টি ও পরিচালক ইফতেখার মোহাম্মদ ৮ লাখ ৩৫ হাজার শেয়ার অপারেট করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ২১ ধারা অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে ১৯৯৭ সালের ২ এপ্রিল বিএসইসির ওই সময়ের নির্বাহী পরিচালক এম এ রশীদ খান বাদী হয়ে তদন্তের সকল প্রমাণসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা (মামলা নম্বর-১০৮২) দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৯ সালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি (মামলা নম্বর ৩৫৭৯) স্থানান্তর করা হয়। পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটির নতুন নম্বর দেয়া হয় ১/২০১৫।
×