স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ উজিরপুর উপজেলার হস্তিশু- গ্রামে ঘুমন্ত আট মাসের কন্যা শিশু মরিয়ম আক্তার হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী আবু বক্কর সেলিমের প্ররোচনায় পুলিশ নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় জড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ নিহত শিশুর দাদা নজরুল ব্যাপারী, দাদি রোকসানা পারভীন, চাচা আবু সুফিয়ান, দাদার ভাই মহিউদ্দিন দুদু মিয়া, দাদি শাহিনুর বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটক করে হয়রানী শুরু করেছে।
নিহত শিশুর মা ফাতেমা বেগম জানান, তার স্বামী ইমরান ব্যাপারী ঢাকার উত্তরায় চাকরিরত থাকায় একই ঘরে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে তিনি বসবাস করে আসছিলো। মঙ্গলবার রাতে তার আট মাসের কন্যা শিশুকে নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে শিশু মরিয়মকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা টহল পুলিশকে খবর দেয়। রাতভর খোঁজাখুঁজি করে ভোররাতে পুলিশ বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
উজিরপুর থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশ নিহত শিশুর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করার সত্যতা স্বীকার করলেও তিনি (ওসি) হয়রানীর অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
নিহত শিশুর চাচাতো দাদা এনায়েত ব্যাপারী অভিযোগ করেন, তার ভাই নজরুল ব্যাপারীর সঙ্গে প্রতিবেশী প্রভাবশালী আবু বক্কর সেলিমের দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে নিহত শিশু মরিয়ম হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রভাবশালী সেলিমের প্ররোচনায় পুলিশ নিহতের পরিবারের সদস্যদের ফাঁসাতে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটকের পর হয়রানী শুরু করেছেন। তিনি প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।