ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাজীদের পকেট কাটতে সৌদি যাওয়ার পরিকল্পনা ঢাকায় গ্রেফতার ১২

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২১ আগস্ট ২০১৫

হাজীদের পকেট কাটতে সৌদি যাওয়ার পরিকল্পনা ঢাকায় গ্রেফতার ১২

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পবিত্র হজের উদ্দেশে সৌদি আরবে গিয়ে হাজীদের অজ্ঞান করে পকেট মেরে সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার সঙ্গে জড়িত চক্রের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ইতোপূর্বে সৌদি আরব পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ২ বছর জেল খেটেছে। এসব প্রতারকের কারণে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলমান থাকবে। এমনকি হজের নামে এমন প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির ওপরও নজরদারি চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা থানার মালিবাগ রেলগেট এলাকায় থেকে ৬ জন করে ১২ জন গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন নুরুল আনোয়ার, মোঃ সুজন খান, মোঃ আবুল বশার, মোঃ আবুল হাসান, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ আব্দুল গফুর, মোঃ টুটুল বিশ্বাস ওরফে সুমন, সেকেন্ড ইন কমান্ড কাজী সারোয়ার জামাল ওরফে নেতাজি, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ মনির হোসেন ও মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একটি গ্রুপ সৌদি আরবে গিয়ে হাজীদের অজ্ঞান ও পকেট মেরে কোটি টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল। এ উদ্দেশ্যে তারা তাদের চার সদস্যকে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য ভিসাও সংগ্রহ করে। ইতোমধ্যেই তিনজন হজের ভিসা নিয়েছেন। অপরজন ভিসা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যে চারজন হজে যাচ্ছিলেন তাদের মূল টার্গেট ইন্দোনেশীয়রা। গ্রেফতারকৃতদের ভাষ্যমতে ইন্দোনেশীয়রা বোকা। তারা পকেট মারার সময় তেমন টের পান না। অনেকটা বোকা প্রকৃতির। তবে গ্রেফতারকৃতদের দাবি, সবচেয়ে বেশি পকেটমারের সঙ্গে জড়িত নাইজিরীয়রা। গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা ও তার আশপাশের জেলায় বাসের যাত্রীদের টার্গেট করে অজ্ঞান করার ওষুধ মিশ্রিত আচার খাইয়ে যাত্রীদের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা দামি মালামাল লুটে নেয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে টুটুল ইতোপূর্বে সৌদি আরবে গ্রেফতার হয়ে দুই বছর জেল খেটেছে। প্রতিবছরই গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে থেকে ৪ থেকে ৫ জন সৌদি আরবে গিয়ে এমন অপকর্ম করে থাকে। এমন ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজব্রত পালন করতে যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে অন্যান্য দেশের মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হয়। পকেট মেরে ইতোমধ্যেই অনেক বাংলাদেশী ধরা পড়েছে। যা দেশের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুণœ করেছে। এরসঙ্গে জড়িত হজ এজেন্সি বা সংশ্লিষ্ট অন্যদের ওপরও নজরদারি অব্যাহত আছে। সংবাদ সম্মেলনে ডিবির উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ ও মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম, মাহবুবুর রহমান, মাশরুকুর রহমান খালেদ এবং মুনতাসিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
×