ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পারাপারের অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক যান

শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুট ৯ ঘণ্টা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২২ আগস্ট ২০১৫

শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুট ৯ ঘণ্টা বন্ধ

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া (মাওয়া)-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল নয় ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। এর আগে রাত দেড়টা থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পাড়ে ৫ শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরি সার্ভিসে বিপর্যয় চলছে গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দুর্গতি বেড়েছে। এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এদিকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান লৌহজং টানিং পয়েন্টের এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরি সার্ভিসে বিপর্যয় চলছে গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দুর্গতি বেড়েছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতেও। এদিকে নাব্য সঙ্কটরোধে ড্রেজিং করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। তাই আউটপুট পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ফেরি চলার জন্য চ্যানেলে পানির গভীরতা প্রয়োজন সাড়ে ৭ ফুট। কিন্তু পানির গভীরতা এখন সর্বনি¤œ সোয়া ৬ ফুট। রাত দেড়টায় সর্বশেষ শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি কেতকী গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছে। এর আগে ফরিদপুরও গন্তব্যে পৌঁছায়। তবে লৌহজং টানিং থেকে রাতে ফিরে আসে ফেরি ক্যামেলিয়া ও রায়পুরা। এরপরই চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের ম্যানেজার গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারি জানান, নাব্য সঙ্কটের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ৪টি রো রো ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। আর চলাচল করছিল মাঝারি ও ছোট বাকি ১৪টি ফেরি এখন তাও বন্ধের পথে। তাই দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমলিয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। নৌমন্ত্রীর পরিদর্শন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শুক্রবার দুপুরে তার নিজ এলাকা মাদারীপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে শিমুলিয়া ঘাটসহ সংশ্লিষ্ট নৌপথ পরিদর্শন করেছেন। মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নাব্য সঙ্কটের কারণে অল্প সংখ্যক যানবাহন নিয়ে হালকা ও মাঝারি ধরনের ফেরিগুলো আপাতত চলাচল করবে। তাও চলবে জোয়ারে। খুব তাড়াতাড়ি এ নৌরুটের জন্য হালকা ধরনের ফেরির ব্যবস্থা করা হবে। যা কিনা ৫ ফুট গভীরতার পানিতে চলাচল করতে পারে। তিনি সকল যাত্রী ট্রাক ও বাস চালক এবং মালিকদের এই নৌ নৌরুট এড়িয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি আমরা ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থার গতি বাড়িয়ে নদীতে গভীরতা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছি। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক, চীফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন, অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ শাহজাহান, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খালেকুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিসির এজিএম এসএম আশিকুজ্জামান প্রমুখ।
×