ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ঠিকানায় পেড্রোকে শুভকামনা মেসির

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২২ আগস্ট ২০১৫

নতুন ঠিকানায় পেড্রোকে শুভকামনা মেসির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দিনকয়েক আগেও ছিলেন সতীর্থ। আর এখন হয়ে গেছেন সাবেক। পেড্রো রড্রিগুয়েজ বার্সিলোনা ছেড়ে চেলসিতে নাম লেখানোয় লিওনেল মেসি তাঁর সাবেক সতীর্থ হয়ে গেছেন। তবে নয়া মিশনে প্রিয় সতীর্থকে সাধুবাদ জানাতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডও ব্লুজদের হয়ে তাক লাগানো সাফল্যের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন। বুধবারই অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিল স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড পাড়ি জমাচ্ছেন স্টামফোর্ড ব্রিজে। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। বৃহস্পতিবার সেটাও সম্পন্ন হয়। বার্সা ও চেলসি দুই ক্লাবই পেড্রোর দলবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করে। বার্সিলোনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এফসি বার্সিলোনা ও চেলসি সমঝোতায় পৌঁছেছে রড্রিগুয়েজের দলবদলের বিষয়ে। ৩০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জোর গুঞ্জন ছিল, পেড্রো নাম লেখাতে যাচ্ছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। গত মৌসুম থেকেই বার্সিলোনায় পেড্রোর ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যায়। লিওনেল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেজকে নিয়ে গড়া আক্রমণভাগে পেড্রোর জায়গা নড়বড়ে হয়ে যায়। যে কারণে তিনিও চাচ্ছিলেন বার্সা ছাড়তে। কারণ একটাই নিয়মিত খেলার সুযোগ। এক্ষেত্রে সবসময় আলোচনায় থাকা ম্যানইউ ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন চেলসিতে। দলবদলের শুরু থেকেই পেড্রোকে দলে নিতে ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে এর মধ্যে রেড ডেভিলসরা অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল। সেভিয়ার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে টিবিলিসিতে উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে পেড্রোর জয়সূচক গোলেই ৫-৪ গোলের নাটকীয় জয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে বার্সিলোনা। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিল, বার্সা ছাড়ছেন তিনি। অবশেষে সেটাই সত্যি হয়েছে। বার্সার মূল দলের হয়ে সাত বছরের ক্যারিয়ারে ২০টি শিরোপা জিতেছেন ২৮ বছর বয়সী পেড্রো। এর মধ্যে পাঁচটি লা লীগা ও তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপাও আছে। এসব প্রসঙ্গ স্মরণে এনে মেসি ফেসবুকে লিখেছেন, পেড্রোর সঙ্গে আমার অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা একে অপরের সতীর্থ ছিলাম। তার ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা রইল। আশা করছি, প্রিমিয়ার লীগে সে সফল হবে। এদিকে চেলসিতে আসার পেছনে দলটির কোচ জোশে মরিনহোর অবদানই সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন পেড্রো। স্টামফোর্ড ব্রিজের দলটিতে আসার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এখানে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। মরিনহোর জন্যই আজ আমি এখানে। তিনি আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছেন। আর বলেছেন, আমাকে পেলে দল আরও শক্তিশালী হবে। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই অনেক শিরোপা জিতেছেন। আমিও তাঁর কোচিংয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করছি, এখানে অনেক শিরোপা জিততে পারব। চেলসিতে পুরনো এক সতীর্থকে পাশে পাচ্ছেন পেড্রো। ২০১১ সাল থেকে তিন বছর বার্সায় খেলার কারণে চেস ফেব্রিগাসের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব। স্পেনের জাতীয় দলেও দু’জনে খেলছেন পাঁচ বছর ধরে। নতুন দলে বন্ধুর দেখা পেয়ে দারুণ খুশি পেড্রো। বলেন, আমি ফেব্রিগাসের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা খুবই ভাল বন্ধু। আমার চেলসিতে যোগ দেয়ার পেছনে সেও একটা বড় কারণ। আমি জানতাম যে, নিজ বাসায় যেমনটি ছিলাম এখানে এসে সেরকমই অনুভব করব।
×