ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইউক্রেন সঙ্কট

মেরকেল-ওলাঁদ বৈঠক কাল, থাকছেন না পুতিন

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৩ আগস্ট ২০১৫

মেরকেল-ওলাঁদ বৈঠক কাল, থাকছেন না পুতিন

ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে সোমবার বার্লিনে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। তবে এতে থাকছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। যদিও এর আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা বন্ধে মিনস্কে জার্মান চ্যান্সেলর ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ১৭ ঘণ্টা আলোচনা শেষে যে সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন তাতে ভøাদিমির পুতিনও ছিলেন। কিন্তু এবারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো পুতিনকে আমন্ত্রণ না জানিয়েই বার্লিনে বৈঠক ডেকেছেন। বিশ্লেষকরা একে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান পশ্চিমাবিরোধী অবস্থানের প্রতি কটাক্ষ হিসেবে দেখছেন। এদিকে মিনস্ক চুক্তির পরও ইউক্রেনে সহিংসতা অব্যাহত থাকে। বিবদমান পক্ষগুলো বারবারই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন এবং যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ফেব্রুয়ারিতে মিনস্কে বৈঠকের ওই সময়ে পূর্ব ইউক্রেনে সহিসংতায় পাঁচ হাজার তিনশ’ লোকের প্রাণহানি ঘটে। যা বর্তমানে ছয় হাজার নয়শতে দাঁড়িয়েছে। সহিংসতায় উস্কানির জন্য পেত্রো পোরোশেঙ্কো বরাবরই রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে। আর পোরোশেঙ্কোর এ দাবির বিষয়টি ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছে। ন্যাটো রাশিয়ার অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছে। পশ্চিমা সামরিক জোটের নারী মুখপাত্র বলেন, সহিংসতা বন্ধে রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজে বের করা রাশিয়ার বিশেষ দায়িত্ব। কারণ ক্রেমলিনের সঙ্গে ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের সম্পর্ক প্রকটভাবেই দৃশ্যমান। ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে মিনস্কের পর এই প্রথম বার্লিনে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রসঙ্গে পোরোশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তৈরি করা যারা একটি জোট গঠন করে আগ্রাসন বন্ধ করবে। রুশ প্রধানমন্ত্রীর কুড়িল দ্বীপপুঞ্জ পরিদর্শন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ শনিবার কুড়িল দ্বীপপুঞ্জ পরিদর্শন করায় জাপান এর জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধপূর্ণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ দ্বীপপূঞ্জ টোকিও তাদের সার্বভৌমত্বের অংশ দাবি করে আসছে। রুশ সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয় মেদভেদেভ ইতুরাপ দ্বীপ পরিদর্শন করেন। এটি রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল ও জাপানের উত্তরে অবস্থিত চারটি দ্বীপের একটি। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউরোপীয় বিভাগের প্রধান হাজিম হায়াশি দ্বীপপুঞ্জ পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে টোকিওতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে টেলিফোন করেন। এটিকে জাপান তাদের উত্তরাঞ্চলীয় ভূখ-ের অংশ মনে করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা হায়াশির বরাত দিয়ে বলেন, ‘এ সফর উত্তরাঞ্চলীয় এ ভূখ-ের বিষয়ে জাপানের অবস্থানের পরিপন্থী। এটি জাপানের জনগণের অনুভূতিতে চরম আঘাত এবং অত্যন্ত দুঃখজনক।’ উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান আতœসমর্পণের পরপরই সোভিয়েত সৈন্যরা দ্বীপপুঞ্জটি দখল করে নেয়। এ কারণে যুদ্ধ পরবর্তী শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করা থেকে মস্কো ও টোকিও বিরত থাকে। দীর্ঘ সাত দশকের এ বিরোধ দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০১২ সালেও মেদভেদেভ এ দ্বীপপুঞ্জ সফর করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়া সেখানে সামরিক মহড়া চালায়। উভয় ঘটনায় জাপানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়। -এএফপি
×