ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৩ আগস্ট ২০১৫

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙ্গন

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল শনিবার ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এর বহিষ্কৃত প্রধান দলের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছে। এর আগে পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে ক্ষমতাসীন ব্লকের মধ্যে ভাঙ্গনের প্রকাশ ঘটে। খবর ইয়াহু নিউজের। প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন গত সপ্তাহে তার উচ্চাভিলাষী প্রতিদ্বন্দ্বী শোয়ে মানকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে বহিষ্কার করেন। পরে মধ্যরাতে ট্রাক ভর্তি পুলিশ দিয়ে দলের সদর দফতর ঘিরে রাখা হয়। এটি ছিল সামরিক শাসনের অবসানের পর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। দলীয় নেতৃত্বে এরূপ বদল ৮ নবেম্বর অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ২৫ বছরের মধ্যে এটিই হবে দেশটির প্রথম অবাধ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিরোধী নেত্রী আউং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি বিজয়ী হবে বলে মনে করা হয়। কিন্তু সেনা রচিত সংবিধানের অধীনে তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার ওপর বাধানিষেধ রয়েছে। শোয়ে মান পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের স্পীকার হিসেবে বজায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেদিন রাজনৈতিক মতনির্বিশেষে তার সমর্থকরা এক বিতর্কিত বিল প্রত্যাখ্যান করেন, যা তার পদত্যাগের পথ তৈরি করতে পারত। ওই ভোটাভুটি সাধারণ পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে সাবেক জেনারেল শোয়ে মানের প্রভাব এবং ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) মধ্যকার বিভেদ স্পষ্ট করে তোলে। শোয়ে মানকে যেভাবে নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছে, তাতে দলের সাধারণ এমপিরা বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। ওই প্রতিনিধি প্রত্যাহার বিলের অধীনে যদি শতকরা ১ ভাগ ভোটার আইন প্রণেতাদের প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে কোন আবেদনে সই করেন এবং নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক বলে দেখতে পায়, তা হলে তারা তাদের আসন হারাবেন। শোয়ে মান ও সুচি বিলটির বিরোধিতা করেন। বৃহস্পতিবার ভোটাভুটিতে আইন প্রণেতারা বিলটি নিয়ে আলোচনা পার্লামেন্টের পরবর্তী অধিবেশন পর্যন্ত স্থগিত রাখেন।
×