ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটি অবশেষে চালু হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৩ আগস্ট ২০১৫

চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটি অবশেষে চালু হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালে (এনসিটি) অপারেশন কর্মকাণ্ড অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে। দরপত্রের ভিত্তিতে নির্বাচিত তিনটি প্রতিষ্ঠান টার্মিনালটির দুটি বার্থে কাজ শুরু করবে আগামী ১ অক্টোবর। এনসিটি পুরোদমে অপারেশনে গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা উন্নীত হবে প্রায় দ্বিগুণে। এদিকে, বন্দরের কন্টেনার জট কমাতে খালি কন্টেনারগুলো অন্যান্য বিদেশী বন্দরে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আমদানিকারকরা যেন দ্রুত কন্টেনার ছাড়িয়ে নেন সে জন্য বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেনার অবস্থানের জন্য দণ্ড ভাড়া বাড়াবার চিন্তা ভাবনাও চলছে। বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে মিলিত হন বন্দরের বার্থ অপারেটর, শিপিং এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত প্রতিনিধিরা বন্দরকে আরও উৎপাদনশীল এবং গতিশীল করতে অভিমত ব্যক্ত করেন। বন্দর চেয়ারম্যানও ইয়ার্ডকে কন্টেনার জটমুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত হয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে ইয়ার্ডে যে পরিমাণ কন্টেনার রয়েছে তারমধ্যে খালি কন্টেনারগুলো একটি বড় সমস্যা। কারণ, পণ্যভর্তি কন্টেনারগুলো আমদানিকারকরা তাদের প্রয়োজনের তাগিদে ছাড়িয়ে নিলেও খালি কন্টেনারগুলো পড়ে থাকছে দীর্ঘ সময় ধরে। এগুলো অন্যত্র পাঠিয়ে ইয়ার্ড খালি করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। তিনি জানান, বর্তমানে প্রায় সাত হাজার খালি কন্টেনার রয়েছে। এগুলো কমাতে প্রতিসপ্তাহে অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার করে কন্টেনার বিশ্বের অন্যান্য বন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে শিপিং এজেন্টদের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন এ্যান্ড প্লানিং) মোঃ জাফর আলম জনকণ্ঠকে জানান, বন্দর থেকে এমনিতেই প্রতিসপ্তাহে ১৭শ’ হতে ১৮শ’ খালি কন্টেনার অন্যান্য বন্দরে যায়। যেহেতু কন্টেনারের সংখ্যা বেড়ে গেছে, সেহেতু আরও বেশি হারে খালি কন্টেনার পাঠাবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে মোট কন্টেনার ছিল প্রায় ৩৩ হাজার টিইইউএস। তবে ইয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৪০ হাজার। খালি কন্টেনারগুলো সরিয়ে দিলে ইয়ার্ডে জায়গা অনেকে বেড়ে যাবে। এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটির দুটি বার্থে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১ অক্টোবর। দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পাওয়া সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ টার্মিনালের ৪ ও ৫ নম্বর বার্থ পরিচালনা করবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজও চলছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, দরপত্রের মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগ না হলেও এনসিটির বার্থগুলোতে কর্মকা- চলে আসছিল। তবে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটরের দায়িত্বভার গ্রহণের মধ্য দিয়ে এনসিটি নিয়ে সকল জটিলতার অবসান হতে যাচ্ছে।
×