ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৩ আগস্ট ২০১৫

মাদারীপুরে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২২ আগস্ট ॥ জাহিদুল ইসলাম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ২৬ জুলাই মাদারীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের ১ মাসের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম মাদারীপুরে যোগদান করেই তিনি দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম শুরু করেন। তার এ সব অপকর্মের মধ্যে রয়েছে, জমির দলিল গ্রহীতা ও দাতার কাছ থেকে কাগজপত্রে ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে টাকা আদায়, এজলাসে না উঠে খাস-কামরায় বসে দলিল সম্পাদন, জাবেদার নকল দিতে গ্রাহকদের অযথা হয়রানি করা, অফিস কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, স্থানীয় দালালদের সমন্বয়ে অফিসকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা, সর্বোপরি মাদারীপুর অঞ্চল দুদকের পাইলট প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি এবং গোপালগঞ্জে তার বাড়ি এমন দম্ভোক্তি দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করা। তিনি সকল আইনের উর্ধে এবং অধরা, তার হাত অনেক লম্বাÑ তিনি যা করেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই করেন। সাংবাদিকরা যাই লিখুক তাতে তার কিছু হবে নাÑ এমন উক্তি তার। সাব-রেজিস্ট্রারের নিজস্ব একাধিক দলিল লেখক রয়েছে, যাদের মাধ্যমে তিনি জমির দাতা-গ্রহীতাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অযথা হয়রানি করে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন এবং তিনি এসব টাকা নিজ হাতেই গ্রহণ করেন। তবে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার সময় একাধিক লাইসেন্সবিহীন দালাল প্রকৃতির দলিল লেখক নামধারীদের সহযোগিতা নিয়ে থাকেন। তার এ সব অপকর্মে অফিস কর্মচারীরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে, তার অধীনে চাকরি করার কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তিনি যোগদানের পর থেকে আজ পর্যন্ত অফিস খোলার প্রথম দিন অর্থাৎ কোন রবিবারেই অফিস করেন না। অফিস থেকে ছুটি না নিয়ে তিনি তার ইচ্ছামতো ছুটি কাটিয়ে থাকেন। দিনাজপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বীরগঞ্জ উপজেলা শহরের মা ও শিশু কেয়ার এ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ফুলছুড়ি বেগম (৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার সময় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। নিহতের স্বামী বাদশা জানান, ফুলছুড়িকে শুক্রবার সকালে মা ও শিশু কেয়ার এ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ক্লিনিকের মালিক ডাঃ ভবতোশ রায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় তার অপারেশন করেন। অপারেশন করার পরই ডাঃ ভবতোশ রায় দ্রুত অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে ফুলছুড়িকে দিনাজপুর মেডিক্যাল (দিমেক) কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ সময় রোগীর কোন লোককে সঙ্গে যেতে দেয়া হয়নি। পরে রাতে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে ফুলছুড়ির মৃতদেহ ও নবজাতক কন্যা শিশুটিকে দিনাজপুর থেকে বীরগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। মা ও শিশু কেয়ার এ্যান্ড জেনারেল চিকিৎসক ডাঃ ভবতোশকে পাওয়া যায়নি। দায়িত্বরত নার্স লিলি রায় জানান, অপারেশন করার পর রোগীর রক্ত চাপ বেড়ে গেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এসব ঘটনায় অধিকাংশ রোগীই ঝুঁকিপূর্ণ।
×