আমার কপালটাই খারাপ! এতদিন পর সময় বের করে একটু লেখালেখিতে মন দিয়েছি, আর অমনি সব নিষ্ঠুর দিনগুলো এসে হাজির। আমার কলামের নাম ‘আমার দিন’; তাই সপ্তাহের কেটে যাওয়া দিনগুলোকে আমি কিভাবে দেখছি সেই কথা চলেই আসে। গত সপ্তাহে যখন লিখতে বসেছি তখন ছিল ১৫ আগস্ট। আজ যখন লিখতে বসেছি তখন ২১ আগস্ট। আমি তথাকথিত কপালে বিশ্বাস করি না। কিন্তু যখন কোনকিছু ব্যাখ্যা করা যায় না, ‘কপাল’-এর চেয়ে ভাল শব্দ আর কি হতে পারে! (আমি মনে করি, মানুষ তার কৃতকর্মের ফলই ভোগ করে। ঘটনাগুলো ঘটে শুধু সময়ের দূরত্বে।) আচ্ছা বলুন, দুটো কালো দিনই কেন আমার দুই সপ্তাহে লেখার দিন হবে! একটু এদিক-সেদিক হতে পারত!
গত সপ্তাহে লিখেছিলাম, ‘এই বাঙালী কি বঙ্গবন্ধুকে ডিজার্ভ করত?’ লেখাটি বিভিন্ন মহলে আলোচিত হয়েছে। অনেকে বিভিন্ন রকমের ফিডব্যাক দিয়েছেন। তার কিছুটা এখানে তুলে ধরা যেতে পারে। একটি বড় অংশের মানুষ আমাকে জানিয়েছেন, এই বাঙালী তখনও বঙ্গবন্ধুকে ডিজার্ভ করত না, এখনও করে না। হয়ত ভবিষ্যতে কখনও করতে পারে।
আমার লেখার মূল বক্তব্যটি ছিল জনগণকে আগে নিয়ম-শৃঙ্খলা মানতে হবে, ভদ্র হতে হবে, সৌজন্য দেখাতে হবে, অন্যকে আগে যেতে দিতে হবে। এবং সেটা প্রতিদিনকার কাজে, কর্মে এবং সমাজে। আমরা নিজেরা যেহেতু কোন নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করি না, তাই এমন একটি বিশৃঙ্খল জাতিকে নিয়মের মধ্যে আনতে কঠোর শাসনের প্রয়োজন।
কেউ কেউ বলেছেন, সেনাবাহিনী তার জন্য উপযুক্ত।
আমার উত্তর হলোÑ সেনাবাহিনীর নিজস্ব কিছু নিয়মরীতি থাকে, যার বেশিরভাগ যুদ্ধের জন্য প্রযোজ্য। তাদের ট্রেনিং যুদ্ধের জন্য, সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নয়। তাই সেনাবাহিনী যত বেশি জনগণ থেকে দূরে থাকে ততই মঙ্গল। এটা সবার জন্যই মঙ্গল। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এই মাটির সন্তান। তাদের ছেলেমেয়েরাও এই মাটিতে বড় হচ্ছে। তাদেরও এ দেশে থাকতে হবে। এটা তাদের সন্তানদের জন্যও মঙ্গল। সামরিক বাহিনী যখন সাধারণ জনগণের দায়িত্ব নেয় সেটা কিছু সময়ের জন্য ভাল কাজ করে। কিন্তু পরবর্তীতে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়। এগুলো আমরা সবাই জানি। তবু প্রশ্ন যেহেতু এসেছে, উত্তরটুকু লিখে দিলাম।
কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার হবে কি না? আমি রাজনৈতিক বিশ্লেষক নই। তবে আমার সিক্স সেন্স বলে, এটারও বিচার হবে এবং তার প্রক্রিয়াও শুরু হবে শীঘ্রই।
অনেকেই বলেছেন, দেশের ক্ষমতাসীন মানুষ নিয়ম মানেন না। তারা হয়ত সংখ্যায় শতকরা বিশ ভাগের মতো। তাই নিয়ম ভাঙ্গার বিষয়টি ঢালাওভাবে ধরা যাবে না। আমি এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। আমি গ্রামের দরিদ্র মানুষ দেখেছি, রাস্তার সাধারণ মানুষ দেখেছি, বাস-ট্রাকের ড্রাইভার থেকে শুরু করে বস্তির মানুষও দেখেছি। তারা কেউই নিয়ম মানেন না। বাংলাদেশ মানেই হলো নিয়ম ভাঙ্গার দেশ, আইনের প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর দেশ, অন্যের অধিকারকে ক্ষুণœ করে নিজের পেট মোটা করার দেশ। মুখে নিয়মের কথা বললেও কাজে তারা সেটা প্রয়োগ করেন না। বাঙালীর রক্তে ঢুকে গেছে কিভাবে শর্টকাট মারা যায় (সেটা যে কোন কাজেই হোক না কেন!)
এই ভূ-খ-ের মানুষ সবসময়ই চিন্তা করে ‘আমার’-টা কোথায়! সে কখনই ‘আমাদের’ কথা চিন্তা করে না। এটা তার ব্রেইনের ভেতর নেই। গ্রামের মানুষ যেমন সারাক্ষণ জমির আইলটুকু কিভাবে আরেকটু বাড়িয়ে নেয়া যায় ভাবে, গ্রামের দোকানি যেমন জানে কিভাবে পচা আলু-পটল কিংবা মাংসটুকু গ্রাহককে গছিয়ে দেয়া যায়, একইভাবে কর্পোরেটরা জানে কিভাবে হলুদের ভেতর ভেজাল দিতে হয়, কিভাবে পচা গম থেকে আটা বানিয়ে বাজারে ছড়িয়ে দেয়া যায়, কিংবা আম ছাড়াও তৈরি করা যায় আমের জুস। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এগুলোকেই নিয়ম মনে করে এবং কোন ভদ্রলোকের পক্ষে এই দেশে কিছু করা তো অনেক দূরে, জীবনযাপন করাটাই কঠিন। ভদ্রলোকের পক্ষে এই দেশে কাজ করা কঠিন, আর দেশ পরিচালনা করা তো অসম্ভব বিষয়।
অনেকের মতো আমিও মনে করি বঙ্গবন্ধুকে বর্তমানের বাংলাদেশও ডিজার্ভ করে না।
দুই.
এ দেশের কিছু মানুষ গণতন্ত্র বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন এবং সামাজিক মাধ্যমÑ সর্বত্র আমরা বলি গণতন্ত্র আর গণতন্ত্র। নইলে দেশ উচ্ছন্নে যাচ্ছে। আসলে তারা হয়ত গণতন্ত্র এবং ‘সরকার পরিবর্তন’Ñ এই দুটো শব্দকে একই করে ফেলেছেন। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে আসলে সরকারের পরিবর্তন চান। কিন্তু তারাও ভেতরে ভেতরে জানেন এই দেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়, তারা নিজেরা তো আরও না। এগুলো শুধু বলার জন্যই। মানুষও এটা বুঝে ফেলেছে। তাই মানুষও এখন আর সেগুলো বিশ্বাস করে না, নাড়াচাড়াও করে না।
গণতন্ত্র হলো একটি দর্শন। এর মূল ভিত্তি হলো অন্যের প্রতি সম্মান দেখানো। আমি মনে করি, এই কাজটি করা সবচেয়ে কঠিন এবং চর্চাটা লাগবে সর্বত্র। খালি ভোটের সময় গণতন্ত্র, আর সারা বছর একনায়কতন্ত্রÑ এর চেয়ে হিপোক্র্যাসি আর কি হতে পারে! আমরা পরিবারের ভেতর অন্যের মতামতকে সম্মান দেখাই না, অফিসে দেখাই না, বাসে দেখাই না, ট্রেনে দেখাই না, বাজারে দেখাই না, বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখাই না, মিডিয়াতে দেখাই নাÑ আর আমরা গণতন্ত্রের জন্য চিৎকার করছি, গিভ মি এ ব্রেক!
অনেকেই আমাকে বলছেন, এর থেকে উদ্ধার হওয়ার উপায় কি? এর একটি উত্তর দিয়েছেন অভিনেতা/লেখক আফজাল হোসেন। আমি তাঁর অনুমতি নিয়ে ফেসবুক থেকে লেখাটুকু এখানে উদ্ধৃতি করছিÑ ‘দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে চাইলে যে যেখানে রয়েছি, যার যেমন সাধ্য সে অনুযায়ী সামান্য করতে পারলেও অনেক কিছু হয়, হতে পারত। কে কি সর্বনাশ করেছে, কার কত দোষ আর আমি কত ভাল এসবের হিসাব কষতে কষতে শেষ হয়ে গেছে, যাচ্ছে আমাদের জনমের সিংহভাগ। নিত্যদিন প্রায় প্রত্যেকে বিচারকের গদিতে বসে মহান বিচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছি। ওকে গালি, তাকে খামচি, ল্যাং, লাথি, গুঁতো বা আশ মিটিয়ে অপমান করে দায়িত্ব পালন করে চলেছি। নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সাহস কতজনের আছে? নেই।
যেদিকে তাকানো যায়, মহাউৎসাহে উদ্দীপনায় বিচারের জন্য ব্যস্ত মানুষ। সবাই হন্যে হয়ে অন্যায়কারী খুঁজছে। নিজের মতো না হলেই ভয়াবহ অপরাধের দায়ে শেষ করে দিতে চাইছে। শেষ করে দিচ্ছেও। গুলিতে, বোমায়, গুম করে, পুড়িয়ে, পিটিয়ে, কুপিয়ে যেভাবে হোক মানুষকে শেষ করে ফেলছে মানুষরাই। মানুষ-মানুষকে ভালবাসতে পারে না, দাবি করে দেশ ভালবাসে। মানবতার তোয়াক্কা করে না, ভক্তি নেই মানবজীবনের প্রতি, ধর্মের মর্যাদা রাখতে বদ্ধপরিকর। দেশ বা ধর্ম দুটোই মানুষের জন্য। মানুষ বেঁচে থাকলে সব বেঁচে থাকবে। কে কাকে বোঝাবে সে কথা!’ (আফজাল হোসেন, ১৭ আগস্ট ২০১৫)
আপনার কিছু পছন্দ না হলেই তাকে আপনার ‘থাবড়াইতে’ ইচ্ছে করবে, আর আপনি চান গণতন্ত্রÑ জাস্ট ফরগেট ইট। মানুষকেই পাল্টাতে হবে। আজ থেকে নিজে কিছু কিছু আইন মানতে শুরু করুন, অন্যের মতামতকে মূল্য দিতে শুরু“করুন, আগে অন্যকে যেতে দিন, তারপর নিজে যানÑ দেখবেন পরিবর্তন হবেই। তবে এ পরিবর্তন ২-৩ বছরেই হয়ে যাবে না। আমার ধারণা, এই শতাব্দীর পুরো সময়টাই লাগবে। আমরা সবাই কুইক ফলাফল চাই। এই পথে কুইক কোন রাস্তা নেই। তবে আমরা কাজগুলো করতে শুরু করলে, পরিবর্তন যে হতে শুরু করেছে সেটা লক্ষ্য করা যাবে দ্রুতই।
তিন.
আমি আমার স্বল্প বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারি না, যে দেশে ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটতে পারে সেই দেশে মানুষ গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করে কিভাবে! দুটোই তো একদম ভিন্ন দুটো রাস্তা। যারা এই ঘটনাটির ভেতর দিয়ে গেছেন তারা কি কখনই এটাকে ক্ষমা করতে পারবেন? ভুলে যেতে পারবেন? তাদের ছেলেমেয়েরা পারবে? সহজ উত্তর হলোÑ পারবে না। তার অর্থ তো এই দাঁড়ালো যে, আগামী আরেকটি প্রজন্ম পর্যন্ত এই জাতি ‘স্টাক, সিম্পলি স্টাক।’
বাংলাদেশে আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যেও গণতান্ত্রিক চর্চা আসবে না। ক্ষমতার হাত বদল হয়ত হবে; কিন্তু গণতন্ত্র আসবে না। এটা হতেই পারে না। গণতন্ত্র চর্চা করার জন্য যে ক্ষেত্র তা আমরাই নষ্ট করে দিয়েছি। এজন্য ব্রিটিশদের দায়ী করা যাবে না, এজন্য পাকিস্তানীদেরও দায়ী করা যাবে না। উই হ্যাভ স্ক্রুড-আপ আওয়ার ওন ন্যাশন।
২১ আগস্টের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পথ সঙ্কীর্ণ হয়ে গেছে। এটা নিয়ে বহু তাত্ত্বিক আলোচনা হতে পারে, জ্ঞানগর্ভ টকশো হতে পারে, পত্রিকার পাতা ভরে ফেলা যেতে পারে, সামাজিক মাধ্যমে কোটি কোটি তর্কবিতর্ক চলতে পারে; কিন্তু ফলাফল একটাই। রাস্তা বন্ধ! যে বাঙালী তার প্রতিপক্ষকে মেরে ফেলার জন্য এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে, সেই বাঙালীরাই এটাকে ক্ষমা করতে পারবে না। যে যত কথাই বলুন, আপনারা দেখে নিনÑ আগামী ৩০-৪০ বছর কিংবা আরও বেশি সময় ধরে এই জাতিকে এটা বইতে হবে। তারপরও এই দাগ মুছে গিয়ে নতুন প্রজন্ম কাঁধে কাঁধ রেখে দেশের কথা ভাবতে পারবে কি না যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
চার.
অনেকেই আমার লেখায় হতাশ হতে পারেন। বাংলাদেশে মূলত দুই ধরনের লেখক আছেনÑ
১. সুবিধাভোগী : এরা মূলত বিভিন্ন দল বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেন। এরা আবার দুটি ভাগে বিভক্তÑ সরকারী এবং বিরোধী। সরকারী দলের লেখকরা সবসময়ই বলতে থাকেন সরকার দারুণ কাজ করছে এবং তারা সরকারের কোন ভুলই দেখতে পান না। আবার এদের প্রতিহত করতে আরেক দল লেখক আছেন যারা প্রমাণ করার চেষ্টা করেনÑ সব ভুল হচ্ছে, দেশ-জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এরা উভয়ই আসলে একটাই দল বা প্রজাতির। শুধু এজেন্ডাটা ভিন্ন। ক্ষমতা উল্টা-পাল্টা হলে এদের অবস্থান পরিবর্তন হয়, এই যা।
২. স্বপ্নবাজ : দ্বিতীয় আরেকটি দলে কিছু লেখক আছেন, যারা বাংলাদেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখেন। সেই স্বপ্ন শুধু ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখতে হয়; বাস্তবের সঙ্গে তার কোন মিল নেই। অনেকটা কবি-সাহিত্যিকদের মতোÑ পুরো বিষয়টাই ব্রেইনের ভেতর। তারা বলে থাকেন, বাংলাদেশ একদিন সোনার দেশ হয়ে যাবে, তরুণরা বাংলার মুখকে উজ্জ্বল করবে। কিন্তু কবে হবে, কিভাবে হবে, সেটা তারা বলতে পারেন না। কারণ তারা নিজেরাও জানেন, এটা কেবলই স্বপ্ন। সঠিক উত্তর তাদের কাছেও নেই।
আমি মনে করি, এই দুটো জিনিসই প্রচ-ভাবে খারাপ। জনগণকে কনফিউজ করার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে জরুরী যে বিষয়টি তাহলো ‘রাইট এক্সপেক্টেশন’ বা সঠিক প্রত্যাশা। ভোটের আগে দেখবেন প্রার্থীরা এমন সব প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন যা তারা কখনই পূরণ করতে পারবেন না। ঢাকার দুই মেয়রও এই কাজটি করেছেন। তারা খুব ভাল করেই জানতেন যে, ঢাকা শহরের তেমন কোন উন্নয়ন তারা করতে পারবেন না। কিন্তু তারপরও মিথ্যা আশ্বাস। এটাই হলো পুরনো দিনের রাজনীতি। জনগণকে ঠকানোর রাজনীতি। আপনি স্বেচ্ছায় জনগণকে মিথ্যা প্রত্যাশা দিচ্ছেন। এটা করতে পারছেন, কারণ তারা জনগণকে ‘বোকা’ ভাবছেন। আর জনগণ যখন এগুলো পাচ্ছে না তখন তারা হতাশ হচ্ছে। গালি দিচ্ছে। এই রাজনীতির দিন প্রায় শেষ।
জনগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক আমাদের উচিত সঠিক প্রত্যাশা তৈরি করা। সঠিক প্রত্যাশাটা তাহলে কি? বাংলাদেশ কি রাতারাতি সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়া হয়ে যাচ্ছে? সঠিক উত্তর হলো, না। তাহলে বাংলাদেশ কি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে? তার সঠিক উত্তরও হলো- না, বাংলাদেশ ধ্বংসও হয়ে যাচ্ছে না। বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। সেটা যেমন অর্থনৈতিক, তেমনিভাবে সামাজিক, চিন্তা, মেধা, মনন ও বৈশ্বিক এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছুতে বেশ সময় লাগবে। প্রশ্ন : কত সময়? উত্তর : আরও ৩০-৪০ বছর। তবে এর ভেতর যদি আবার কোন ২১ আগস্ট কিংবা আরও ভয়ঙ্কর কিছু হয় তাহলে শোধ-প্রতিশোধের চক্করে পড়ে আরও অনেক বেশি সময় লাগবে।
তাই সঠিক প্রত্যাশা নিয়ে বাঁচুন। মনে রাখুন, আপনার জীবদ্দশায় গণতন্ত্র আসবে না। কারণ আপনি নিজেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না, গণতন্ত্র চর্চা করেন না। আপনার ছেলে কিংবা নাতিকে যদি গণতন্ত্র উপহার দিতে চান তাহলে আজ থেকেই গণতন্ত্র চর্চাটা আগে নিজের জীবনে আনুন, ভদ্র হন, সৌজন্যতা দেখান, অন্যকে সম্মান দেখান, অপরকে আগে যেতে দিনÑ তারপর নিজে যান। মাত্র একটি বছর এই চেষ্টাটুকু করে দেখুন। দেখবেন জীবন পাল্টাতে শুরু করেছে।
২১ আগস্ট ২০১৫
লেখক : তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং সম্পাদক, প্রিয়.কম
ুং@ঢ়ৎরুড়.পড়স
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: