ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চার দেশের যান চলাচল চুক্তির অনুসমর্থন আজ মন্ত্রিসভায়

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৪ আগস্ট ২০১৫

চার দেশের যান চলাচল চুক্তির অনুসমর্থন আজ মন্ত্রিসভায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল সংক্রান্ত খসড়া চুক্তির অনুসমর্থনের প্রস্তাব আজ সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হতে পারে। চার দেশীয় সড়ক যোগাযোগ চুক্তির এই রূপরেখায় বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটান যাওয়ার জন্য তিনটি রুটের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি, ঢাকা-বুড়িমারী- চেংরাবান্দা, ঢাকা-বাংলাবান্ধা-জলপাইগুড়ি-কাঁকরভিটা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। এদিকে, চুক্তির রূপরেখা অনুযায়ী যাত্রীবাহী বাস, ভাড়া করা গাড়ি এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে পারবে। যাত্রীবাহী বাসের ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী বাসের মতোই দীর্ঘমেয়াদি অনুমতিপত্র নিতে হবে। ব্যক্তিগত যানবাহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন সার্ভিস থেকে ফরম পূরণ করে তাৎক্ষণিক অনুমোদন নেয়া যাবে। পর্যটন, শিক্ষা সফর, চিকিৎসাসেবা, তীর্থযাত্রার জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করা যাবে। যাত্রীবাহী বাস বাণিজ্যিকভিত্তিতে যাত্রী পরিবহন করবে। রূপরেখায় আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে পণ্যবাহী কনটেনার বহন করা ট্রাক ও ট্রেইলার চলাচল করতে পারবে। এক্ষেত্রেও যানবাহনকে প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র নিতে হবে। চালকের ভ্রমণ সংক্রান্ত দলিলাদি থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে চলতি বছরের গত ৮ জুন এ চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর গত ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্পোতে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে যাত্রী, ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য মোটরযান চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। ভবিষ্যতে এই চার দেশের সম্মতিতে যোগাযোগে অন্য যে কোন দেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগও চুক্তিতে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে প্রতিবেশী চার দেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করা হলে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে তা নিয়ে কাজ করছে এ সংক্রান্ত কোর কমিটি। এছাড়া সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী কয়েকটি সংগঠনও এটি নিয়ে গবেষণা করছে। ইতোপূর্বে কোর গ্রুপ যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে অবকাঠামো বিনির্মাণ ও উন্নয়ন সাপেক্ষে বছরে এক কোটি ৭৩ লাখ টন পণ্যবাহী কার্গো পরিবহন হবে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ট্রানশিপমেন্ট দেয়া হলে ১৮ লাখ টন কার্গো পরিবহন হবে। সাতটি সড়ক, সাতটি রেল ও তিনটি নৌপথ দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দেয়া সম্ভব। এতে পরিবহন বাবদ ১৫ ধরনের মাশুল আদায় করা যাবে। কোর কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে প্রক্রিয়া শুরু করার পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দেয়া সম্ভব নয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ট্রানশিপমেন্ট দেয়া যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে ট্রানশিপমেন্টের পরিধি বাড়ানো ও অবকাঠামো উন্নয়ন করে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিটে যাওয়া সম্ভব।
×