নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর), ২৩ আগস্ট ॥ নাম দেলোয়ার সরদার, বয়স জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে ৩৫ বছর, পেশায় দিনমজুর।
তার সংসারে রয়েছে মা, চার ভাই ও এক বোনসহ মোট সাত সদস্য। সবার ছোট দেলোয়ার। তার বাবা মারা যান ২০ বছর আগে। সেই থেকে সংসারের হাল ধরতে তার মা সুকলাল বেগম বাড়ি-বাড়ি ঝিয়ের কাজ করেন। তার বাড়িতে রয়েছে অন্যের আধা শতাংশ জমি। সেখানে নেই কোন বসত ঘর। আর ভাইয়েরা যে যার মতে চলছে। কেউ কারও খোঁজ-খবর নেয় না। দেলোয়ার কালকিনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন।
অভাব-অনটনের সংসারে অর্থের অভাবে আর পড়ালেখা করতে পারেননি। দেলোয়ার সরদার মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার লক্ষ্মীপুর-পখিরা গ্রামের ভূমিহীন আক্কেল সরদারের ছেলে। হঠাৎ করে নিয়তির নিষ্ঠুর আঘাতে ২০০৭ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় (সিডরের) সময় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে হাতের ওপর পরে দু’হাত পঙ্গু হয়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে সে সময় আর উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেনি। এ কারণে তার পঙ্গু জীবন বরণ করে নিতে হয়। তারপর থেকে দেলোয়ার কোন কাজকর্ম না করতে পেরে অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন। সেই থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য দ্বারে-দ্বারে ঘুরেছেন। কেউ বলছেন চেয়ারম্যান বা মেম্বারের কাছে যেতে। কিন্তু তাদের কাছে গিয়ে ভাতা তো দূরের কথা ফিরতে হচ্ছে লাঞ্ছিত হয়ে। দেলোয়ার সরদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এহন কবরে গেলে কি প্রতিবন্ধী ভাতা পাইমু?
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: