ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন হিলারি

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৫ আগস্ট ২০১৫

জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন হিলারি

নাজনীন আখতার ॥ ই-মেল স্ক্যান্ডাল, নিজ সংস্থার অর্থ অস্বচ্ছতা, স্বামীর যৌন কেলেঙ্কারি এবং অতিরিক্ত বয়স- নানামুখী চাপ ও সমালোচনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দৌড়ে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। বিভিন্ন জরিপ প্রতিবেদন বলছে, আগামী বছর হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ৩৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ব্যক্তিত্বকে পাওয়ার ক্ষেত্রে শুরুর শক্তিশালী অবস্থানটি এখন আর নেই। নিজ দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নানামুখী নেতিবাচক প্রচারণায় শুরুর সময়ের তুলনায় সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দিন দিন ব্যবধান কমিয়ে আনছেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। এনবিসি, টাইম, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিএনএনের বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন ও জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য। গত ১৯ আগস্ট সিএনএনের এক জরিপে বলা হয়, এখন পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে থাকলেও শুরুর সময়ের তুলনায় তা ফিকে হয়ে আসছে। রিপাবলিকান চার প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ট্রাম্প থেকে ৬ পয়েন্ট (৫১ শতাংশ) এবং উইসকনসিন গর্বনর স্কট ওয়াকার থেকে ৬ পয়েন্ট (৫২ শতাংশ), ফ্লোরিডার সাবেক গর্বনর জেব বুশের চেয়ে ৯ পয়েন্ট (৫২ শতাংশ) এবং নারী ব্যবসায়ী ক্ল্যারি ফ্লোরিনা থেকে ১০ পয়েন্ট (৫৩ শতাংশ) এগিয়ে রয়েছেন হিলারি। গত জুনে দেরিতে প্রচার শুরু করলেও রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত উপরে উঠে এসেছেন। আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন ট্রাম্প। জরিপে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্প থেকে মাত্র ৬ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন। জুলাই মাসের জরিপে তিনি হিলারি থেকে ১৬ পয়েন্ট পিছিয়েছিলেন। দ্রুতই তিনি এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে পেরেছেন। জুলাইয়ে তার সমর্থন ছিল ৬৭ শতাংশ। এখন তা ৭৯ শতাংশ। ওই সময়ে পুরুষ ভোটার ৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৫৩ শতাংশ এবং শেতাঙ্গ ভোটার ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে সর্বশেষ ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ই-মেইল কেলেঙ্কারির বিষয়টি তুলে এনে জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময়ে হিলারি ক্লিনটন ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। গত মার্চ মাসে বিষয়টি জানার পর থেকেই হিলারিবিরোধীরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করে আসছেন। রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা তার স্বচ্ছতার বিষয়টিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে সার্ভারটি নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য দাবি জানানো শুরু করে। সম্প্রতি হিলারি সার্ভারটি তদন্তের জন্য ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) হাতে তুলে দিতে তার ব্যক্তিগত স্টাফদের নির্দেশ দেন। গত ২২ আগস্ট এনবিসি নিউজে বলা হয়, হিলারির আইনজীবী ডেভিড কেনডাল বলেছেন, রাষ্ট্রের নিয়ম-কানুন মেনেই ব্যক্তিগত ই-মেইল করা হয়েছে। তবে গত ২০ আগস্ট এক শুনানিতে ওয়াশিংটনে ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট জজ ইমেট সুলিভান বলেছেন, ‘আজ আমাদের এখানে দাঁড়াতে হতো না যদি এই কর্মকর্তা (হিলারি) সরকারের নীতি অনুসরণ করতেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী কর্মকর্তাদের চিঠিপত্রকে সরকারী সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে সরকারী ই-মেইল ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সরকারী ই-মেইল হিলারি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে গোপন তথ্য পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারির বিরোধী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী লুইজিয়ানার গবর্নর ববি জিন্দাল এ বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ববি জিন্দাল আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এক মহড়া প্রচার অনুষ্ঠানে খোঁচা দিয়ে বলেন, হিলারি সরকারী কাজের সব ই-মেইল হস্তান্তর করেছেন এফবিআইয়ের কাছে। তার তদন্ত চলছে। এখন তার প্রার্থনা করা উচিত চীন সরকার যেন গোপন কোন তথ্য ফাঁস না করে। হিলারি এখন কারাবাস থেকে মাত্র এক ই-মেইল দূরে রয়েছেন। এদিকে বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এফবিআইয়ের তদন্তে হিলারির ই-মেইল এ্যাকাউন্টে গোপন তথ্য পাওয়া গেছে। ওই ই-মেইলগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। তদন্তের জন্য হিলারির দেয়া ৪০টি নমুনা ই-মেইলের মধ্যে চারটিতে গোপন তথ্য পাঠানো হয়েছিল সে সময়। এরমধ্যে দুটি ই-মেইল অত্যন্ত গোপনীয় ছিল। হিলারি দাবি করেছেন, ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে তিনি কোন আইন অমান্য করেননি। রাষ্ট্রীয় কোন গোপন তথ্যও ব্যক্তিগত ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাননি। তার নির্বাচনী প্রচারের মুখপাত্র নিক মেরিল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ই-মেইলগুলো পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলো যত দ্রুত সম্ভব তা বাছাই করে সময়মতো স্বচ্ছতার সঙ্গে সবার জন্য প্রকাশ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করছেন। গত ১৯ আগস্ট সিএনএনের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ই-মেইল কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ মনে করেন হিলারি কিছু একটা দোষ করেছেন। শুরুতে মার্চে যা ছিল ৫১ শতাংশ। ৩৯ শতাংশ মনে করেন হিলারি কোন ভুলই করেননি। এদিকে নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বেশিরভাগই সেক্ষেত্রে হিলারিকে নির্দোষ ভাবলেও এ মনোভাব পোষণকারীদের সংখ্যা কমে এসেছে আগের তুলনায়। মার্চে ৭১ শতাংশ তাকে নির্দোষ ভাবলেও এখন ৬৩ শতাংশ তা ভাবছেন। এছাড়া মনোনয়নের ক্ষেত্রে ৪৪ শতাংশ হিলারির প্রতি ইতিবাচক এবং ৫৩ শতাংশ নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। উল্লেখ্য, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। নিজ ওয়েবসাইটে দেয়া এক ভিডিও, ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে হিলারি এ ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণায় তিনি প্রথম নারী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাক্সক্ষার কথা প্রকাশ করেন। দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তিনি ইতোমধ্যে মহড়া প্রচার শুরু করেছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিসেবে তিনি আগে থেকেই বিশ্ব্যবাপী ছিলেন একজন আলোচিত ব্যক্তিত্ব। এর আগে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেতে চেয়েছিলেন। শুরু করেছিলেন মহড়া প্রচার। তবে পার্টির অপর মনোনয়নপ্রত্যাাশী প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামার কাছে হেরে যান। দলের মনোনয়ন পেয়ে ওই বার এবং পরের বারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বারাক ওবামা। প্রথম দফায় ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট হয়ে বারাক ওবামা হিলারি ক্লিনটনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত হিলারি ওই দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্লেষকদের মতে, মনোনয়ন দৌড়ে এবার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্য কোন মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারির তুলনায় শক্তিশালী নন। এখন পর্যন্ত জরিপ ফলাফলে এগিয়ে তিনি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও বলেছেন, হিলারি একজন চমৎকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পাঁচজন এখন পর্যন্ত প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। হিলারি ক্লিনটন ছাড়া বাকি চারজন হলেনÑ ভার্জিনিয়ার সাবেক সিনেটর জিম ওয়েব, সাবেক সিনেটর ও রোড আইল্যান্ডের গবর্নর লিংকন ক্যাফে, ভারমন্টের স্বতন্ত্র সিনেটর বের্নি সান্ডার্স এবং মেরিল্যান্ডের সাবেক গবর্নর মার্টিন ওমালি। এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বলে জানা গেছে। বাইডেন মনোনয়ন চাইলে হিলারি দলে বেশ চাপের মধ্যে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, হিলারিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ততটা যোগ্য ভাবছেন না দলের এমন সব প্রভাবশালী নেতা ও দাতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাইডেন। তিনি তাদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অপরদিকে রিপাবলিকান পার্টির ১৭ জন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এরমধ্যে ফ্লোরিডার সাবেক গবর্নর জেব বুশ ও উইসকনসিনের গবর্নর স্কট ওয়াকার রয়েছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে হিলারির বয়স সবচেয়ে বেশি। ৬৮ বছর। আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার বয়স হবে ৬৯ বছর। তিনি হবেন দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। রোনাল্ড রিগ্যান ৭০ বছর বয়সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা হিলারির অর্ধেক বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্ম তাকে পছন্দ করবেন কি-না তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কড়া সমালোচনার মধ্যেও রয়েছেন হিলারি। ইতোমধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ববি জিন্দাল তার মহড়া প্রচারে বলেছেন, হিলারি জয়ী হওয়ার অর্থ বারাক ওবামাকেই নির্বাচিত করা। আর এভাবে চলতে থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরেক গ্রীসে পরিণত হবে। কেউ বাঁচাতে পারবে না। রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দেশে সুদিন ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘আমরাই পারি। আমরা পারবই। আমরা দেশটাকে আবার সুদিনে ফিরে পাব।’ অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট স্বামী বিল ক্লিনটনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসকর্মী মনিকা লিউনস্কির যৌন কেলেঙ্কারিকে রিপাবলিকানরা হিলারির বিরুদ্ধে প্রচারে ব্যবহার করছেন। ওই কেলেঙ্কারির জন্য হিলারিকে দায়ী দেখিয়ে রিপাবলিকানরা যেভাবে প্রচারণা করছেন তাতে তারা একেবারে বিমুখ হননি। সুফলও পাচ্ছেন। বেশকিছু ভোটার সেক্ষেত্রে তাদের মানসিক অবস্থা তুলে ধরেছেন। এনবিসি নিউজ এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জরিপের ফলাফল অনুসারে ৪৪ শতাংশ ভোটার মনে করেন, স্ত্রী হিলারির ভুলের কারণে বিল ক্লিনটন এ যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন। ৩৬ শতাংশ ভোটারের হিলারি এবং ২৬ শতাংশ ভোটারের বিল ক্লিনটনের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। হিলারির নির্বাচনী প্রচারে তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও মনোনয়নে প্রার্থিতা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ফাউন্ডেশনের বোর্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন হিলারি। বলা হচ্ছে, ওই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার চাঁদা তোলা হয়েছে। চাঁদাদাতাদের মধ্যে দুর্নীতিবাজ বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান এবং অস্বচ্ছ চরিত্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। এদিকে হিলারির বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া তাদের লোগো ব্যবহারের অভিযোগ এনে উইকিলিকস বলেছে, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মহড়া প্রচারে হিলারির ব্যবহৃত লোগোটি উইকিলিকসের টুইটার থেকে নেয়া। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির এক প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত ব্যয় চালানোর জন্য রিপাবলিকান প্রার্থী জেব বুশের তুলনায় হিলারি বেশ পিছিয়ে রয়েছেন। এ ব্যয় নির্বাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা রাজনৈতিক এ্যাকশন কমিটির মাধ্যমে সদস্য বা অন্য দাতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন। সেই টাকা দিয়েই নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত ব্যয়ের তহবিল গঠন করা হয়। এখন পর্যন্ত হিলারির জন্য তহবিলে এক কোটি ৫৬ লাখ ডলার জমা হয়েছে। অপরদিকে জেব বুশের জন্য জমা হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তবে এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত হিসাব কষার সময় আসেনি বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
×