ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২৫ আগস্ট ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

ভাদ্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। পঞ্জিকা অনুযায়ী শরৎকাল। প্রকৃতিপ্রেমিকদের কাছে এ ঋতুর বিশেষ কদর রয়েছে। ভ্যাপসা গরমকে হাওয়ার ঝাপটায় আলতো সরিয়ে শরৎ এনে দেয় একরাশ স্বস্তি। আকাশে ভাসে মেঘের ভেলা। ভোরে ঘাসের ডগায় শিশিরের চুম্বন রোমান্টিক মনকে যুগপৎ প্রাণবন্ত ও উদাসীন করে। সৈয়দ মুজতবা আলীর নায়ক কান্দাহারে গিয়ে কাবুলদুহিতা শবনমের প্রেমে পড়ে শরতের স্মৃতি তুলে এনেছিল। শবনম মানে শিশিরবিন্দু, হিমকণা। পরিচয়ের শুরুতেই নায়ক মজনুন শবনমকে শিশিরের সঙ্গে শিউলির সম্পর্ক তুলে ধরে কবিতা আউড়েছিল। সেই কবিতা মন হরণ করে শবনমের, সে নিজের নাম ‘শিউলি শবনম’ হলে কেমন হয় জানতে চেয়েছিল প্রেমাষ্পদের কাছে। একটিমাত্র রজনীই তো শিউলি ফুলের নিয়তি। পরদিন ভোরবেলা গাছকে বিচ্ছেদ বেদনা দিয়ে শিউলির ঝরে পড়া। শবনম-মজনুননের বাসর রাতের পরদিনই শুরু হয় তাদের চির বিচ্ছেদকাল। সাহিত্যরসসিক্ত দারুণ এক আখ্যান। না, সত্যিকারের শরৎ আসতে কিছুটা সময় নেবে বলেই মনে হচ্ছে। এই বৃষ্টি এই রোদ ঢাকার আকাশে শরতের ধবল মেঘ নেই, আছে ধূসর আর ঘন কালো মেঘ। চলছে রোদ আর বৃষ্টির পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। কখন কোথায় ঝকঝকে রোদ দেখা দেবে, কিংবা মুষলধারে বর্ষা নেমে আসবে, তার পূর্বাভাস মিলছে না। রবিবারে সকালে সূর্যের স্মিতমুখ দেখে ঘর থেকে বেরুতে না বেরুতেই ঝুম বৃষ্টির কবলে পড়ে গেলাম। উত্তরা থেকে বনানী আসতে পুরো সময়টাই তুমুল বৃষ্টি হলো। রীতিমতো শ্রাবণধারা যেন। বিমানবন্দর সড়কের পশ্চিম পাশে সত্যিই বন-বনানীরই আবেশ। একটানা বেশ ক’কিলোমিটার জুড়ে রাজধানীতে কোথায় পাব এমন সবুজের সমারোহ! বৃষ্টির ভেতর এই এলাকাটি অন্যরকম হয়ে ওঠে। কবিতা ও গানের আবহ চকিতে চলে আসে। ওমা! মহাখালীর উড়াল সড়কে উঠে সামনে তাকিয়ে দেখি খটখটা শুকনো রাস্তা। মনে হলো চব্বিশ ঘণ্টা এখানে বৃষ্টি হয়নি। পেছনে ফেলে এসেছি বৃষ্টির পানিতে সদ্য ডুবে যাওয়া সড়ক। আর সামনে শুষ্ক তপ্ত ভিড়াক্রান্ত দিন। সত্যি বলতে কী, ঢাকা বা অন্য কোন শহরে নয়, চমৎকারভাবে বৃষ্টি উপভোগ করা যায় শুধু গ্রামেই। অবশ্য গ্রাম আর নেই সেই আগের গ্রাম, বাঁধানো ছবির মতো অপরূপ। তবু এখনও গ্রামে আছে সবুজ প্রান্তর, ধানক্ষেত, গাছগাছালির সমাবেশ, এমনকি ভাগ্যবতী অনেক গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিরতিরে নদী। প্রায় রুদ্ধস্রোতের, কিংবা বিগতযৌবনা- যাই হোক না কেন, তবু তো নদী। তাই বলে কি রাজধানীর বৃষ্টি একেবারেই উপভোগ্য নয়! অবশ্য এটা নির্ভর করে ব্যক্তির অবস্থানের ওপর। ঘরে না বাইরে, রাজপথে নাকি রিকশা বা কোন যানবাহনের ভেতর আপনার অবস্থান। খবরের কাগজের কল্যাণে আমরা তো জানি গত কয়েক দিনের ঢাকার হালচাল। ঢাকার কোন কোন অঞ্চলে রীতিমতো বন্যার চেহারা বিরাজ করছে। ভারি বৃষ্টিতে রাজধানী?র বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়া এখন অতি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। গরমে বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তির আভাস দিলেও জলাবদ্ধতা নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে। বহু জায়গায় হাঁটু পানির ভেতর দুর্ভোগ সাথী করে নগরবাসীকে পথ চলতে হয়েছে। আবার কোথাও বা ছিল কোমর সমান পানি। আর বৃষ্টি হলেই নিজস্ব গাড়ি নেই এমন মানুষের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো ভীষণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যানবাহনের স্বল্পতায়। গুলশান-বনানী রাজধানীর অভিজাত এলাকা। এসব এলাকার ছোট ছোট সড়ক তো বটেই অনেক জায়গায় প্রধান রাস্তার দু’পাশেও বেশ পানি জমে যায়। দেশসেরা দামী এলাকা বলে আর তৃপ্তি লাভের কোন অবস্থা থাকে না বৃষ্টিতে বনানী-গুলশানবাসীদের। বাড্ডা-বাসাবো আর বনানী-বারিধারা টানা বর্ষণে যেন দূরত্ব ঘুচিয়ে একই দশায় পতিত হয়। এইসব অপমৃত্যু শোক বর্ষাবন্দনার উল্টোপাশে থাকতে পারে বর্ষাবিলাপ। রাজধানী তারই প্রমাণ রাখল যেন। কারওয়ান বাজারের সড়কদ্বীপে প্রচণ্ড ভারি বাঘের ভাস্কর্যের নিচে চাপা পড়ে মারা গেলেন ভ্যানচালক মোহাম্মদ আলী। প্রাণহীন বাঘের প্রাণ কেড়ে নেয়ার দৃষ্টান্ত তৈরি হলো নিষ্ঠুর ঢাকায়। কেন বাঘের ভাস্কর্যটি উল্টে পড়ল তা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ধারণাটাকেই সঠিক বলে অনেকের মনে হবে। তাদের ধারণা বৃষ্টির কারণে স্থাপনার ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় ভাস্কর্যটি নিজের ভারে উল্টে পড়ে। মৃতের স্ত্রী মর্গে বিলাপ করে বলেছেন, ‘মজা কইরা কইতো আমি বাঘের পাশে ঘুমাই। আমার কোন ভয় নাই। ওই বাঘই আমার স্বামীরে লইয়া গেল!’ এই দুঃখজনক মৃত্যুর খবর জেনে প্রথমেই আমার মতো কারও কারও হয়ত মনে হবে- এটি একটি পরাবাস্তব কিংবা উদ্ভট (অ্যাবসার্ড) নাটকের দৃশ্য। মাঝেমধ্যে ঢাকার জীবন আমাদের এমন সব সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় যা সত্যিই পরাবাস্তব কাহিনীকেও তা হার মানিয়ে যায়। হয়ত আগামী দিনে বাংলার কোন স্যামুয়েল বেকেট এ ধরনের ঘটনা তার নাটকের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করবেন। ঠিক ওই এলাকারই কাছাকাছি এলাকা কাঁঠালবাগানে কাছাকাছি সময়ে বৃষ্টির ভেতর আরেকটি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সাত বছর বয়সী কন্যাশিশু মিম গলির জলাবদ্ধতার ভেতর নর্দমায় ডুবে মারা যায়। পুকুরে ডুবে শিশুদের অপমৃত্যুর খবর মাঝেমধ্যে কাগজে আসে, যদিও তা সবই গ্রামের। কিন্তু নগরীর নর্দমায় পড়ে মারা যাওয়া! ওইদিনই (শুক্রবার) সন্ধ্যায় কাঁঠালবাগান ও সংলগ্ন গ্রিনরোডে গিয়ে অনুধাবনে সক্ষম হলাম কী বিশ্রি দশাই না হয়েছে পথঘাটের। বর্ষাকালে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে গর্তে পানি জমে জলকাদায় মাখামাখি কী ভোগান্তিতেই না ফেলেছে এলাকাবাসী ও পথচারীদের। দুটি ঘটনাই আমাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছে যে ঢাকা নামের রাজধানীটি কতখানি শহর হয়ে উঠতে পেরেছে। এ এক অরক্ষিত বিপজ্জনক নগররূপী লোকালয়। ২৫ মন ওজনের একটি অ-নান্দনিক ভাস্কর্য অ-সংরক্ষিত স্থানে স্থাপনের ঝুঁকি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ ভাবেনি; এমনকি তার রক্ষণাবেক্ষণেও সচেতনতা দেখায়নি। এমনটি পৃথিবীর অন্য কোন নগরীতে অসম্ভব একটি ব্যাপার। আর জলাবদ্ধতার কথা আর কী বলব। বর্ষাকালে বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানকে খোঁড়াখুঁড়ি না করার অনুরোধ জানিয়ে আর কত বছর আমরা লিখে যেতে থাকব? কী হচ্ছে ওসমানী উদ্যানে! ১৯৯৯ সালের কথা বলছি। ঢাকার জিরো পয়েন্টের খুব কাছে অবস্থিত ওসমানী উদ্যানের গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হলো। নাগরিক সমাজের পক্ষে পরিবেশসচেতন ব্যক্তিরা এর প্রতিবাদ করলেন। মহানগরীতে এমনিতেই গাছের সংখ্যা কমে আসছে। ষোল বছর আগে সে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা যৌক্তিক মনে হয়েছিল। এতে সরকারের বিব্রত হওয়ার কিছু ছিল না। কিন্তু বিরোধী দল এটাকেই ইস্যু করেছিল সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টের। গাছগুলো প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছিলাম। গাছ বাঁচানোর জন্য মানববন্ধন হয়েছিল। এখন সেই ওসমানী উদ্যানের কী হাল হয়েছে তার খবর কি সেই গাছ রক্ষার আন্দোলনকারীরা রাখেন? জানি না, রাখেন কিনা। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) একটি প্রতিবেদনে ওসমানী উদ্যানের এই করুণ দশা তুলে ধরা হয়। গত সপ্তাহে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। তারা অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন, উদ্যানে কেউ করছেন হাঁস-মুরগির ব্যবসা, আবার কেউ করছেন ছাগলের ব্যবসা। নির্মল বায়ু নেয়ার বদলে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে উদ্যানটি। এ উদ্যান এখন মান্তানদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওসমানী উদ্যান নজরদারির দায়িত্ব ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের, অথচ তারাই নাকি অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। কামান চাই না, কাজে মন চাই ‘মশা মারতে কামান দাগার দরকার নেই, শুকনো মৌসুমে মাঝেমধ্যে একটু ওষুধ ছিটানোর তো ব্যবস্থা নিতে পারেন দুই নতুন মেয়র? মশার জ্বালায় আর তো বাঁচি না। ভাই, আপনারা একটু লেখালেখি করেন তো পত্রিকায়।’ লিফটের মুখে পড়শিনী খেদের সঙ্গেই কথাগুলো বললেন। কয়েকটা দিন মাঝে হাসপাতালে ছিলেন শিশুপুত্রের জন্য। ভাগ্যিস মারাত্মক ডেঙ্গু হয়নি বাচ্চাটার। সামান্য একটা মশার কী দাপট! গোপনে কামড়ে দিয়ে ছেলেটাকে সোজা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এখন মায়ের বেশি চিন্তা, কারণ ক’টা দিন যে স্কুল কামাই গেল। বাকি পড়াগুলো পড়তে হবে যে! কিন্তু ছেলেটা এখনও দুর্বল। তার আরো দুয়েকটা দিন বিশ্রাম নেয়া দরকার। রাজধানীতে কি হঠাৎ করেই মশার উপদ্রব বেড়ে গেল? নতুন বছর এলে প্রথম কয়েকটা মাস মশার বংশবিস্তার রোধের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বদ্ধ জলাশয়ে ও নর্দমায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়। অলিতে গলিতে বিকট শব্দওয়ালা ঢাউশ ফগার যন্ত্র নিয়ে একটা লোক মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে যায়। এবার লোকটার দেখা পাইনি। খবর নিয়ে জানলাম মশার বিস্তার রোধে ডিসিসির রুটিন কার্যক্রমও চলেনি। এমনকি গত সপ্তাহে মশক নিধন দিবসেও তারা কোন কর্মসূচী হাতে নেয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ডিসিসির কর্তাব্যক্তিরা বর্ষাবরাবরে দরখাস্ত করছেন যাতে বৃষ্টির পানিতে মশার ডিমের পাশাপাশি বর্ষাসিক্ত বায়ু মশার পরিবারবর্গকে উড়িয়ে নিয়ে যায়! নির্বাচিত হওয়ার পর পয়লা বছরেই দুই মেয়র ঢাকাবাসীর ন্যূনতম উপকারে আসতে পারলেন না। এটা দুঃখজনক। মশা মারতে কামান চাই না। মেয়রদ্বয় কাজে মন দিক- এটাই এ মুহূর্তে মশার কামড়ে বিরক্ত নগরবাসীর মনের কথা। বৃষ্টির মধ্যে ওষুধ দিলে কাজ হবে না- এই অজুহাতে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নিন। রৌদ্রময় খটখটে দিন পেলে তার সদ্ব্যবহার করুন। ক্লিনআপ ঢাকা ঢাকার অভিজাত এলাকায় এক বিদেশিনী রাস্তার আবর্জনা পরিষ্কার করছেন। হাতে দস্তানা, কাছেই অন্য বন্ধুরা আছেন গার্বেজ ব্যাগ নিয়ে। তারাও ব্যস্ত জঞ্জাল অপসারণে। না, এটা কোন প্যাকেজ নাটকের দৃশ্য নয়। ‘ক্লিন আপ ঢাকা’ গত সপ্তাহ থেকে এই কার্যক্রম চালাচ্ছে। দু’সপ্তাহের জন্য ঢাকায় এসে জাপান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। অথচ এলাকাবাসী বা পথচারীরা তাতে যে খুব একটা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন না সেটা সঙ্গের এই ছবিটিই বলে দিচ্ছে। তারা সিনেমা দেখার মজাই পাচ্ছেন। কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও করতেও শুরু করে দিয়েছেন। কী অদ্ভুত মানসিকতা। রাস্তাটাকে ডাস্টবিন ভেবে সেখানে বাতিল সব বস্তু ফেলে দেয়ার প্রবণতা রয়েছে বেশিরভাগ বাঙালীর। চলতি পথেও মানুষ বাসের জানালা দিয়ে, শিক্ষিত ব্যক্তি এসি গাড়ির কাঁচ নামিয়ে জানালা গলিয়ে উচ্ছিষ্ট দ্রব্য রাস্তার মাঝখানে ফেলে দেন। এমনকি কলার খোসা ফেলতেও দেখেছি। এটা যে কত বিপজ্জনক তাও অনেকের মাথাতে আসে না। আমি নিজে রাস্তায় কিছু ফেলব না, কাউকে ফেলতে দেখলে বুঝিয়ে অপকারিতার কথাটি বলব- শুধু এটুকু মেনে চললেই রাজধানীর সড়ক এক সপ্তাহে অর্ধেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার মতো কিছু নয়, একটুখানি সদিচ্ছাই যথেষ্ট। ‘ক্লিন আপ ঢাকা’ সংগঠনটি ফেসবুকের মাধ্যমে আগেই জানিয়ে দিচ্ছে কোনদিন ঢাকায় কোন্ এলাকায় কতক্ষণ সড়ক পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেয়া হবে। আগ্রহীদের পরামর্শ দিচ্ছে দস্তানা আর ময়লার ব্যাগ নিয়ে আসতে। পুরো সময় না পারি, ওদের সঙ্গে কিছুটা সময় আবর্জনা পরিষ্কারে অংশ নিলে জাতিগতভাবে আর লজ্জায় পড়তে হবে না। এই লেখা যারা পড়ছেন, যদি আপনার সামনে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের দেখেন রাস্তা পরিষ্কার করতে, তাহলে ওদের সহযোগী হবেন- একান্ত অনুরোধ। ঢাকার খোলা রাস্তার বর্জ্যভর্তি খোলা কন্টেইনার নিয়ে আগেও বলেছি একাধিকবার। টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৭০টি স্থানে বর্জ্যকেন্দ্র করে কনটেইনারগুলো সরাতে চায়; কিন্তু কেন্দ্র করার স্থান তাদের নেই। মেয়র আনিসুল হক জমি চেয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, ডেসকো, গণপূর্ত অধিদফতর, ঢাকা ওয়াসা, সেনানিবাস, রেলওয়ে, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। ২৪ আগস্ট ২০১৫ [email protected]
×