ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শরণার্থী সঙ্কট সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ॥ জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর

প্রকাশিত: ০৭:১১, ২৫ আগস্ট ২০১৫

শরণার্থী সঙ্কট সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ॥ জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর

জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্ল্যাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমেইয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় দান নীতির সংস্কার সাধনের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা রবিবার এক পত্রিকায় বলেন, শরণার্থীদের ইউরোপের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে বণ্টন করে দেয়া উচিত। খবর এএফপি ও টেলিগ্রাফের। সিগমার গ্যাব্রিয়েল সম্প্রচার কেন্দ্র এআরডিকে রবিবার বলেছেন, তার দেশে রেকর্ডসংখ্যক শরণার্থীর আগমন ২৫ বছর আগেকার পুনরেকত্রীকরণের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে। জার্মানিতে শরণার্থীদের সংখ্যা ২০১৫ সালে ৮ লাখে দাঁড়াবে বলে মনে হয়। দারিদ্র্য ও যুদ্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে মানুষজন ইউরোপে যেতে প্রাণান্তর চেষ্টা করছে। হাজার হাজার শরণার্থী রবিবার রাতে মেসিডোনিয়া থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছাকাছি পৌঁছায়। এর আগে তারা মেসিডোনিয়াতে দাঙ্গা পুলিশের বেষ্টনী ভেঙ্গে দেয়। তিন দিনের সংঘর্ষের পর মেসিডোনিয়ার পুলিশ কমান্ডাররা অভিবাসীদের আটকানোর চেষ্টা থেকে সরে দাঁড়ান। ওই সংঘর্ষকালে দাঙ্গা পুলিশ তাদের সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টারত অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে স্টান গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এরপর অভিভাসীদের তাদের শিশুসমেত সার্বিয়া অভিমুখী সীমান্তগামী বাস ও ট্রেনে উঠতে দেয়া হয়। এরপর তারা উত্তরে হাঙ্গেরির দিকে রওনা হয়। হাঙ্গেরি তার ভূখ-ে প্রবেশ করা থেকে অভিবাসীদের বিরত রাখতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করছে। সেখান থেকে তারা ইংল্যান্ড ও জার্মানির মতো উন্নত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এমন সব দেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। মেসিডোনিয়ার পুলিশ অভিবাসীদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকে ভবিষ্যত সমস্যা ও সহিংস সংঘাত এড়ানোর এক নিয়ন্ত্রিত নীতির অংশ বলে বর্ণনা করে। তবে এ পদক্ষেপ কেবল আরও অভিবাসী আগমনে উৎসাহই যোগাবে বলে আশঙ্কা বৃদ্ধি করবে। পুলিশের মুখপাত্র আইডো কটেভস্কি বলেন, আমরা জরুরী অবস্থা অনুযায়ী সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করে যাব।
×