ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্থায়নই হালকা প্রকৌশল শিল্পের অন্তরায়

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২৫ আগস্ট ২০১৫

অর্থায়নই হালকা প্রকৌশল শিল্পের অন্তরায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হালকা ও ক্ষুদ্র প্রকৌশল শিল্পে অর্থের যোগান নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির পথে অন্তরায়। দেশের ব্যাংকগুলো এ খাতে ঋণ প্রদানে মোটেও আগ্রহ দেখায় না। ফলে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হচ্ছে ক্ষুদ্র প্রকৌশল খাতের বিকাশ। ব্যাংক কর্মকর্তারা মনে করেন, খাতটিতে জড়িয়ে থাকা উদ্যোক্তাদের কারিগরি জ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। উদ্যোক্তাদের আধুনিক কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন করতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। সোমবার রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট অডিটরিয়ামে ‘হালকা ও ক্ষুদ্র প্রকৌশল শিল্পে অর্থের যোগান: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কয়েকটি ব্যাংকের ওপর করা এক খসড়া জরিপের তথ্যে এসব কথা ওঠে এসেছে। সেমিনারে উত্থাপিত ওই খসড়া জরিপে বলা হয়, হালকা ও ক্ষুদ্র প্রকৌশল শিল্পের উদ্যোক্তাদের অর্থ যোগানের সঙ্কট রয়েছে। ঋণের জন্যে আবেদন করেও তারা ঋণ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আবেদন করেও উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে কোন ঋণ পায় না। ১৯৭টি প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিচালিত ওই জরিপে দেখা গেছে ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের ঋণের অবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। নিরাপত্তা, তথ্যাদির অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ সুদের হার ঋণ প্রাপ্তিতে প্রধান সমস্য বলে মনে করে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)। নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক ও ক্ষুদ্র প্রকৌশল শিল্পের ওপর পরিচালিত ওই জরিপের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিআইবিএম’র এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মোঃ আশরাফ আল মামুন, সহকরী প্রফেসর মাসুদুল হক, সহকারী প্রফেসর মোশারফ হোসেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আশরাফুল আলম। বাংলাদেশ ব্যংকের ডেপুটি গবর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, হালকা ও ক্ষুদ্র প্রকৌশল শিল্প উন্নয়শীল দেশকে উন্নত দেশে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্থানীয় উৎস থেকে উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় চাহিদাও পূরণ করে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ ইউসুফ বলেন, দেশের শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছোট ছোট খাতের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। বিকল্প শিল্পের উন্নয়নের পথ খোলা রাখতে হবে। ভারি শিল্প ও ছোট শিল্পের পার্থক্য অনুধাবন করতে হবে। ফলে তাদের অর্থের যোগান দিতেই হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নির্মল চন্দ্র ভক্ত বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখি সহস্্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের, ফলে ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নেও আমাদের কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র শিল্পে আমরা ব্যর্থ হতে চাই না।
×