ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে বোধনের আবৃত্তি অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ২৫ আগস্ট ২০১৫

চট্টগ্রামে বোধনের আবৃত্তি অনুষ্ঠান

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো বোধন আবৃত্তি পরিষদ আয়োজিত ‘কবিতার ছবি, কবিতার কবি’ শীর্ষক আবৃত্তি অনুষ্ঠান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আয়োজনটি উৎসর্গ করা হয়। অনুষ্ঠানে পোশাকে আর প্রকাশনায়ও ছিল শোকের আবহ। আর শেষ দিকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আবৃত্তি সামনে নিয়ে আসে নির্মম ১৫ আগস্ট। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বোধনের কুশীলবরা যেন কণ্ঠে শব্দের দ্যোতনায় কবিতার ছবিই আঁকল। আবৃত্তির সাবলীল ভঙ্গিতে ফুটে ওঠে কবিতার ছবি। আর তা স্বয়ং কবিদের সামনে এই আয়োজন তৈরি করে এক মোহনীয়তা। কবির উপস্থিতিতে কবিতা পাঠের আসরে কবির উপলব্ধির সঙ্গে আবৃত্তিকারের চিন্তার যূথবদ্ধতায় তৈরি হলো কবিতার ছবি। বোধনের নিয়মিত এই আয়োজনের নবম পর্বে এবারের কবি ছিলেন আশির দশকের চট্টগ্রামের দুই তরুণ কবি এজাজ ইউসুফী ও কবি সেলিনা শেলী। ছিলেন কবি মানজুর মুহাম্মদ। এই তিন কবির রচনা থেকে আবৃত্তি করেন বোধনের ২৪ আবৃত্তিশিল্পী। সঞ্চালনায় ছিলেন কবি বাদল সৈয়দ। অনুষ্ঠানে শুরুতে বোধনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি রণজিৎ রক্ষিত বলেন, কবির চিন্তা আবৃত্তিশিল্পীর কণ্ঠে এক আলাদা অর্থ তৈরি করে। আর এই দুই সত্তার মধ্যে মিল খুঁজে বের করতেই এই আয়োজন। অনুষ্ঠানে প্রথম কবি হিসেবে মঞ্চে আসেন মানজুর মুহাম্মদ। সঙ্গে বোধনের ছড়া নিয়ে হাজির হয় শিশু বিভাগের শিল্পীরা। আবৃত্তি পরিবেশন করে শিশুশিল্পী আবু সাইদ রিয়াদ, সন্দীপন সেন, মাহশুরাতুল আতকিয়া, ছোঁয়া ভৌমিক, নীল মজুমদার, সালমা নাবিলাহ এবং শ্রীলা ধর। তারপর কবির লেখা সমসাময়িক দ্রোহ ও প্রেমের কবিতা নিয়ে হাজির হন আবৃত্তিশিল্পী বেনজীর বিনতে শওকত, আবৃত্তিশিল্পী অসীম দাশ, আবৃত্তিশিল্পী হোসনে আরা তারিন, আবৃত্তিশিল্পী মাঈনুল আজম চৌধুরী। আবৃত্তি শুনে কবি বলেন, কবিতা রচনার সময় এত ব্যাপক চিন্তা কখনও আসেনি, যতটা আবৃত্তিশিল্পীদের কণ্ঠের ভারে এসেছে। দর্শক প্রতিক্রিয়ায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি সুশান্ত পাল জানান, কবিকে কবিতার প্রেক্ষাপট জিজ্ঞেস করা উচিত নয়, বরং আবৃত্তিশিল্পীর আবৃত্তিতে কবির চিন্তার প্রতিফলন ঠিকভাবে হয়েছে কিনা সেটা জানতে চাওয়া অনেক বেশি যৌক্তিক।
×